National Medical College and Hospital: কন্যাসন্তানের জন্ম দিয়েই নিখোঁজ, হাসপাতাল থেকে উদ্ধার প্রসূতির ক্ষতবিক্ষত দেহ
মৃতের পরিবারের দাবি, কুকুর, ইদুরে খুবলে খাওয়ার চিহ্ন রয়েছে শরীরে। ঘটনার পর হাসপাতালে পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান মৃতের আত্মীয়রা।
সন্দীপ সরকার, কলকাতা: ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজে হাসপাতালে (Calcutta Medical College Hospital) এক প্রসূতির দেহ উদ্ধারের ঘটনায় উত্তেজনা ছড়াল। উত্তর ২৪ পরগনার (North 24 Pargana) সন্দেশখালির বাসিন্দা, ৩২ বছরের আছিয়া বিবি গত বুধবার হাসপাতালের প্রসূতি বিভাগে ভর্তি হয়েছিলেন। ওই দিনই তিনি কন্যাসন্তানের জন্ম দেন। পরিবারের দাবি, গতকাল দুপুর ১টা থেকে তাঁকে বেডে পাওয়া যায়নি। এর পরই খোঁজ শুরু হয়। বেনিয়াপুকুর থানায় দায়ের করা হয় নিখোঁজ ডায়েরি। আজ সকাল ৯টা নাগাদ হাসপাতালের প্রসূতি বিভাগের পিছন থেকে আচিয়া বিবির ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার হয়। মৃতের পরিবারের দাবি, কুকুর, ইদুরে খুবলে খাওয়ার চিহ্ন রয়েছে শরীরে। ঘটনার পর হাসপাতালে পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান মৃতের আত্মীয়রা।
দেহ মিলল প্রসূতি বিভাগের পিছনে: গতকাল দুপুর থেকে নিখোঁজ ছিলেন। আজ সকালে দেহ মিলল প্রসূতি বিভাগের পিছনে। ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে (Calcutta Medical College Hospital) প্রসূতির মৃত্যুর ঘটনায় রহস্য দানা বেঁধেছে। নজরদারিতে গাফিলতির পাশাপাশি খুনের অভিযোগ করেছে মৃতের পরিবার।
সরকারি হাসপাতালে (Calcutta Medical College Hospital) প্রসূতির রহস্যমৃত্যুকে ঘিরে উত্তেজনা। রবিবার দুপুর থেকে নিখোঁজ ছিলেন তিনি। সোমবার সকালে দেহ মিলল প্রসূতি বিভাগের পিছনে। যে ঘটনাকে কেন্দ্র করে মৃতের আত্মীয়রা হাসপাতালে নিরাপত্তার গাফিলতির অভিযোগে সরব। উত্তর ২৪ পরগনার সন্দেশখালির বাসিন্দা, ৩২ বছরের আছিয়া বিবি গত বুধবার ভর্তি হন ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। ওই দিনই তাঁর একটি কন্যাসন্তান হয়। তাঁর আগের একটি ছেলে ও মেয়ে রয়েছে।
মাথায় ছিল আঘাতের চিহ্ন: মায়ের সঙ্গে বেডেই ছিল সন্তান। রবিবার দুপুরে ২টো নাগাদ জানাজানি হয়, প্রসূতি বেডে নেই। খোঁজাখুঁজি শুরু হয়। পরিবারের তরফে নিখোঁজ ডায়েরি করা হয় বেনিয়াপুকুর থানায়। রবিবার রাতে তাঁর খোঁজ মেলেনি। সোমবার সকালে এক নিরাপত্তারক্ষী মহিলাকে প্রসূতি বিভাগের পিছনে উপুড় হয়ে পড়ে থাকতে দেখেন। জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে মৃত ঘোষণা করেন চিকিত্সকরা। মাথায় ছিল আঘাতের চিহ্ন।
এর পরই হাসপাতালে নিরাপত্তায় গাফিলতির অভিযোগে ক্ষোভে ফেটে পড়ে পরিবার। পুলিশ কর্মীদের সঙ্গে বাদানুবাদে জড়ান মৃতের আত্মীয়। মৃতের পরিবার খুনের অভিযোগ তুলেছে।লালবাজারের হোমিসাইড শাখার অফিসাররা তদন্তে আসেন। ঘটনাস্থলে আসেন ফরেন্সিক টিমও। হাসপাতাল সূত্রে খবর, ঘটনা সম্পর্কে খোঁজখবর নেন কলকাতার পুলিশ কমিশনারও।
নিরাপত্তারক্ষীদের কর্তব্যে গাফিলতি? হাসপাতাল সূত্রে খবর, নিরাপত্তারক্ষীরা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন, ভিজিটিং আওয়ার্স থাকায় ভিড় ছিল। সে সময় উনি বেরিয়ে যেতে পারেন। ঠিক কী ঘটেছে, কীভাবে প্রসূতি ওই জায়গায় গেলেন, তা জানতে হাসপাতালের তরফে ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। খতিয়ে দেখা হচ্ছে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ।তদন্ত কমিটির রিপোর্ট জমা পড়ার পর নিরাপত্তারক্ষীদের কর্তব্যে গাফিলতি পাওয়া গেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে হাসপাতাল সূত্রে খবর।