Kolkata Fire: সাত সকালে শহরে ফের অগ্নিকাণ্ড, নারকেলডাঙায় বহুতলের নীচে আগুন, ঘটনাস্থলে দমকলের ৬ ইঞ্জিন
Narkeldanga Fire: দমকলের ৬টি ইঞ্জিন আগুন নেভানোর লড়াই চালাচ্ছে।

হিন্দোল দে, কলকাতা: গতকাল হাওড়ার সাঁকরাইলের পর আজ ফের আজ শহর কলকাতায় অগ্নিকাণ্ড। সকাল সকাল কলকাতার নারকেল ডাঙায় আগুন লাগল।
একটি বহুতলের নীচে আগুন লেগেছে। সেখানে কাগজের বাক্স মজুত থাকায় দ্রুত ছড়িয়ে পড়েছে আগুন। ঘিঞ্জি এলাকায় এই অগ্নিকাণ্ড ঘিরে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে দমকলের ছয়টি ইঞ্জিন। আগুন নেভানোর চেষ্টা চলছে। (Kolkata Fire)
শনিবার সকাল ৬টা নাগাদ নারকেলডাঙার নারকেলডাঙা রোডের উপর অবস্থিত একটি চারতলা বহুতলের নীচে আগুন ধরে। সেখানে প্রচুর পরিমাণ কাগজের বাক্স মজুত ছিল। মুহূর্তের মধ্যেই ছড়িয়ে পড়ে সেই আগুন। গোটা এলাকা ধোয়াঁয় ঢেকে যায়। এমনিতেই ঘিঞ্জি এলাকা হিসেেবে পরিচিত নারকেলডাঙা। সাত সকালে আগুনের ঘটনায় তাই আতঙ্ক ছড়ায় স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে। (Narkeldanga Fire)
আগুন লাগার খবর পেয়ে কিছু ক্ষণের মধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকল বাহিনী। এই মুহূর্তে সেখানে দমকলের ছয়টি ইঞ্জিন সেখানে রয়েছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চলছে। এদিব আগুন লাগার পর স্থানীয়রাই প্রথমে আগুন নেভানোর চেষ্টা শুরু করেন। পরে খবর দেওয়া হয় দমকলকে। এখনও পর্যন্ত আগুন নিয়ন্ত্রণে আসেনি। হোস পাইপে করে জল ছড়ানো হচ্ছে। ঘটনাস্থলে উপস্থিত রয়েছে পুলিশও। পরিস্থিতি তদারকি করছেন তাঁরা।
অগ্নিকাণ্ডের ফলে এলাতায় যাতে অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে, তার জন্য পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। রাস্তায় যান চলাচল যাতে ব্যহত না হয়, পরিস্থিতি সামাল দিচ্ছে ট্রাফিক পুলিশও। তবে এখনও পর্যন্ত আগুন সম্পূর্ণ ভাবে নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়নি। স্থানীয় সূত্রে জানা যাচ্ছে, সকালে হঠাৎ ধোঁয়া দেখতে পান অনেকে। যেখাবে আগুন লেগেছে, তার লাগোয়া পর পর বাড়ি-দোকান রয়েছে। তাই উত্তেজনা ছড়ায়। নিজেরাই জল ছুড়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু তাতেও পরিস্থিতি সামাল দেওয়া যায়নি। দমকল আগুন নেভোনোর চেষ্টা চললেও, আতঙ্ক কাটছে না।
এর আগে, হাওড়ার সাঁকরাইলে শিল্প তালুকে প্লাস্টিকের কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ঘটে। গতকাল বিকেল ৪টে নাগাদ সাঁকরাইলের পলি পার্কে প্লাস্টিকের কারখানায় আগুন লাগে। বিভিন্ন রাসায়নিক ও প্লাস্টিক সামগ্রী মজুত থাকায় দ্রুত আগুনের গ্রাসে চলে যায় গোটা কারখানা। আশেপাশে আরও কারখানা থাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
অবশেষে দমকলের ১৫টি ইঞ্জিনের ১২ ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। কী থেকে আগুন লাগল, তা এখনও পর্যন্ত স্পষ্ট ভাবে জানা যায়নি।
ট্রেন্ডিং
সেরা শিরোনাম
