Kunal Ghosh Exclusive : চাকরি দেবেন বলে মোটা টাকা নিতেন, এখনও রাজ্যের দাপুটে মন্ত্রী ! ABP আনন্দে বিস্ফোরক কুণাল
Kunal Ghosh On Recruitment Scam : এবিপি আনন্দ-র সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট সুমন দে-কে টানটান দেড়ঘণ্টার বিস্ফোরক সাক্ষাৎকার দেন কুণাল। দাবি করেন, নিয়োগ দুর্নীতির খবর আগেই ছিল দলের কাছে।
কলকাতা : ভোটের মুখেই কার্যত কুণাল ঘোষের ডানা ছাঁটল দল। বুধের বিকেলেই তাঁকে সরানো হয় রাজ্য সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে। সেই সঙ্গে জারি করা হয়, কড়া বিবৃতি। সম্প্রতি কুণালের করা মত সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত, দলের পরিপন্থী, জানিয়ে দেয় তৃণমূল। তারপরই সন্ধে বেলা এবিপি আনন্দ-র ঘণ্টাখানেক সঙ্গে সুমন অনুষ্ঠানে লাইভে আসেন কুণাল ঘোষ। এবিপি আনন্দ-র সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট সুমন দে-কে টানটান দেড়ঘণ্টার বিস্ফোরক সাক্ষাৎকার দেন কুণাল। দাবি করেন, নিয়োগ দুর্নীতির খবর আগেই ছিল দলের কাছে।
যে নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে তোলপাড় সারা রাজ্য, যে নিয়োগ দুর্নীতির জেরে প্রায় ২৬ হাজার জন চাকরি হারা, সেই নিয়োগ দুর্নীতির কথা ভালভাবেই জানত তৃণমূল। খবর ছিল তৃণমূলের কর্তাব্যক্তিদের কাছেও। পদ থেকে অপসারণের পরেই নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে এবিপি আনন্দে বিস্ফোরক তথ্য ভাগ করে নিলেন দলের প্রাক্তন মুখপাত্র ও রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষ । বললেন, গত বিধানসভা ভোটের আগে থেকেই তৃণমূলের কাছে খবর ছিল যে, চাকরি দেওয়ার নাম করে টাকা তোলা হয় এবং তার নেপথ্যে রয়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায় ! শুধু পার্থই নয়, টাকা আদায় করতেন তৃণমূলের আরও হেভিওয়েট নেতা, যিনি এখনও মন্ত্রিসভার সদস্যও বটে। কুণালের বিস্ফোরক দাবি, চাকরি বিক্রি জেনেও দল ব্যবস্থা নেয়নি। সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করেনি।
নিয়োগ দুর্নীতির জাল কতদূর বিছানো ও শিকড় গত গভীরে, তা বোঝাতে গিয়ে কুণাল ঘোষ ফিরে যান ২০১৬ সালে। যখন তিনি সারদা মামলায় জেলবন্দি। তখন তিনি প্রেসিডেন্সি জেলে। এক পুলিশ আধিকারিক নিয়ে এলেন এক ওয়ার্ডারকে। তিনি এসে জানালেন, একজন শিক্ষকের চাকরি হবে। তিনি কুণাল ঘোষের কাছে এসে সাহায্য চান। বলেন, কুণালবাবু, একটা হেল্প করে দিতে হবে। তৃণমূলের এক নেতা এই চাকরি দেওয়ার জন্য সাড়ে ৭ লক্ষ টাকা চেয়েছেন। তিনি জানান, ৫ লাখ জোগাড় করতে পেরেছেন একজন আত্মীয়র থেকে। কিন্তু বাকিটা মকুব করার জন্য যদি কুণাল ঘোষ একটা চিরকুট লিখে দেন। অর্থাৎ ঘুষের যদি ডিসকাউন্ট হয় !
এমন অনুরাধ শুনে তখন কুণাল ঘোষ বলেন, তাঁর সঙ্গে দলের সম্পর্ক শীতল। তাই তাঁর নাম বা রেফারেন্স নিয়ে গেলে হিতে বিপরীত হতে পারে। কুণাল ঘোষ জানেন না, সেই ব্যক্তির চাকরি হয়েছিল কিনা , কিন্তু তিনি জেনে গিয়েছেন, কে সেই ব্যক্তি !
কে সেই ব্যক্তি ? পার্থ চট্টোপাধ্যায়? না, পার্থ নন। পরিষ্কার জানালেন কুণাল। তবে তিনি এখনও দাপটের সঙ্গে জেলের বাইরেই আছেন, মন্ত্রিসভাতেও আছেন। সেই সঙ্গে কুণালের হুঁশিয়ারি, আশা করি দল আমাকে বাধ্য করবে না সেই নাম বলতে। এমনই নানা মারাত্মক অভিযোগ আনেন কুণাল ঘোষ।