Kolkata: বেহালা-মহেশতলা অঞ্চলে জমা জলের সমস্যা মেটাতে উদ্যোগী পুর প্রশাসন
Kolkata News: পুর প্রশাসন সূত্রে খবর, শকুন্তলা পার্কে একটি ড্রাই সিজন পাম্পিং স্টেশন আছে। যেটি বর্ষা ছাড়া অন্য সময় জল সরানোর কাজে ব্যবহার করা হয়। সেই পাম্পিং স্টেশনের ক্ষমতা বাড়ানো হবে বলেও খবর।
অর্ণব মুখোপাধ্যায়, কলকাতা: বেহালা ও মহেশতলায় জমা জলের সমস্যা (waterlogging problem) মেটাতে এবার উদ্যোগ নিল পুর প্রশাসন। শকুন্তলা পার্কে একটি ড্রাই সিজন পাম্পিং স্টেশন (dry season pumping station) ঘুরে দেখলেন মেয়র পারিষদ তারক সিংহ। মহেশতলায় গ্রিন ফিল্ড সিটিতে পাম্পিং স্টেশনের জন্য জমি দেখছে পুরসভা।
বর্ষায় জল যন্ত্রণাই নিয়তি বেহালা ও মহেশতলার বেশ কিছু এলাকার। গোড়ালি, হাঁটু, কোমর জলে ওই সব এলাকার বাসিন্দাদের বর্ষায় বেশ কিছুদিন কাটাতে হয়। এই পরিস্থিতিতে বেহালা ও মহেশতলার তিনটি ওয়ার্ডের জল সমস্যার সমাধানে উদ্যোগী হয়েছে পুর প্রশাসন। বৃহস্পতিবার বেহালার শকুন্তলা পার্ক ও মহেশতলার গ্রিন ফিল্ড সিটি ঘুরে দেখেন কলকাতা পুরসভার মেয়র পারিষদ তারক সিংহ। তাঁর সঙ্গে ছিলেন মহেশতলা পুরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সংহিতা দাস ও কলকাতা পুরসভার ১২৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মালবিকা বৈদ্য।
পুর প্রশাসন সূত্রে খবর, শকুন্তলা পার্কে একটি ড্রাই সিজন পাম্পিং স্টেশন আছে। যেটি বর্ষা ছাড়া অন্য সময় জল সরানোর কাজে ব্যবহার করা হয়। সেই পাম্পিং স্টেশনের ক্ষমতা বাড়ানো হবে, যাতে সেটি বর্ষার জমা জলও বের করতে পারে। এছাড়া গ্রিনফিল্ড সিটিতে জমি দেখছে পুরসভা, সেখানে একটি পাম্পিং স্টেশন তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে। এই সব প্রকল্প কার্যকর হলে বেহালায় কলকাতা পুরসভার ১২৭ ও ১২৮ নম্বর ওয়ার্ড ও মহেশতলার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে নিকাশি সমস্যা অনেকটাই মিটবে বলে পুর প্রশাসন সূত্রে দাবি।
খিদিরপুর এলাকাতেও জল জমার সমস্যা নিয়ে চিন্তিত পুরসভা। কিন্তু পুরসভা সূত্রে খবর, মেট্রো কর্তৃপক্ষ বুধবার জানিয়েছে, তাদের কাজের জন্য খিদিরপুর এলাকায় নিকাশি ব্যবস্থার পরিবর্তন করা প্রয়োজন। তারক সিংহ বলেন, 'আমরা খিদিরপুরে বাইপাস করে কী করা যায় দেখছি'।
আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি মেট্রো কর্তৃপক্ষের সঙ্গে খিদিরপুর নিয়ে বৈঠক রয়েছে পুরসভার। এখন দেখার, সেই বৈঠক থেকে কী সমাধানসূত্র বের হয়।