Suvendu Adhikari: 'দায়ী মমতা', ভাঙড়কাণ্ডে প্রতিক্রিয়া শুভেন্দুর
Suvendu blamed Mamata on Bhangar Clash: আইএসএফ বিধায়ক নৌশাদ সিদ্দিকির গ্রেফতারির পর বিস্ফোরক রাজ্যের বিরোধী দলনেতা, ভাঙড়কাণ্ডে মমতাকে দায়ী করে কী বললেন শুভেন্দু ?

কলকাতা: আইএসএফ বিধায়ক নৌশাদ সিদ্দিকির (Naushad Siddiqui) গ্রেফতারির পর বিস্ফোরক রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। মূলত এদিন যখন আইএসএফ-তৃণমূলের সংঘর্ষে (ISF-TMC Clash)অগ্নিগর্ভ ভাঙড়, তখনও গ্রেফতার হননি নৌশাদ, তখনই আইএসএফ বিধায়কের প্রশংসা করেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। তবে ভাঙড়ের আঁচ কলকাতায় ভয়াবহ প্রভাব ফেলেছে। ততক্ষণে রণক্ষেত্রে পরিণত হয়ে ওঠে ধর্মতলা। আর তারই মাঝে টেনে-হিঁচড়ে আইএসএফ বিধায়ক নৌশাদ সিদ্দিকিকে প্রিজন ভ্যানে তুলে নিয়ে যায় পুলিশ। এরপরই গোটা ঘটনার জন্য তিনি তৃণমূল সুপ্রিমোকেই দায়ী করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। শুভেন্দু অভিযোগ জানিয়ে স্পষ্ট করে বলেছেন,' মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) করেছেন এটা।'
'মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় করেছেন এটা'
এদিন নৌশাদ সিদ্দিকি গ্রেফতারির পর শুভেন্দু অধিকারী বলেন, 'ওর প্রতি আমাদের সহানুভূতি -সমর্থন আছে। তবে এইভাবে ফোন তো করা উচিত নয়। নিশ্চয় খোঁজ খবর নেব। বিরোধী দলনেতার দায়িত্ব রাজ্যের সমস্ত আক্রান্ত বিরোধীদের পাশে দাঁড়ানো। এটা নবান্ন থেকে করা হয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় করেছেন এটা। সম্পূর্ণভাবে দায়ী। বেঙ্গল পুলিশ, কলকাতা পুলিশ নয়, এই পুলিশের নাম মমতা পুলিশ। এই জন্য কলকাতা পুলিশের বিরুদ্ধে সিবিআই মামলা করেছে দিল্লিতে। এই পুলিশ মমতা পুলিশ, এরা পিসি ভাইপো ছাড়া অন্য কাউকে চেনে না।'
পতাকা লাগানোকে ঘিরে তৃণমূল-আইএসএফ সংঘর্ষ
প্রসঙ্গত, হাতিশালায় পতাকা লাগানোকে ঘিরে তৃণমূল-আইএসএফ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। একে অপরের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ তোলে তৃণমূল-আইএসএফ। সংঘর্ষে ভাঙড়ে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয়।আর সেই আঁচ গিয়ে পড়ে কলকাতায়। ধর্মতলায় চলে আইএসএফের অবরোধ। ঘটনায় আইএসএফ কর্মীদের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ তুলেছে শাসকদল। জানা গিয়েছে, দুপক্ষের সংঘর্ষে চলে ইটবৃষ্টি। চলে বোমাবাজি। এমনকি গুলি চলারও অভিযোগও ওঠে। পোড়ে তৃণমূলের অফিস। এরপরেই ঘটনাস্থলে বিশাল পুলিশ বাহিনী এসে পৌঁছয়।
আরও পড়ুন, ভাঙড়কাণ্ডে রণক্ষেত্র কলকাতা, আহত ১৯ পুলিশ কর্মী !
পুলিশের সঙ্গে আইএসএফ কর্মীদের সংঘর্ষ
ধর্মতলায় অবরোধ তুলতে গেলে পুলিশের সঙ্গে আইএসএফ কর্মীদের সংঘর্ষ বাধে। আইএসএফ বিধায়ক নৌশাদ সিদ্দিকিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এরপরেই আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ধর্মতলা চত্বর। ইট ছুড়তে ছুড়তে পুলিশকে তাড়া করে আইএসএফ কর্মী-সমর্থকরা। ঘোরাল হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। পৌঁছয় আরও পুলিশ বাহিনী। বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে মুহুর্মুহু কাঁদানে গ্যাসের সেল ছুড়তে থাকে পুলিশ। তৃণমূলের পাল্টা অভিযোগ, তাদের পার্টি অফিস পুড়িয়ে দিয়েছে আইএসএফ। ঘটনা ঘিরে দফায় দফায় উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ভাঙড়। জখম হন দুই পক্ষের বেশ কয়েকজন। ঘটনায় বেশ কয়েকজনকে আটক করে লেদার কমপ্লেক্স থানার পুলিশ।






















