![ABP Premium](https://cdn.abplive.com/imagebank/Premium-ad-Icon.png)
High Madrasa: বাবা ঝালমুড়ি বিক্রেতা, হাই মাদ্রাসায় প্রথম স্থান অর্জন রতুয়ার সারিফা খাতুনের
Malda News: মালদার (Malda) রতুয়া বটতলা আদর্শ হাই মাদ্রাসার ছাত্রী সে। পরিবারের হাজারো প্রতিবন্ধকতার মধ্য়েও যেভাবে সাফল্য পেয়েছে সারিফা, তাতে সবাই বেশ খুশি।
![High Madrasa: বাবা ঝালমুড়ি বিক্রেতা, হাই মাদ্রাসায় প্রথম স্থান অর্জন রতুয়ার সারিফা খাতুনের father is a Jhalmuri seller, Ratuar Sarifa Khatun won first place in High Madrasa High Madrasa: বাবা ঝালমুড়ি বিক্রেতা, হাই মাদ্রাসায় প্রথম স্থান অর্জন রতুয়ার সারিফা খাতুনের](https://feeds.abplive.com/onecms/images/uploaded-images/2022/05/30/5d3243cd6bc8d372e902c38d9b1f8809_original.jpg?impolicy=abp_cdn&imwidth=1200&height=675)
অভিজিৎ চৌধুরী, করুণাময় সিংহ, মালদা: অভাবের সংসার। বাবা ঝালমুড়ি বিক্রেতা। কিন্তু সেই সংসার আলো করল পরিবারের মেয়ে সারিফা খাতুন। এবারের হাই মাদ্রাসা (High Madrasa) বোর্ডের পরীক্ষায় প্রথম স্থান অধিকার করেছেন সে। মালদার (Malda) রতুয়া বটতলা আদর্শ হাই মাদ্রাসার ছাত্রী সে। পরিবারের হাজারো প্রতিবন্ধকতার মধ্য়েও যেভাবে সাফল্য পেয়েছে সারিফা, তাতে সবাই বেশ খুশি।
সারিফার পরীক্ষার প্রস্তুতি পর্ব
পাঁচ ভাই বোনের মধ্যে সে সবচেয়ে ছোট সারিফ। অভাবের সংসারে বাবার আয়ের ওপরই মূলত নির্ভরশালী গোটা পরিবার। নুন আনতে পান্তা ফুরনো পরিস্থিতি। কিন্তু এই অবস্থাতেও মনের জেদ ছিল অদম্য। আর সেই জেদের সঙ্গে ছিল কঠোর পরিশ্রম ও নিষ্ঠা। সাফল্য যে আসবেই, তা জানত সারিফা। কিন্তু প্রথম স্থান সে অধিকার করবে, এতটা হয়ত ভাবেনি।
প্রাইভেট টিউশন ছিল না
অভাবের সংসারে অর্থের অভাব। তাই জীবনের এত বড় পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য সারিফা কোনও টিউশন নেয়নি। করোনার ফলে স্কুলও বন্ধ ছিল। ফলে বাড়িতেই পঠন পাঠন করেছিল। দিনে ৯ ঘন্টা পড়াশোনা করত সারিফা। হাই মাদ্রাসা পরীক্ষায় তার প্রাপ্ত নম্বর ৭৮৬। তবে এখানেই থেমে থাকতে চায় না সে। সারিফা স্বপ্ন দেখছে চিকিৎসক হওয়ার। একদিন তার স্বপ্ন পূরণ হবে, এই আশায় পরিবারের লোকেরা।
প্রায় ৪০ দিন পর প্রকাশিত হল মাদ্রাসা এডুকেশনের ফল। গত ৭ই মার্চ হাই মাদ্রাসা (Madrasa), আলিম এবং ফাজিল শ্রেণির পরীক্ষা শুরু হয়। ২১ মার্চ পর্যন্ত চলে এই পরীক্ষা। পরীক্ষা শেষে ৪০ দিনের মাথায় ৩০ এপ্রিল ফল প্রকাশ হল এই পরীক্ষাগুলির (Exam)। ২০২১ সালে প্রতিটি পরীক্ষায় ১০০ শতাংশ পাশের হার থাকলেও ২০২২ সালে বদলে গেল সেই ফলাফলে। সোমবার পশ্চিমবঙ্গ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের তরফ থেকে ফল প্রকাশ করেন মাদ্রাসা এডুকেশনের সভাপতি আবু তাহের কামরউদ্দিন। এছাড়াও এই ফল প্রকাশ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সেক্রেটারি মান্নাফ আলী, ডেপুটি সেক্রেটারি সাবানা শামীম।
ট্রেন্ডিং
সেরা শিরোনাম
![ABP Premium](https://cdn.abplive.com/imagebank/metaverse-mid.png)