Topsia News: পুজোর চাঁদার জুলুম ! লোহার রড, বাঁশ দিয়ে মারধর গোটা পরিবারকে, তপসিয়ার গোবরায় ধুন্ধুমার
Kolkata News: পুজোর চাঁদা দিতে দেরি করা হচ্ছে, স্রেফ একথা বলে মারধর। লোহার রড, বাঁশ দিয়ে মারধর গোটা পরিবারকে। তপসিয়া থানায় অভিযোগ দায়ের।

হিন্দোল দে, তপসিয়া : তপসিয়ার গোবরায় পুজোর চাঁদার জুলুম ! গোবরা উজ্জ্বল সঙ্ঘের সদস্যদের একাংশের বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ। পুজোর চাঁদা দিতে দেরি করা হচ্ছে, স্রেফ একথা বলে মারধর। লোহার রড, বাঁশ দিয়ে মারধর গোটা পরিবারকে। বাড়ির নীচে দোকানে চড়াও হয়ে লাথি-ঘুসি মারা হয়। তপসিয়া থানায় অভিযোগ দায়ের। হামলাকারীরা সবাই তৃণমূলের সদস্য, অভিযোগ পরিবারের। হামলাকারীরা সবাই ফেরার, আতঙ্কে ভুগছে পরিবার।
দুর্গা পুজোর চাঁদা নিয়ে জুলুম খাস কলকাতায়। ঘটনাটি ঘটেছে তপসিয়া থানার অন্তর্গত গোবরা গোরস্থান রোডে। আক্রান্তের নাম অমিত সরকার। তাঁরা পরিবারের উপরেও আক্রমণ হয়েছে বলে অভিযোগ। মারধরের ঘটনায়, অভিযোগের তির গোবরা উজ্জ্বল সঙ্ঘের সদস্যদের একাংশের বিরুদ্ধে। আক্রান্ত অর্থাৎ অভিযোগকারীরা এই ক্লাবের সদস্যদের বিরুদ্ধের গুরতর অভিযোগ তুলেছেন।
অমিত সরকারদের একটি দোকান থেকে ৩০০০ টাকা এবং আরেকটি দোকান থেকে ১০০০ টাকা চাঁদা চাওয়া হয় লিখিত ভাবে। এর পাশাপাশি মৌখিক ভাবে আরও ৬০০০ হাজার টাকা দাবি করা হয়েছিল। অর্থাৎ মোট ১০ হাজার টাকা চাঁদা চাওয়া হয়। এই টাকা দিতে দেরি হওয়ায় মারধর করা হয়েছে অমিত সরকার ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের। অভিযোগ, প্রথমে অমিতের ভাইকে গালিগালাজ করা হয়। সেই ঝামেলা শুনতে পেয়ে বাড়ি থেকে নীচে নেমে আসেন অমিত। সেই সময় তাঁর সঙ্গে বাকবিতণ্ডা শুরু হয় দুষ্কৃতীদের। আচমকাই কথাবার্তার মাঝে অমিতকে মারধর করতে শুরু করে দুষ্কৃতীরা। অভিযোগ, বাঁশ, লোহার রড দিয়ে মারধর করা হয়েছে অমিতকে। তাঁকে বাঁচাতে এসে আক্রান্ত হন তাঁর ভাই, স্ত্রী, এমনকি বাবাও।
অমিত এবং তাঁর পরিবারের অভিযোগ, দুষ্কৃতীরা তৃণমূল আশ্রিত। পাশাপাশি অমিত এও জানিয়েছেন, তিনি নিজেও তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে যুক্ত। যে ক্লাবের সদস্যদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, সেই ক্লাবের সেক্রেটারিও ছিলেন। এই ঘটনায় তপসিয়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে। তবে পুলিশ বিশেষ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি বলেই অভিযোগ করেছেন অমিত। শুক্রবার দুপুরে এই ঘটনা ঘটেছে। অথচ রাত দেড়টা অবধি তপসিয়া থানায় বসেছিলেন আক্রান্ত অমিতের স্ত্রী। কিন্তু পুলিশ এফআইআর নিতে চায়নি প্রথমে। পরে অবশ্য তারা অভিযোগ নেয়। এমনটাই জানিয়েছেন অমিত সরকার। পাশাপাশি তিনি এও বলেছেন, ২০১২ থেকে ২০২৪ পর্যন্ত গোবরা উজ্জ্বল সঙ্ঘের সেক্রেটারি ছিলেন তিনি। ক্লাবের সেক্রেটারি থাকার পাশাপাশি পুজোরও সেক্রেটারি ছিলেন তিনি। বর্তমানেও তৃণমূল করেন। তবে ক্লাবের সঙ্গে যুক্ত নেই তিনি। এলাকার বিধায়ক তাঁকে নামে চেনেন বলেও জানিয়েছেন অমিত।






















