Kolkata News: চিংড়িঘাটায় পার্কিং বিবাদ ! জামিন পেয়েই মহিলাকে রাস্তায় ডেকে থান ইট দিয়ে বারবার আঘাত
Parking Controversy: অভিযোগ, মদ্যপ অবস্থায় ১৮ তারিখ রাতের বেলায় এই মহিলার বাড়ির নীচে রাখা গাড়ির উপর চড়াও হন অভিযুক্তরা। মহিলা থানায় খবর দেন।

কলকাতা : পার্কিং বিবাদে এবার চিংড়িঘাটায় মহিলাকে থান ইট দিয়ে মার ! নির্ধারিত জায়গায় গাড়ি পার্ক করাকে কেন্দ্র করে অশান্তি বলে অভিযোগ ! গত ১৮ মার্চ পার্কিং নিয়ে বিবাদের ঘটনায় বিধাননগর পুলিশের হাতে ২ জন গ্রেফতার হন। জামিনে ছাড়া পেয়েই মহিলাকে বাড়ি থেকে ডেকে রাস্তায় বেধড়ক মার ! প্রকাশ্যে মহিলাকে থান ইট দিয়ে মারা হয়। ঘটনায় এখনও অধরা অভিযুক্তরা! বিধাননগরের ACP-র কাছে গিয়ে অভিযোগ জানিয়েছেন আক্রান্ত মহিলা।
কী ঘটনা ?
অভিযোগ, মদ্যপ অবস্থায় ১৮ তারিখ রাতের বেলায় এই মহিলার বাড়ির নীচে রাখা গাড়ির উপর চড়াও হন অভিযুক্তরা। মহিলা থানায় খবর দেন। তারপর ওই মদ্যপ দুই যুবককে নিয়ে যায় পুলিশ। পরের দিন এরা ছাড়া পান। তার অব্যবহিত পরেই এই ঘটনা। থান ইট নিয়ে যাকে ওই মহিলার উপর চড়াও হতে দেখা যায় তাঁর নাম টিঙ্কু মণ্ডল। এলাকায় তৃণমূলের সক্রিয় কর্মী হিসাবে পরিচিত। টিঙ্কু মণ্ডল ও তাঁর স্ত্রী এই দুইজনে পরের দিন সকালে গিয়ে এই মহিলাকে ডেকে বাড়ি থেকে নামান। ওই মহিলার উপর প্রথমে ঝাঁপিয়ে পড়েন টিঙ্কু মণ্ডলের স্ত্রী। হাতে থান ইট নিয়ে ওই মহিলার উপর চড়াও হন টিঙ্কু। তাঁকে আঘাত করেন। বারবার আঘাত করেন।
আক্রান্ত মহিলা বলেন, "ওঁরা প্রচণ্ড পরিমাণে নেশা করেছিলেন। এসে আমার গাড়িটাকে প্রথমে আটকান। পার্কিংয়ে ঢোকাতে দেওয়া হয়নি। আমি হর্ন দিচ্ছি। তখন আমাকে বলা হয়, আপনি কে ? এখানে কেন এসেছেন। আমি বলি, দাদা এখানে আমি থাকি। এখানে আমার পার্কিং আছে। এখানে পার্কিংয়ের চার্জ দিই। আমি পার্কিংয়ে গাড়িটা রাখলে আমাকে আর আমার বান্ধবীকে অশ্লীল ভাষায় কথা বলেন। দুটো ইট নিয়ে আমার গাড়িটা উনি ভাঙবেন। ওঁর বক্তব্য, আমার গাড়িটা উনি ভাঙবেন। যখন আমি দেখি শুনছেন না, গালাগালি দিয়েই যাচ্ছেন তখন আমি ১০০ ডায়াল করে পুলিশকে জানাই। এরপর থানা থেকে ওঁদের তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। আমার নাম-ফোন নম্বর সবই নেওয়া হয়। এবার আমি আমার রুমে চলে যাই। ওঁকে সকালে যখন থানা থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে, পাড়ার কয়েকজন ছেলে মিলে...হয়ত আমার রুমটা জেনেছে...গিয়ে আমায় নক করেন। বলা হয়, নীচে ক্লাবে কালকের বিষয় নিয়ে কথা বলার আছে। আপনাদের যেতে হবে। আমি আর আমার বান্ধবী মিলে নীচে যাই। নীচে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে...ক্লাব পর্যন্ত যাওয়া দূরের কথা...ওঁর স্ত্রী এসে প্রথমে আমার বান্ধবীর গায়ে হাত তোলেন। ওঁকে যখন আমি প্রোটেক্ট করতে এলাম তখন আমাকে ধরেন। ওঁর স্বামী একটা কথাই বলছেন, ইট দিয়ে মেরে এঁদের দু'জনের মাথা ফাটিয়ে দাও। আমি ওঁর (অভিযুক্তর) গ্রেফতারি দেখতে চাই।"
ট্রেন্ডিং
সেরা শিরোনাম
