RG Kar Hospital News: ৪টে বিয়ে, স্ত্রী-দের উপরও অত্যাচার, চিকিৎসক ধর্ষণ-খুনে 'কীর্তিমান' সঞ্জয়ের আরও 'কীর্তি' প্রকাশ্যে
RG Kar Medical College Hospital News: পরিবার সূত্রে খবর, ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়, সঞ্জয়ের প্রথম স্ত্রীর। এরপর আরও তিনটি বিয়ে করে সঞ্জয়।
পার্থপ্রতিম ঘোষ এবং ময়ূখ ঠাকুর চক্রবর্তী, কলকাতা: আরজি করে চিকিৎসক খুনে ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ারের গুণপনার কথা এবার উঠে এল তারই পরিজনদের মুখে। অভিযোগ, বাড়ির সঙ্গে সম্পর্ক রাখত না সে। দেখত না মাকে। স্ত্রীর ওপরও মারাত্মক অত্য়াচার করত বলে অভিযোগ। প্রথম স্ত্রীর গর্ভাবস্থায় সন্তানের মৃত্যুর জন্য সঞ্জয়কেই দায়ী করেছেন তাঁর শাশুড়ি।
আর জি কর মেডিকেল কলেজে যে ভয়ঙ্কর ঘটনা ঘটেছে, তাতে মূল অভিযুক্ত ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ারের বিরুদ্ধে দিকে দিকে নিন্দার ঝড়, এমনকী ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়ের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন তাঁরই পরিবারের সদস্যরা। পরিবার সূত্রে খবর, সঞ্জয়ের বাবা, ট্যাক্সি চালাতেন। ভবানীপুরের এই বাড়িতেই বেড়ে ওঠা সঞ্জয় ও তাঁর ৪ বোনের।
জানা গিয়েছে, ২০১৯ সালে, সিভিক ভলান্টিয়ারের চাকরি পায় সঞ্জয়। যোগ দেয়, কলকাতা পুলিশের বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীতে। পরিবার সূত্রে খবর, ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়, সঞ্জয়ের প্রথম স্ত্রীর। এরপর আরও তিনটি বিয়ে করে সঞ্জয়। এই সঞ্জয়ের বিরুদ্ধে চাঞ্চল্যকর দাবি করেছেন তার প্রথম স্ত্রীর মা, অর্থাৎ শাশুড়ি।
আরও পড়ুন, 'চিৎকার করে কাউকে বলে দেবে তাই খুন করেছি', ভয়াবহ নৃশংসতার পরও নির্বিকার, নিরুত্তাপ সঞ্জয়
তিনি জানিয়েছেন, বিয়ের আগে ছেলে মদ খেত, বদমাইশি, মারধর, গালিগালাজ যা তা। মেয়ের ওপর অত্য়াচার করত। তারপরে তো থানায় ডায়েরিও করেছি। মেয়ের পেটে তিন মাস বাচ্চা ছিল, খারাপ হয়ে গেল। মারার পর আমি আনলাম ওকে আমার বাড়িতে। চিকিৎসা করালাম। পরে ক্যান্সার রোগ বেরোল।
এহেন সঞ্জয়ের মহিলা চিকিৎসককে খুন কি পূর্ব পরিকল্পিত ছিল? তা এখন খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
RG করে মহিলা চিকিৎসক খুনের ঘটনায় এবার তথ্য প্রমাণ জোগাড় করছে পুলিশ। বেশ কয়েকজনের বয়ান রেকর্ড করা হয়েছে। যে ডেলিভারি বয় হাসপাতালে ওই দিন মহিলা চিকিৎসককে অনলাইনে আনানো খাবার ডেলিভারি করেছিলেন, তাঁরও বয়ান নিতে চায় পুলিশ। অন্যদিকে পুলিশ সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই ময়নাতদন্তের রিপোর্ট নিহতের পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। আজ ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসকদল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করবে। বৈজ্ঞানিক তথ্য প্রমাণের পাশাপাশি, পারিপার্শ্বিক তথ্যপ্রমাণ মিলিয়ে গোটা বিষয়টি বিস্তারিতভাবে খতিয়ে দেখবে কলকাতা পুলিশের SIT।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে