Malda News: ওয়ার্ডের ভিতরে চড়ছে ছাগল, বিড়াল; মালদার হাসপাতালের পরিস্থিতিতে বিতর্ক
Malda News: হাসপাতালের করিডরে বসে রয়েছে ছাগল। তার পাশ দিয়েই যাতায়াত করছেন রোগী ও তাঁদের আত্মীয় পরিজনরা। ঘটনা মালদার হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রামীণ হাসপাতালের।

অভিজিৎ চৌধুরী, মালদা: আগাছায় ভর্তি গোটা হাসপাতাল। ওয়ার্ডের ভিতরে চড়ছে ছাগল, বিড়াল। বেহাল দশা হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রামীণ হাসপাতালের। রোগীদের অভিযোগ, হাসপাতালে নেই পানীয় জল, এমনকী পাওয়া যাচ্ছে না প্রয়োজনীয় ওষুধও।
হাসপাতালের করিডরে বসে রয়েছে ছাগল। তার পাশ দিয়েই যাতায়াত করছেন রোগী ও তাঁদের আত্মীয় পরিজনরা। ঘটনা মালদার হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রামীণ হাসপাতালের। তার মধ্যেই কোনও রকমে চিকিৎসা করাচ্ছেন শয়ে শয়ে মানুষ। হাসপাতালের চারিদিকে ছড়িয়ে আবর্জনা। দুর্গন্ধে টেকা দায়। শৌচালয়ের অবস্থা দেখলে বমি পায়। সেখানেও কোনও জলের ব্যবস্থা নেই বলে অভিযোগ রোগী ও তাঁর পরিজনদের। পানীয় জল থেকে শুরু করে প্রয়োজনীয় ওষুধ, বিছানার চাদর, রোগীরা কিছুই পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ। বেশিরভাগ শয্যার গদি ছেঁড়া, নোংরা। মহিলা এবং পুরুষ রোগীদের জন্য কোনও আলাদা বিভাগও নেই বলে অভিযোগ।
রোগীর আত্মীয় তনুজা বিবি বলেন, "হাসপাতাল খুব নোংরা। হাসপাতালের কোনও পরিষেবা ভাল নয়। শয্যা পরিষ্কার নয়, কোনও বালিশ নেই, কভার নেই। এই হাসপাতালে থাকলে অসুখ আরও বাড়বে। এক বেডে মেয়ে, এক বেডে ছেলে, কোনও গার্ড থাকে না।'' আরেক রোগী মাজারুল হক বলেন, "দুর্গন্ধে থাকা যাচ্ছে না। পরিষ্কার করে না, দেখতেই পারছেন কত আবর্জনা আছে। বেড়াল আসছে, ছাগল আসছে, সবই আসছে, বাথরুমে গন্ধতে যাওয়া যাচ্ছে না। এটা (মানুষের) হাসপাতাল মনে হচ্ছে না, পশুদেরই মনে হচ্ছে।''
হাসপাতালের বাইরের অবস্থা ভিতরের থেকেও খারাপ। গোটা হাসপাতাল চত্বর আগাছায় মোড়া। চারিদিকে ছড়িয়ে আবর্জনা। ভর্তি মশা, মাছি। রোগ সারাতে এসে আরও অসুস্থ হয়ে পড়ার আশঙ্কা ভুগছেন রোগীরা। এই হাসপাতালের উপর হরিশ্চন্দ্রপুর ১ এবং ২ নম্বর ব্লকের কয়েক লক্ষ মানুষ নির্ভরশীল। স্থানীয়দের দাবি, প্রতিদিন ৩০০ থেকে ৪০০ রোগী চিকিৎসার জন্য আসেন। এত রোগীর চাপ থাকলেও হাসপাতালে মাত্র ৬৫টা শয্যা রয়েছে। যারফলে রোগীদের ভর্তি হতেও সমস্যা তৈরি হয়। হরিশচন্দ্রপুরের ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক ছোটন মণ্ডল বলেন, "৩০০ জন রোগীকে সার্ভিস দিতে হচ্ছে, তার সঙ্গে আরও ২০০ জন রোগীর আত্মীয়। মোট ৫০০ জন লোকের সার্ভিস দিতে হচ্ছে। স্বাভাবিকভাবে অতিরিক্ত লোড একটা বড় কারণ। আবর্জনা সিডিউল মতো, যেমন যেমন সিডিউল থাকে সেই মতো পরিষ্কার করা হয়। বর্ষাকাল, এই সময়ে গাছপালা, আবর্জনা একটু বেশি বাড়ে, আমরা দেখে নিচ্ছি পরিষ্কার করে দেব।''






















