SSKM Hospital: রাতভর SSKM-এ স্ট্রেচারে পড়ে রোগী, অস্ত্রোপচারের জন্য ২ সপ্তাহ পর সময় দিল হাসপাতাল
Kolkata News: অস্ত্রোপচারের জন্য হাসপাতালের তরফে দুই সপ্তাহ পরে সময় দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
কলকাতা: SSKM হাসপাতালে রাতভর স্ট্রেচারে পড়ে রোগী। বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ থেকে পাঠানো রোগীর জন্য মেলেনি শয্যা। শিরদাঁড়ায় অস্ত্রোপচারের জন্য SSKM-এ পাঠানো হয় ওই রোগীকে। কিন্তু অস্ত্রোপচার করাতে এসে ২৪ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে স্ট্রেচারে পড়ে রয়েছেন রোগী। অস্ত্রোপচারের জন্য হাসপাতালের তরফে দুই সপ্তাহ পরে সময় দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। (SSKM Hospital)
রবিবার হাসপাতালে পৌঁছে দেখা যায়, স্ট্রেচারে শুয়ে রীতিমতো কাতরাচ্ছেন রোগী। জানা গিয়েছে, ওই রোগী আসানসোলের কুলটির বাসিন্দা। সপ্তাহ দুয়েক আগে ঝাড়খণ্ডে কাজে যান তিনি। সেখানে ছাদ থেকে পড়ে গিয়ে আঘাত পান। প্রথমে আসানসোল হাসপাতালে এবং পরবর্তী কালে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করা হয় তাঁকে। সেখানে শিরদাঁড়ায় অস্ত্রোপাচারের প্রয়োজন পড়ে তাঁর। (Kolkata News)
বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রায় দশ দিন ভর্তি ছিলেন ওই ব্যক্তি। এর পর অস্ত্রোপচারের জন্য SSKM-এর পাঠানো হয় তাঁকে। কিন্তু হাসপাতালে নিয়ে আসা হলেও, SSKM-এর তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়, এখন শয্যা খালি নেই। দুই সপ্তাহ পর আসুন তাঁরা। রোগীর পরিজনরা কী করবেন বুঝে উঠতে পারেননি। ফলে গত কাল থেকে হাসপাতালেই রয়েছেন তাঁরা। রোগী কাতরাচ্ছেন স্ট্রেচারে শুয়ে। কথাও বলতে পারছেন না। শনিবার সকাল ৭.৩০টা থেকে স্ট্রেচারে পড়ে রয়েছেন তিনি।
এই ঘটনায় তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন SSKM-এর জুনিয়র চিকিৎসকরা। তাঁরা জানিয়েছেন, সেন্ট্রাল রেফারেল সিস্টেম যেটা চালু হয়েছিল, তার মাধ্যমে কোথায় শয্যা আছে, কোথায় গেলে ফিরে আসতে হবে না, কোথায় গেলে সুবিধা হবে জানা যেত। কিন্তু সেটি ঠিক মতো কাজ না করাতেই হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে রোগীদের। আন্দোলনেও এই প্রসঙ্গ তুলেছিলেন তাঁরা।
রোগীর পরিবারের লোকজন এই মুহূর্তে SSKM-এই রয়েছেন। তাঁরা জানিয়েছেন, কী করা উচিত, কোথায় নিয়ে যাওয়া উচিত, বুঝে উঠতে পারছেন না তাঁরা। স্ট্রেচারে শুয়ে থাকা ওই রোগীর ওঠার ক্ষমতা নেই। পরিবারের এক সদস্যা বলেন, "ছাদ থেকে পড়ে গিয়েছে। আসানসোল হাসপাতালে একদিন রেখে, বর্ধমানে ১০ দিন রাখল। এক ঘণ্টা ওটিতে রেখেও কিছু করল না। বলল, এখানে হবে না, পিজি-তে নিয়ে যান। এখানে দেখালাম, বলছে বেড নেই।"
পরিবারের আর এক সদস্যা বলেন, "কাল থেকে বসে রয়েছি। ডাক্তার বলছেন, বেড খালি হলে ভর্তি করে নেব। অপেক্ষা করুন, নয়ত অন্যত্র নিয়ে যান। বর্ধমান থেকে এখানে পাঠিয়েছিল। ভর্তিই নিচ্ছে না, চিকিৎসা হবে কী করে?" রোগী পরিষেবা নিয়ে এর আগে সরব হয়েছিলেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। জেলা থেকে রেফার করা হলে কলকাতার হাসপাতালে শয্যা আদৌ খালি রয়েছে কি না, তা যাতে জানা যায়, তার জন্য সেন্ট্রাল রেফারেল সিস্টেমের সঠিক প্রয়োগের দাবি তোলেন তাঁরা। কিন্তু সমস্যার যে সমাধান হয়নি, তা এই ঘটনায় ফের প্রমাণিত হলেন।