Fake BDO Online Fraud: জয়েন্ট বিডিও পরিচয়ে টাকা আত্মসাৎ, প্রতারিত তৃণমূল পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামী
Malda fraud call: জয়েন্ট বিডিও-র নাম করে প্রথমে প্রশাসনিক বিষয় নিয়ে কথা বলে এক ব্যক্তি। কিছুক্ষণ পর দ্বিতীয়বার ফোন করে পারিবারিক অসুস্থতার কথা বলে ২০ হাজার টাকা চাওয়া হয়।
অভিজিৎ চৌধুরী,মালদা: প্রতারণার ফাঁদে পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামী। জয়েন্ট বিডিও পরিচয়ে আর্থিক সাহায্য চেয়ে ২০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয় বলে অভিযোগ। ঘটনাটি ঘটেছে মালদার হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়।
তৃণমূল প্রধানের স্বামী ও স্থানীয় তৃণমূল নেতা আফজল হোসেনের অভিযোগ, বুধবার জয়েন্ট বিডিও-র নাম করে প্রথমে প্রশাসনিক বিষয় নিয়ে কথা বলে এক ব্যক্তি। কিছুক্ষণ পর দ্বিতীয়বার ফোন করে পারিবারিক অসুস্থতার কথা বলে ২০ হাজার টাকা চাওয়া হয়। তৃণমূল নেতার দাবি, অনলাইনে টাকা পাঠিয়ে ওই নম্বরে ফোন করে আর সাড়া মেলেনি। হরিশ্চন্দ্রপুর থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। এ নিয়ে মন্তব্য করতে চাননি হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নম্বর ব্লকের জয়েন্ট বিডিও বিপ্লব ঘোষ ও আমিন মুর্মু।
অন্যদিকে, রেলে চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণার অভিযোগ। মালদার ইংরেজবাজার থেকে গ্রেফতার দুই অভিযুক্ত। চাঁচলের বাসিন্দা জ্যোর্তিময় পাণ্ডের অভিযোগ, রেলের গ্রুপ সি পদে চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাঁর কাছ থেকে ৬ লক্ষ টাকা দাবি করেন হুগলির ব্যান্ডেলের বাসিন্দা কামেশ্বর সিং। ১ লক্ষ ১৫ হাজার টাকা দেওয়ার পর ই-মেলের মাধ্যমে পাঠানো হয় নিয়োগপত্র।
আরও পড়ুন, বদলে যাচ্ছে মোবাইল ফোনের সেটিংস, নিজে থেকেই বিদেশে চলে যাচ্ছে কল, কসবার সংস্থায় সাইবার হানা?
গতকাল ডিআরএম অফিসে কাজে যোগ দিতে এসে ওই ব্যক্তি ও তাঁর সঙ্গীর ব্যবহার দেখে সন্দেহ হয় চাকরিপ্রার্থীর। ডিআরএম অফিসের সামনে থেকেই মূল অভিযুক্ত-সহ ২ জনকে গ্রেফতার করে ইংরেজবাজার থানার পুলিশ। ধৃতরা বিহারের পাটনার বাসিন্দা। রেলে চাকরি দেওয়ার নামে আন্তঃরাজ্য প্রতারণা-চক্র কাজ করছে কি না, খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
তবে প্রতারণা সর্বত্রই চলছে। কোচবিহার শহরের চেম্বারে হানা দিয়ে এক ভুয়ো চিকিৎসককে হাতেনাতে ধরল পুলিশ। গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁর ছয় সহযোগীকেও। পুলিশ সূত্রে খবর, মাধ্যমিক পাস যোগ্যতা নিয়েই চিকিৎসার ব্যবসা ফেঁদে বসেছিলেন শীতলকুচির বাসিন্দা। এই ভুয়ো চিকিৎসকের নাম নাম এমএ আলি। নামে এমএ থাকলে কী হবে, পুলিশ সূত্রে খবর, শিক্ষাগত যোগ্যতা মাধ্যমিক। প্যাডে লেখা এমবিবিএস, এমডি। স্পেশালাইজেশন হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে স্কিন অ্যান্ড নিউরো। রয়েছে রেজিস্ট্রেশন নম্বরও। প্রেসক্রিপশন দেখে মনে হবে, পাকা হাতে লিখেছেন কোনও অভিজ্ঞ চিকিৎসক।