![ABP Premium](https://cdn.abplive.com/imagebank/Premium-ad-Icon.png)
Malda: পুলিশ সুপারের অফিসে বসে প্রতারণা! চাকরির নামে লক্ষাধিক টাকার হাতানোর অভিযোগ এক কর্মীর বিরুদ্ধে
নিয়োগ দুর্নীতিতে তোলপাড় রাজ্য-রাজনীতি। লক্ষ লক্ষ টাকার বিনিময়ে স্কুলে চাকরি বিক্রির অভিযোগ উঠেছে।
![Malda: পুলিশ সুপারের অফিসে বসে প্রতারণা! চাকরির নামে লক্ষাধিক টাকার হাতানোর অভিযোগ এক কর্মীর বিরুদ্ধে Malda Cheating sitting in the office of the Superintendent of Police! A worker is accused of embezzling lakhs of rupees in the name of job Malda: পুলিশ সুপারের অফিসে বসে প্রতারণা! চাকরির নামে লক্ষাধিক টাকার হাতানোর অভিযোগ এক কর্মীর বিরুদ্ধে](https://feeds.abplive.com/onecms/images/uploaded-images/2023/01/23/80b025c901849eb02ca4befc49e6de051674468032156176_original.jpg?impolicy=abp_cdn&imwidth=1200&height=675)
করুণাময় সিংহ, মালদা: পুলিশ সুপার (Malda Suparintendent Of Police) অফিসে বসেই প্রতারণার ফাঁদ! কনস্টেবলের চাকরি দেওয়ার নামে, এক যুবকের কাছ থেকে আড়াই লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠল মালদার পুলিশ সুপারের অফিসের এক চতুর্থ শ্রেণীর কর্মীর বিরুদ্ধে। ঘটনার পর থেকেই বেপাত্তা অভিযুক্ত। তাঁর খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ।
নিয়োগ দুর্নীতিতে তোলপাড় রাজ্য-রাজনীতি। লক্ষ লক্ষ টাকার বিনিময়ে স্কুলে চাকরি বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। এরই মধ্য়ে এবার, খোদ পুলিশ সুপারের অফিসে বসেই চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠল চতুর্থ শ্রেণির কর্মীর বিরুদ্ধে!
চাঞ্চল্যকর এই অভিযোগ উঠেছে মালদায়। পুখুরিয়ার বাসিন্দা, জাহাঙ্গির আলি নামে অভিযোগকারী ব্য়ক্তির দাবি, ২০২২ সালের জানুয়ারি মাসে, গাড়ি সংক্রান্ত সমস্য়া নিয়ে এসপি অফিসে গিয়েছিলেন তিনি। তখনই উত্তম ঘোষ নামে গ্রুপ ডি কর্মীর সঙ্গে আলাপ হয়। অভিযোগকারীর দাবি, ওই কর্মী, তাঁকে ৯ লক্ষ টাকার বিনিময়ে কনস্টেবল পদে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। সেই মতো অগ্রিম আড়াই লক্ষ টাকা দিয়েও দেন ওই ব্য়ক্তি।
অভিযোগকারীর দাবি, তাঁকে বলা হয়েছিল, অগাস্টের মধ্যে চাকরি হয়ে যাবে কিন্তু নভেম্বর পেরিয়ে গেলেও চাকরি না হওয়ায়, টাকা ফেরত চান তিনি কিন্তু, এখনও পর্যন্ত কোনও টাকা ফেরত মেলেনি বলে অভিযোগ। বিষয়টি নিয়ে তিনি মালদার পুলিশ সুপার ও জেলাশাসকের দ্বারস্থ হন।
এদিকে এই ঘটনার পর থেকেই বেপাত্তা অভিযুক্ত উত্তম ঘোষ। অফিস কিম্বা বাড়ি, কোথাও তাঁর দেখা মিলছে না। এদিকে, অভিযোগের কথা কার্যত স্বীকার করে নিয়েছেন অভিযুক্ত চতুর্থ শ্রেণির কর্মীর স্ত্রী। অভিযুক্ত গ্রুপ ডি কর্মীর স্ত্রী লক্ষ্মী ঘোষের কথায়, এর আগে এসেছিল জাহাঙ্গির আমার বাড়িতে। ওই বলল আমাকে। ...দেখেন, আমি তো জানি না, যদি নিয়েছে, তাহলে টাকার ব্য়বস্থা করে দিতেই হবে। ১০ তারিখে টাইম দিয়েছে।
পুলিশ সুপারের অফিসে বসেই প্রতারণার ফাঁদ! নেতা-মন্ত্রীরা করলে সরকারি কর্মীদের কী দোষ? কটাক্ষ বিজেপির। দক্ষিণ মালদা সাংগঠনিক জেলার বিজেপির সাধারণ সম্পাদক অম্লান ভাদুড়ির কথায়, পশ্চিমবঙ্গে এখন রক্ষকই ভক্ষক হয়েছে। এই ঘটনায় আশ্চর্য হওয়ার কিছু নেই। প্রশাসনের ওপরে যে সমস্ত নেতা-মন্ত্রীরা আছেন তারাই তো এখন টাকা নেওয়ার দায়ে জেলে আছেন । তাই এখন সরকারি কর্মীরাও ভাবছেন আমরাও কিছু টাকা তুলি কেবলমাত্র নেতারাই কেন টাকা খাবেন। এসপি অফিসে মানুষ যখন নিজের সমস্যা সমাধানে যান তখন সেখানকার কর্মী যদি প্রতারণা করে এর চেয়ে দুঃখের বিষয় কিছু হয় না। আশা রাখবো প্রশাসন এর যথাযোগ্য ব্যবস্থা নেবে।
মালদার তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি আব্দুর রহিম বক্সি বলছেন,এটা দলের কোন বিষয় নয়। কোন সরকারি কর্মী এই ধরনের ঘটনা ঘটিয়ে থাকলে প্রশাসন আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজত্বে আইনের শাসন আছে। পুলিশ সুপার জানিয়েছেন,ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। অভিযুক্তের খোঁজ চলছে। দোষ প্রমাণ হলে যথাযথ ব্য়বস্থা নেওয়া হবে।
ট্রেন্ডিং
সেরা শিরোনাম
![ABP Premium](https://cdn.abplive.com/imagebank/metaverse-mid.png)