Malda News: মদের আসরে বচসা থেকে হাতাহাতি, মৃত ১, জখম ৩
Brawl Breaks Out: মদের আসরে বচসা। সেখান থেকে হাতাহাতি। অভিযোগ, সেই হাতাহাতির জেরেই মারা গেলেন ১ জন। জখম ৩। ঘটনাটি ঘটেছে মালদার ইংরেজবাজার থানার মহদিপুর এলাকায়। তদন্তে নেমেছে ইংরেজবাজার থানার পুলিশ।
করুণাময় সিংহ, মালদা: মদের (liquor) আসরে বচসা। সেখান থেকে হাতাহাতি। অভিযোগ, সেই হাতাহাতির (brawl) জেরেই মারা (killed) গেলেন ১ জন। জখম (injury) ৩। ঘটনাটি ঘটেছে মালদার (Malda) ইংরেজবাজার থানার মহদিপুর এলাকায়। তদন্তে নেমেছে ইংরেজবাজার থানার পুলিশ।
কী ঘটেছে?
আপাতত যা খবর, তাতে আহতদের প্রত্যেকেই মালদা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। নিহতের নাম সানিরুল শেখ বলে জানিয়েছে পুলিশ। বয়স ২৪ বছর। আহতদের নাম আলম শেখ, হাসিবুল শেখ ও আবলু শেখ। প্রত্যেকেরই বাড়ি মহদিপুরের বড় মসজিদ পাড়া এলাকায়। স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে খবর, শনিবার সন্ধ্যায় লিচুপাড়া এলাকার আম বাগানে এঁদেরই প্রত্যেকে মদ্যপান করছিলেন। হঠাৎ নিজেদের মধ্য়ে বচসা শুরু হয়ে যায়। এর পরেই শুরু হয় মারধর। একে অন্যকে ধারাল অস্ত্র দিয়ে কোপাতে শুরু করে। চিৎকার ছুটে আসে স্থানীয়রা। তড়িঘড়ি সকলকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসেন তাঁরাই। চিকিৎসা চলাকালীনই মৃত্যু হয় একজনের। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যায় ইংরেজবাজার থানা বিশাল পুলিশ বাহিনী। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। প্রসঙ্গত, মদ্যপ অবস্থায় আগেও বহু মর্মান্তিক ও শিউরে ওঠার মতো ঘটনা ঘটার অভিযোগ উঠেছে। এর মধ্যে একটি ঘটে গত জুনে।
মদ্যপ অবস্থায় 'চিকিৎসা'...
সে বার অভিযোগ উঠেছিল, মদ্যপ অবস্থায় রোগীর চিকিৎসা করতে গিয়ে মৃত্যু হয়েছে এক রোগীর। বিতর্কের কেন্দ্রে ছিল নদিয়ার এক হাসপাতাল। গোটা ঘটনাটি নিয়ে চাঞ্চল্য ছড়ায় কল্যাণী পৌরসভায় এক এলাকায়। নদিয়ার কল্যাণী জেএনএম হাসপাতাল ও মেডিকেল কলেজের ঘটনা নিয়ে অশান্তিও শুরু হয়। জানা যায়, মৃত যুবকের নাম নয়ন গোয়ালা। ঘটনার আগের দিন সন্ধ্যেয় কল্যাণী পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ড-এর মাঝেরচর এলাকার যুবক নয়ন গোয়ালা বাড়ির অ্যাকোয়ারিয়াম পরিষ্কার করতে গিয়ে তার গায়ে অ্যাকোয়ারিয়াম পড়ে যায়। অ্যাকোয়ারিয়ামের কাচ ভেঙে ডান হাতের শিরা কেটে যায়। এরপর গুরুতর জখম অবস্থায় তাকে নিয়ে আসা হয় কল্যাণী জেএনএম হাসপাতালে। মৃতের পরিবারের দাবী, হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা করার পর অবস্থার অবনতি হচ্ছিল বলে অন্যত্র স্থানান্তরিত করার তোড়জোড় শুরু হয়। সেই সময় স্থানান্তরের জন্য তৈরি হচ্ছিল কাগজপত্র। সেই সময় হঠাৎ করেই মদ্যপ অবস্থায় কর্তব্যরত একজন চিকিৎসক এসে বলেন, আমি সব করে দেব। পরিবারের তরফে এও বলা হয় যে ওই চিকিৎসক রোগীর হাতের ব্যান্ডেজ খুলে দেন। অভিযোগ, এর ফলে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হয়। অবস্থার অবনতিও হতে শুরু করে। এরপর তাঁকে আইসিইউতে ভর্তি করা হয়। পর দিন ভোরে মৃত্যু হয় নয়নের।
আরও পড়ুন:হাসপাতালে রণবীর-আলিয়া, কখন ভূমিষ্ঠ হচ্ছে সন্তান? অপেক্ষার প্রহর গোনা শুরু