Maha Kumbh Stampede:যোগী আদিত্য়নাথের পদত্য়াগের দাবি, সরব খোদ জ্যোর্তিপীঠের শঙ্করাচার্য অভিমুক্তেশ্বরানন্দ সরস্বতী
Maha Kumbh Stampede Update: এবার বিজেপির হিন্দুত্বের 'পোস্টার বয়' যোগী আদিত্যনাথের পরদত্য়াগ দাবি করলেন খোদ জ্যোর্তিপীঠের শঙ্করাচার্য অভিমুক্তেশ্বরানন্দ সরস্বতী।

কলকাতা: মহাকুম্ভে পদপিষ্ট (Maha Kumbh Stampede) হওয়ার ঘটনায়, এবার উত্তরপ্রদেশের মুখ্য়মন্ত্রী যোগী আদিত্য়নাথের ইস্তফার দাবি উঠল। দাবিটা তুললেন, খোদ জ্যোর্তিপীঠের শঙ্করাচার্য অভিমুক্তেশ্বরানন্দ সরস্বতী। তাঁর অভিযোগ, কুম্ভে পদপৃষ্ট হয়ে মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে ধোঁকা দিয়েছেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্য়মন্ত্রী। শঙ্করাচার্যের দাবি, কুম্ভ পর্ব চলতে চলতেই ইস্তফা দেওয়া উচিত যোগী আদিত্যনাথের। তিনি এই পদের যোগ্য নন তিনি। বিরোধীরাও যোগী আদিত্য়নাথের পদত্য়াগের দাবিতে সরব হয়েছে। পাল্টা বিরোধীদের খোঁচা দিয়েছে বিজেপি।
মহাকুম্ভে মহাবিপর্যয় এবং তথ্য় লুকোনোর অভিযোগে এবার বিজেপির হিন্দুত্বের 'পোস্টার বয়' যোগী আদিত্যনাথের পরদত্য়াগ দাবি করলেন
খোদ জ্যোর্তিপীঠের শঙ্করাচার্য অভিমুক্তেশ্বরানন্দ সরস্বতী। তিনি বলেন, "আমাদের আপনি এমন আভাস করালেন যে গুজব চলছে, কোনও মৃত্যু হয়নি। তো এত বড় ধোঁকা? সন্ত সমাজের সঙ্গে। এত বড় ধোঁকা সন্ত সনাতনীদের সঙ্গে? এত বড় ধোঁকা আমাদের সঙ্গে? কী করে ইনি (যোগী আদিত্যনাথ) করলেন? কেন করলেন? আপনি (যোগী আদিত্যনাথ) দেশের কাছে মিথ্যে কেন বললেন? সনাতনীদের কাছে মিথ্যে কেন বললেন? মিথ্যেবাদী মুখ্যমন্ত্রী (যোগী আদিত্যনাথ)। এত বড় ঘটনা যখন ঘটে গেছে, আপনি (যোগী আদিত্যনাথ) কেন আড়াল করছিলেন? আমরা তো বলি এমন মুখ্যমন্ত্রীকে কুম্ভ পর্ব চলতে চলতে ইস্তফা দিয়ে দেওয়া উচিত। ইনি পদের যোগ্য নন। ইনি মানুষকে মিথ্যে বলেন।''
সম্প্রতি মুকেশ আম্বানির ছেলের বিয়েতে আশীর্বাদ দেওয়ার জন্য় আমন্ত্রিত ছিলেন জ্যোর্তিপীঠের শঙ্করাচার্য। আম্বানি পুত্রর বিয়েতে উপস্থিত হন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও। সেখানে অভিমুক্তেশ্বরানন্দ সরস্বতীর পা ছুঁয়ে প্রণাম করেন তিনি। কুম্ভে মৃত্য়ুমিছিলের পর, জ্যোর্তিপীঠের সেই শঙ্করাচার্যর প্রবল সমালোচনার মুখে অস্বস্তিতে বিজেপি। এরইমধ্য়ে বিরোধীরাও যোগী আদিত্য়নাথের পদত্য়াগের দাবিতে সরব হয়েছে। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "এখানে প্রস্তুতি কম, ব্য়বস্থাপনা কম, পরিকল্পনা কম, প্রচার ঢাকঢোল পিটিয়ে পাবলিসিটি বেশি। খালি মার্কেটিং। আর পরিকল্পনা নেই। এখনও তো সরকার (উত্তরপ্রদেশের যোগী সরকার) সংখ্য়াই বলতে পারেনি, কখনও বলছে ৩০ জন, কখনও বলছে ৪০ জন।'' সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তীর কথায়" যোগীর পদত্য়াগ করা জরুরি। নাহলে মোদি-অমিত শাহের উচিত যোগীকে খারিজ করা''
পাল্টা বিরোধীদের খোঁচা দিয়েছে বিজেপি। রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, "আমাদের বিরোধীরা চাইছে, যে মৃত্য়ুর সংখ্য়া বা মৃত্য়ুটাকে দিয়ে হিন্দুদের পবিত্র উৎসবকে যেন একটা ফিয়ার সাইকোসিস তৈরি করা যায় কিচ্ছু লুকোনোর বিষয় নেই। একটা ভয়ের বাতাবারণ তৈরি করার চেষ্টা করা হচ্ছে, এত লোক মারা গেছে, এত লোক।''
ট্রেন্ডিং
সেরা শিরোনাম
