Sukanta Majumdar: লালবাজার থেকে ছাড়া হল সুকান্তকে
Sukanta on Mominpore incident: লালবাজার থেকে ছাড়া পেয়েই কী বললেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ?
কলকাতা: লালবাজার থেকে ছাড়া পেলেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। উল্লেখ্য, মোমিনপুরের ময়ূরভঞ্জ রোডে দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষ, ঘটনায় উত্তপ্ত এলাকা। দুই গোষ্ঠীর মধ্যে বচসার জেরে চলে বোতল ছোড়াছুড়ি থেকে ইটবৃষ্টিও। উত্তেজনা ছড়ায় ওয়াটগঞ্জ ও একবালপুর থানা এলাকায়। একবালপুর থানা ঘেরাও করে উত্তেজিত জনতা। পরিস্থিতি সামাল দিতে কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে পুলিশ। এলাকায় মোতায়েন বিশাল পুলিশ বাহিনী। ঘটনাস্থলে যেতে চাওয়ায় গ্রেফতার হন সুকান্ত মজুমদার।
এদিন লালবাজার থেকে ছাড়া পেতেই বলেন, 'মোমিনপুরের ঘটনা উদ্বেগজনক। যেভাবে মোমিনপুরে এই ৪৮ ঘন্টা ধরে তাণ্ডব নৃত্য চলল, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী সিইএসসি অফিসে গিয়েছিলেন।৪ ঘন্টা লাইট অফ করে রেখে, যেভাবে তাণ্ডব নৃত্য চালানো হয়েছে, পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে কথা বলেছিলেন, সেই নীতিতে উনি সম্পূর্ণরূপে চলে এসেছেন।' পাশাপাশি গ্রেফতারির ইস্যুতে তিনি বলেন, দেখুন চিংড়িঘাটাতে কোনও ১৪৪ ধারা ছিল না। ১৪৪ ধারা শুধু মোমিনপুর এবং তার সংলগ্ন এলাকায় ছিল।আপনারা নিশ্চয়ই সরকারের অর্ডার দেখেছেন ! এটা শুধুমাত্র এই কারণেই করা হয়েছে, যে বৃহত্তর বাংলাদেশে বানানোর যে চক্রান্ত চলছে, সেই চক্রান্ত যেনও কোনওভাবেই মিডিয়ার সামনে না আসে।'
অপরদিকে সুকান্ত মজুমদার সোশ্যাল মিডিয়ায় বলেন, 'গত ২ দিন ধরে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ি থেকে মাত্র ৩ কিমি দূরে খিদিরপুর সংলগ্ন এলাকায় দুষ্কৃতি দ্বারা তাণ্ডব চলছে। ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। এরাজ্যের নাগরিকদের নিরাপত্তা কোথায় , মহিলাদের সুরক্ষা কোথায় মাননীয়া ? আপনার অপদার্থ পুলিশ বিজেপিকে না আটকে, যদি আজ একবালপুরে দুষ্কৃতিদের গ্রেফতার করত, আজ এই দিন দেখতে হতো না। ব্যর্থ পুলিশ মন্ত্রী এবং মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে আপনার ইস্তফা দেওয়া উচিত।'
প্রসঙ্গত,ঘটনার সূত্রপাত শনিবার রাতে। মোমিনপুরের ময়ূরভঞ্জ রোডে দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষের জেরে বোতল ছোড়াছুড়ি-ইটবৃষ্টি হয়। অভিযোগ করা হয় বোমাবাজিও। শনিবার রাতের পর, রবিবার সন্ধেয় ফের উত্তেজনা ছড়ায় একবালপুর থানা এলাকায়। এরপরই, একবালপুর থানা ঘেরাও করে উত্তেজিত জনতা। পরিস্থিতি সামাল দিতে কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে পুলিশ। ঘটনায় কলকাতা পুলিশের দুই ডিসি-সহ ৫ জন আহত হয়েছেন। এই ঘটনায় দু’পক্ষের বেশ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এলাকায় মোতায়েন করা রয়েছে বিশাল পুলিশ বাহিনী। নামানো হয় র্যাফ।
আরও পড়ুন, 'মধ্যপ্রদেশের অ্যাকশন রিপ্লে পশ্চিমবঙ্গে', মোমিনপুরকাণ্ডে বিস্ফোরক সজল-সেলিম
সুকান্তের আটকের প্রতিবাদে লালবাজারের সামনে প্রতিবাদে নামেন রাজ্যের বিরোধী দল নেতা শুভেন্দু অধিকারী। মোমিনপুরে সংঘর্ষের ঘটনায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও রাজ্যপালকে চিঠি দেন শুভেন্দু অধিকারী। অমিত শা-র কাছে কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়ে চিঠি দেন বিরোধী দলনেতা। চিঠিতে একবালপুর থানায় তাণ্ডবের অভিযোগ করা হয়েছে। রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে গিয়েছে, বলে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও রাজ্যপালকে লেখা চিঠিতে অভিযোগ করেন শুভেন্দু।