Malda News: 'বৌদির সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক'-র জের, কৃষি দফতরের কর্মীকে 'গণধোলাই'-র ছবি ভাইরাল
Malda Extra Marital Affairs :৩০ বছর আগে কৃষি দফতরের কর্মীর সঙ্গে বিয়ে হয় এক মহিলার, বিয়ের পর..
করুণাময় সিংহ, মালদা: বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক এবং স্ত্রীর ওপর নির্যাতনের অভিযোগ। কৃষি দফতরে এক কর্মীকে গণধোলাই দিল স্থানীয় বাসিন্দারা। মারধরের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল। ঘটনাটি করেছে মালদার ইংরেজবাজার শহরের সিংগাতলা এলাকায়।
বৌদির সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের জের
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ৩০ বছর আগে কৃষি দফতরের কর্মীর সঙ্গে বিয়ে হয় এক মহিলার। বিয়ের পর থেকে নানা রকম অশান্তি লেগে থাকত পরিবারে। সম্প্রতি এক মহিলার সাথে জড়িয়ে পড়েন কৃষি দফতরের কর্মী বলে অভিযোগ। এমনকি এরপর থেকে স্ত্রীর ওপর নির্যাতনের মাত্রা ছাড়াই বলে অভিযোগ । বিষয়টি জানাজানি হতে কৃষি দপ্তরের ওই কর্মীকে গণধোলাই দিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। ইংরেজবাজার থানায় স্বামীর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই মহিলা। অভিযুক্তকে পুলিশ আটক করেছে। যদি নিজের বিরুদ্ধে ওটা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন কৃষি দফতরের ওই কর্মী। ঘটনার তদন্ত শুরু করছে ইংরেজবাজার থানার পুলিশ।
কৃষি দফতরের কর্মীকে গণধোলাই স্থানীয়দের
বৌদির সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের জেরে মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছিল পূর্ব মেদিনীপুর জেলার মহিষাদলের চক-গাজিপুরেও।মহিষাদলে স্ত্রী ও সাত মাসের শিশুকন্যাকে খুন করে সিলিং ফ্যানে ঝুলিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল স্বামীর বিরুদ্ধে। অভিযুক্তকে গণপ্রহার দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছিলেন স্থানীয়রা। অভিযুক্ত যুবক ও তাঁর বৌদিকে আটক করেছিল পুলিশ (Police)। স্থানীয় সূত্রে খবর এসেছিল, তমলুকের সোনম খাতুন (২৩)-এর সঙ্গে ২ বছর আগে বিয়ে হয়েছিল মহিষাদলের (Mahishadal) লক্ষা ১ নম্বর গ্রামপঞ্চায়েতের চকগাজীপুরের বাসিন্দা শেখ সলমনের। সাত মাসের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে তাঁদের।
আরও পড়ুন, 'দিদি ভাইকে তো ফেরাতে পারে না..', দেবের 'ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যান' নিয়ে কী বার্তা মুখ্যমন্ত্রীর ?
সন্ধ্যায় শ্বশুরবাড়ি থেকে ফোন যায় সোনমের বাবা মইনুদ্দিন আলির কাছে। বলা হয়, কন্যা সন্তান সহ আত্মহত্যা করেছেন সোনম। সোনমের বাপের বাড়ির লোকজনের দাবি, সেখানে পৌছে তাঁরা দেখেন, মা-মেয়ের দেহ শোয়ানো রয়েছে খাটের ওপর।সোনমের বাবার অভিযোগ, জামাইয়ের সঙ্গে তাঁর বৌদির বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক রয়েছে। সে কথা সোমন জানতে পেরে যাওয়ায়, শুরু হয়েছিল অশান্তি। তার জেরেই এই জোড়া খুন। বিষয়টি জানাজানি হতেই স্থানীয়রা অভিযুক্ত সলমনকে মারধর করেন। পরে মহিষাদল থানার পুলিশ গিয়ে উদ্ধার করে নিয়ে এসেছিল অভিযুক্তকে। পুলিশ ওই যুবক ও তাঁর বৌদিকে আটক করেছিল।