Malda News: চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণা, অভিযুক্তকে পোস্টে বেঁধে রাখল মালদাবাসী
Malda Fraud Case: প্রতারণাকাণ্ডে মালদার হবিবপুরে অভিযুক্তকে পোস্টে বেঁধে রাখল স্থানীয়রা, উদ্ধার করতে ঘটনাস্থলে পুলিশ।
করুণাময় সিংহ,মালদা: চাকরি দেওয়ার নামে ও ব্যবসা করার অছিলায় টাকা নিয়ে প্রতারণার অভিযোগ (Fraud Case)। ৩৬ লক্ষ টাকা প্রতারণার অভিযোগ এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। মালদার হবিবপুরে অভিযুক্তকে পোস্টে বেঁধে রাখল স্থানীয়রা। ব্যবসার টাকা নেওয়ার কথা স্বীকার করলেও চাকরির প্রতিশ্রুতির কথা অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত।
অভিযুক্তকে পোস্টে বেঁধে রাখল স্থানীয়রা, উদ্ধার করতে এলে পুলিশের সঙ্গে বচসা
পোস্টের সঙ্গে বেঁধে রাখা হয়েছে এক ব্যক্তিকে। সঙ্গে একটার পর একটা প্রশ্ন। গ্রামবাসীর তরফে বলা হয়, এখন কী বলছিস, তুই বল? টাকা দিবি কি দিবি না? টাকা না দিলে না ছাড়ার হুমকি। চাকরি দেওয়ার নামে এবং ব্যবসা করার জন্য টাকা নিয়ে প্রতারণার অভিযোগ। তার জেরে এই ঘটনা। মালদার হবিবপুরের বক্সীনগরের ঘটনা। উদ্ধার করতে এলে পুলিশের সঙ্গে বচসা বেধে যায় গ্রামবাসীদের।
চাকরি দেওয়ার নাম করে ৩৬ লক্ষ টাকা নেন অভিযুক্ত
সঞ্জীব সরকার নামে হবিবপুরের এক বাসিন্দার অভিযোগ, ব্যবসা করা ও চাকরি দেওয়ার নাম করে তাঁর কাছে থেকে ৩৬ লক্ষ টাকা নেন অভিযুক্ত। কিন্তু, এক বছর পরেও টাকা ফেরত বা চাকরি মেলেনি। উল্টে এলাকা থেকে বেপাত্তা হয়ে যান অভিযুক্ত। শনিবার সকালে তাঁকে এলাকায় দেখতে পেয়ে পোস্টে বেঁধে রাখেন গ্রামবাসীরা।খবর পেয়ে ওই ব্যক্তিকে উদ্ধার করতে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত চলছে।
প্রতারণা চক্রে জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছিল খোদ পুলিশকর্মীর বিরুদ্ধেই
চলতি বছরের মে মাসেই আরও এমনই একটি ঘটনার সাক্ষী কলকাতা।সরকারি চাকরি দেওয়ার নাম করে প্রতারণা চক্র চালানোর অভিযোগ উঠেছিল শহরে। সেই চক্রে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছিলেন খোদ পুলিশকর্মী। পুলিশের জালে ধরা পড়েছিলেন এক সিভিক ভলান্টিয়ারও। স্বাস্থ্য দফতরে চাকরি দেওয়ার নামে পুলিশকর্মীদের থেকে টাকা তোলার অভিযোগ ছিল।
আরও পড়ুন, ডেঙ্গি আক্রান্তের নিরীখে শীর্ষে উত্তর ২৪ পরগনা, দ্বিতীয় কলকাতা
'স্বচ্ছ নিয়োগ'
পুলিশকর্মীদের পরিবারের সদস্যদের স্বাস্থ্য দফতরে চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণার অভিযোগ উঠেছিল। এই অভিযোগেই গ্রেফতার বেনিয়াপুকুর থানার এএসআই এবং তাঁর স্ত্রী। উলুবেড়িয়া থেকে গ্রেফতার হয়েছিলেন ১ সিভিক ভলান্টিয়ারও। লালবাজারে অভিযোগ করার পরেই গ্রেফতার হয়েছিলেন অভিযুক্তরা। ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ারের নামে সৈকত দে। গ্রেফতার হয়েছিলেন বেনিয়াপুকুর থানার এএসআই সঞ্জীব দেড়ে ও তাঁর স্ত্রী বর্ণালী দেড়ে। সম্প্রতি স্বচ্ছ নিয়োগের দাবিতে রাস্তায় নেমেছিলেন পুলিশে চাকরিপ্রার্থীরা।আর তারপরপরই, পুলিশের বিরুদ্ধেই উঠে এসেছিল চাকরির টোপ দিয়ে আর্থিক প্রতারণার অভিযোগ।