Malda News:জ্বরে আক্রান্ত ৪ বছরের শিশু, মালদা মেডিক্যালে রেফার, মাশুল দিতে হল চিকিৎসককে !
Malda Doctor Attacked: ফের আক্রান্ত চিকিৎসক, এবার ঘটনাস্থল মালদা..
করুণাময় সিংহ, মালদা: আবার আক্রান্ত চিকিৎসক। এবারে পুরাতন মালদার মৌলপুর স্বাস্থ্য কেন্দ্রের ঘটনা। জ্বরে আক্রান্ত চার বছরের শিশুকে মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করায় চিকিৎসককে গালিগালাজ ধাক্কাধাক্কি।
জানা গিয়েছে, গতকাল সকালে পুরাতন মালদার রাঙ্গামাটিয়া এলাকার এক ব্যক্তি তার চার বছরের শিশুকে মৌলপুর স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করেন। বিকেল সাড়ে তিনটে নাগাদ চিকিৎসক অরিন্দম চাকী ওই শিশুকে দেখার পর মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করেন। আর এতেই উত্তেজিত হয়ে পড়েন রোগীর আত্মীয়রা। ধাক্কাধাক্কি করা হয় কর্তব্যরত চিকিৎসককে। এমন চলে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ। মালদা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে। এই ঘটনায় আক্রান্ত চিকিৎসক মালদা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। ঘটনা তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
রোগী মৃত্যুকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা মানিকচক গ্রামীণ হাসপাতালে। বুধবার ভোরে জ্বর নিয়ে মানিকচক গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি হন শফিকুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি(৩৫)। কিছুক্ষণ বাদেই মৃত্যু হয় তার। ভুল চিকিৎসায় মৃত্যু হয়েছে রোগীর এই অভিযোগ কে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছাড়াই হাসপাতাল চত্বরে। পরিস্থিতি সামাল দিতে হিমশিম খেতে হয় মানিকচক থানার পুলিশ আধিকারিকদের। মৃত ব্যক্তি মানিকচকের বড় বাগান এলাকার বাসিন্দা। কিভাবে রোগীর মৃত্যু হল ঘটনার তদন্ত করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন মানিকচকের বি এম ও এইচ।
সম্প্রতি আরজিকর কাণ্ডের আবহে ভুল চিকিৎসায় এক তরুণী গৃহবধূর মৃত্য ঘিরে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়েছিল সাগরের কচুবেড়িয়াতে। এই ঘটনায় অভিযোগের তির এক কোয়াক চিকিৎসকের বিরুদ্ধে। গতকাল সন্ধেয় দফায় দফায় মৃত তরুণীর পরিবারের লোকজন ওই কোয়াক চিকিৎসকের চেম্বার ঘিরে বিক্ষোভ দেখায় ও ভাঙচুর চালায়। ঘটনাস্থলে সাগর থানার পুলিশ এলে বিক্ষোভ আরও চরমে ওঠে। পুলিশকে ঘিরে ধরে চলে বিক্ষোভ ও ধস্তাধস্তি। এরপর পুলিশ ওই কোয়াক চিকিৎসক পিঙ্কু দাসের চেম্বারটি সিল করে দেয়।
আরও পড়ুন, লক্ষ্মী পুজোর সকালেই বৃষ্টি শুরু কলকাতায়, আশঙ্কা বাড়াচ্ছে নিম্নচাপ, কেমন থাকবে আবহাওয়া ?
রাতেই আটক করা হয় পিঙ্কু দাসকে। মৃতার পরিবারের অভিযোগ, স্থানীয় কচুবেড়িয়ার বাসিন্দা কুড়ি বছরের রুমা আড়ি পেটে ব্যাথা, বমির উপসর্গ নিয়ে পিঙ্কু দাসের চেম্বারে আসেন। চেম্বারের মধ্যে রেখে শুরু হয় চিকিৎসা। রুমাকে দেওয়া হয় ইঞ্জেকশন। এই ইঞ্জেকশন দেওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যে রুমার শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। তরুণীর মুখ থেকে গ্যাঁজলা বেরতে থাকে। সন্ধে নাগাদ সাগর ব্লক হাসপাতালে নিয়ে গেলে তরুণীকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। এই ঘটনায় মৃতার পরিবারের পক্ষ থেকে এখনও থানায় কোনও লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়নি।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।