Mahishadal Rajbari Durga Puja: প্রতিপদ থেকেই উৎসবের সূচনা, রীতি মেনে তরোয়াল পুজো মহিষাদল রাজবাড়িতে
Durga Puja 2023: শিকারের জন্য রাজ পরিবারের সদস্যদের ব্যবহার করা তরোয়াল এখন দেবী মূর্তির পায়ের কাছে রাখা থাকে। রীতি মেনে করা হয় তরোয়াল পুজো।
বিটন চক্রবর্তী, পূর্ব মেদিনীপুর: প্রায় আড়াইশো বছরের পুরনো মহিষাদল রাজবাড়ির (Mahishadal Rajbari) দুর্গাপুজো (Durga Puja 2023)। ১৭৭৬ সালে মহিষাদলের রানি জানকীদেবীর আমলে দুর্গাপুজো শুরু হয়। প্রতিপদ থেকেই শুরু হয়ে যায় পুজোর আচার। বনেদিয়ানার জৌলুস কমলেও এখনও সাধারণ মানুষ ভিড় জমান পুজো দেখতে। আগে তিথি অনুযায়ী, সপ্তমীতে ৭ মণ, অষ্টমীতে ৮ মণ চালের ভোগ নিবেদন করা হত। সন্ধিপুজোয় কামান দাগার রেওয়াজ থাকলেও এখন তা বন্ধ। শিকারের জন্য রাজ পরিবারের সদস্যদের ব্যবহার করা তরোয়াল এখন দেবী মূর্তির পায়ের কাছে রাখা থাকে। রীতি মেনে করা হয় তরোয়াল পুজো।
মহিষাদল রাজবাড়ির দুর্গাপুজো: জলাশয় ঘেরা সবুজের মাঝে দাঁড়িয়ে আছে দুধসাদা রাজপ্রাসাদ। চারপাশে ছড়িয়ে আছে ইতিহাস, আছে গল্পগাথা। রাজাই শুধু নেই।মহালয়ার পরের দিন প্রতিপদ থেকেই শুরু হয়ে গেল প্রায় ২৫০ বছরের পুরনো মহিষাদল রাজবাড়ির দুর্গাপুজো। রাজ রাজত্বের জৌলুশ, আড়ম্বর অনেকটা কমলেও আচারে কোনও খামতি নেই। শোনা যায়, ১৭৭৬ সালে মহিষাদলের রানি জানকীর আমলে রাজবাড়ির দুর্গাপুজো শুরু হয়। গত রবিবার প্রতিপদে ঘট স্থাপনের মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে দুর্গাপুজো।
শোনা যায়, দুর্গাপুজো শুরু করার পরই খরার মধ্যেও গ্রামে ভাল ধান ফলেছিল। তাই ভাল ফসলের আশায় আজও দেবীর পাশে ধান রাখা হয়। পুজোয় ১০৮টি নীল পদ্ম দেওয়ার চলও রয়েছে। আগে পর্দার আড়াল থেকে সবকিছু দেখতে হত বাড়ির মহিলাদের। এখন সেই আড়াল উঠে গিয়ে সকলের সঙ্গে আনন্দ ভাগ করে নেন রাজবাড়ীর প্রমীলারা। আগে পুজোর দিন অনুযায়ী চালের ওজনের ভোগ রান্না হত। যেমন, পঞ্চমীতে পাঁচমণ, ষষ্ঠীতে ছয়, সপ্তমীতে সাতমণ। কিন্তু বর্তমানে সেই রীতি কিছুটা পাল্টেছে। আগে, সন্ধি পুজোর সময় কামান দাগা হত। কিন্তু সেসব এখন অতীত।বাড়ির সদস্যরা থাকেন কলকাতায়। পুজো হলেই ফিরে আসেন শিকড়ের টানে।
অন্যদিকে, কোচবিহারের (Coochbehar) বড়দেবীর পুজোর ইতিহাস ৫০০ বছরেরও বেশি পুরনো। দুর্গা এখানে পূজিতা হন বড়দেবী রূপে। কোচবিহারের বড়দেবীর পুজোর দায়িত্বে রয়েছে দেবোত্তর ট্রাস্ট। এই ট্রাস্ট পর্যটন দফতরের অধীনে। তাই পুজোর যাবতীয় খরচ মেটায় রাজ্য সরকার। একসময় রাজারা দিলেও, বর্তমানে মহাষ্টমীর দিন প্রথম অঞ্জলি দেন জেলাশাসক। এরপর সাধারণ মানুষ অঞ্জলি দেন। মহাষ্টমীর দিন কোচবিহারের বড়দেবীর পুজোয় পাঁঠা বলি, পায়রা বলির পাশাপাশি, মোষ বলিও দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: Durga Puja 2023: নাটমন্দিরে চলছে মহাযজ্ঞ, দেবী দুর্গারূপে তারা মাকে পুজো তারাপীঠে