(Source: ECI/ABP News/ABP Majha)
Madan Mitra: দুর্নীতিকাণ্ডে পরপর নেতা গ্রেফতার, কন্ট্রোল কমিশন চান মদন !
Madan Mitra on Control Commission: দুর্নীতির অভিযোগে একের পর এক নেতা গ্রেফতারের ইস্যুতে কন্ট্রোল কমিশন চান মদন মিত্র
কলকাতা: দুর্নীতির (Corruption) অভিযোগে একের পর এক নেতা গ্রেফতারের ইস্যুতে কন্ট্রোল কমিশন (Control Commission) চান মদন মিত্র (Madan Mitra)। 'আরও কঠোর হতে হবে দলকে, অবিলম্বে তৈরি করতে হবে কন্ট্রোল কমিশন',দুর্নীতি বন্ধে কন্ট্রোল কমিশনের পরামর্শ দিলেন কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক।
প্রসঙ্গত, রাজ্যে ইতিমধ্যেই নিয়োগ দুর্নীতি থেকে কয়লাপাচার, গরুপাচার মামলায় শাসকদলের একাধিক হেভিওয়েট নেতার নাম জড়িয়েছে। জেলে গিয়েছে খোদ পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তবে এহেন পরিস্থতিতে খুব একটা চুপ করে বসে থাকার সিদ্ধান্তে বিশ্বাসী নন যে সে। তিনি আর কেউ নন, তিনি কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র। কখন তাকে দক্ষিণেশ্বরের ফ্ল্যাট থেকে লাইভ করতে দেখা যায়, কখনও আবার মেসির সঙ্গে আবেগঘন মুহূর্তে। তবে এসবের মাঝে তিনি কখনওসখনও আবার গর্জেও ওঠেন। বলে ফেলেন বিস্ফোরক কথা। যা নিয়ে দলের তরফে নানা চাপান উতোর শোনা যায়। তবে একাধিকবার হুঁশিয়ারির পর এবার অন্যরুপে দেখতে পাওয়া গেল আজ মদন মিত্রকে। এবার একের পর এক নেতা গ্রেফতারের পর তিনি এবার দুর্নীতি বন্ধে কন্ট্রোল কমিশনের পরামর্শ দিলেন মদন মিত্র।
পঞ্চায়েত ভোটের আগে এই প্রথম নয়, একাধিকবার বিরোধীদের হুঁশিয়ারি দিতে শোনা গিয়েছে মদন মিত্রকে। ব্যারাকপুরের মোহনপুরের কর্মসূচি থেকে মদন মিত্র-র বার্তা, 'কাঁকর ছাড়া ঢেঁকি ছাঁটা পরিষ্কার সুগন্ধী চালের মতো ব্যালট পেপারে ভোট হবে।তৃণমূল নেতারা ৭ দিন ঘুরলে কোনও গ্রামে আর ঢেঁকি ছাঁটা বাকি থাকবে না।' পাশাপাশি বিরোধীদের (Opposition) প্রচ্ছন্ন হুঁশিয়ারি দিয়ে তৃণমূল বিধায়ক (TMC MLA) মদনের বার্তা, 'অনেক খুঁজেও কোথাও কোনও বিরোধী পাচ্ছি না, আমাদের মনে হয় না, বুথে কোনও এজেন্ট থাকবে, যদি বিরোধী এজেন্ট কোথাও থাকে, তাহলে ফেরার সময় বাতাসা দেব, ভোট শেষে হাতে একটা করে বাতাসা দিয়ে দেব, বলব মহাপ্রসাদ'। আর মদন মিত্রর যে বক্তব্যের পরই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।
আরও পড়ুন, সাংবাদিক বৈঠকে উঠল 'কুন্তল' প্রসঙ্গ, কাকে 'দালাল' বললেন শিক্ষামন্ত্রী ?
মদন মিত্রকে সরাসরি নিশানা করে বিজেপি (BJP) নেতা রাহুল সিনহা (Rahul Sinha) বলেছেন, 'জেলখাটা দুর্নীতিগ্রস্থ এক আসামীর থেকে আর কী ভাষা আশা করা যায়। গুড়-বাতাসা খাওয়ানোর একজন জেলে পচছে, আর এ সবে বেরিয়েছে। আবার কবে যাবে ঠিক নেই। তাই এই ধরনের লোকের মুখে গণতন্ত্রের কথা শোনা যাবে বলে প্রত্যাশাই রাখি না। হিংসা ছড়ানোর চেষ্টা, ভয় দেখানোর চেষ্টাই যে এরা করবে, সেটাই স্বাভাবিক।'