Malda: প্রতিশ্রুতি পরেও মেলেনি চাকরি! প্রশাসনের দ্বারস্থ মৃত পরিযায়ী শ্রমিকদের পরিবার
Malda News: ২০১৯ সালে উত্তরপ্রদেশের ভাদোহিতে কার্পেট কারখানায় বিস্ফোরণ রাতারাতি পথে বসিয়েছিল এই পরিযায়ী শ্রমিকদের পরিবারগুলিকে। দুর্ঘটনায় মৃত্য়ু হয় মালদার মানিকচকের ৯ জন পরিযায়ী শ্রমিকের।
করুণাময় সিংহ, মালদা: চাকরির দাবিতে মালদার (Malda) জেলাশাসকের দ্বারস্থ হলেন ২০১৯ সালে ভিনরাজ্য়ে মৃত মানিকচকের ৯ পরিযায়ী শ্রমিকের পরিবার। প্রশাসনের প্রতিশ্রুতির পরেও অঙ্গনওয়াড়ি পদে চাকরি পাননি বলে অভিযোগ মৃতদের পরিবারের সদস্য়দের। এনিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর।
প্রশাসনের দ্বারস্থ মৃত পরিযায়ী শ্রমিকদের পরিবার: ২০১৯ সালে উত্তরপ্রদেশের ভাদোহিতে কার্পেট কারখানায় বিস্ফোরণ রাতারাতি পথে বসিয়েছিল এই পরিযায়ী শ্রমিকদের পরিবারগুলিকে। দুর্ঘটনায় মৃত্য়ু হয় মালদার মানিকচকের এনায়েতপুর গ্রামের ৯ জন পরিযায়ী শ্রমিকের। একদিকে, পরিজন হারানোর শোক। অন্য়দিকে, পরিবারের একমাত্র রোজগোরে সদস্য়ের আকস্মিক মৃত্য়ুতে দিশাহারা হয়ে যায় পরিবারগুলি। সেই সময় মৃতদের বাড়ি গিয়ে পরিবারের হাতে ২ লক্ষ টাকা আর্থিক অনুদান তুলে দেন পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম।
পাশাপাশি, মৃতদের পরিজনদের দাবি, পরিবারের এক সদস্য়কে যোগ্যতা অনুযায়ী অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে চাকরির প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিল প্রশাসন। কিন্তু সেই প্রতিশ্রুতির পর পেরিয়ে গিয়েছে ৪ বছর। মৃত পরিযায়ী শ্রমিকদের একজনের পরিবারের সদস্য়েরও চাকরি হয়নি বলে অভিয়োগ। প্রতিশ্রুতি সত্ত্বেও মেলেনি রেশন। বিড়ি বেঁধে কোনওরকমে সংসার চালাচ্ছেন তাঁরা। অভিযোগ বার বার প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েও কোনও লাভ হয়নি। এই পরিস্থিতিতে চাকরির দাবিতে বৃহস্পতিবার ফের মালদার জেলাশাসকের দ্বারস্থ হন মৃতদের পরিবারের সদস্য়রা। তাঁদের সঙ্গে ছিলেন আরএসপির মালদা জেলা সম্পাদক। মৃত পরিযায়ী শ্রমিকের স্ত্রী সুলতানা বিবি বলেন, “২০১৯ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি উত্তপ্রদেশে বিস্ফোরণে মারা যান। ফিরহাদ হাকিম এসেছিলেন। উনি চাকরির প্রতিশ্রুতি দেন। কিন্তু, চাকরি পাচ্ছি না। আমরা ডিএমের অফিসে গেছি। আমাদের কোনও ব্য়বস্থা করা হয়নি। চাকরি চাই আমরা।’’
এতে শুরু হয়েছে তুঙ্গে রাজনৈতিক চাপানউতোর। বিজেপির দক্ষিণ মালদা সাংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক অম্লান ভাদুড়ি বলেন, “আজকে ৩ বছর পেরিয়ে গেলেও এরা চাকরি পাননি। এটা খুব দুর্ভাগ্য়জনক। কারণ এভাবে যাঁরা মারা যাচ্ছেন তাঁদের পরিবার ২ লক্ষ টাকায় চলে না। স্বাভাবিকভাবে তাঁদের একটা কর্মসংস্থানের ব্য়বস্থা করা উচিত রাজ্য় সরকারের তরফে। কিন্তু, প্রশাসনের কোনও হেলদোল আমরা দেখছি না।’’ সম্প্রতি মিজেরামে দুর্ঘটনায় মৃত্য়ু হয়েছে মালদার ২৩ জন পরিযায়ী শ্রমিকের। ভিনরাজ্য়ে কাজে গিয়ে দুর্ঘটনায় মারা গিয়েছেন জেলার আরও ২ পরিযায়ী শ্রমিক। এই প্রেক্ষিতে, ৪ বছর আগে উত্তপ্রদেশে দুর্ঘটনায় মৃত পরিযায়ী শ্রমিকদের পরিবার এখনও চাতক পাখির মতো চাকরির অপেক্ষায়।
আরও পড়ুন: North 24 Parganas Weather: রোদ ঝলমলে আকাশ, দিনভর বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির পূর্বাভাস উত্তর ২৪ পরগনায়