Malda: পঞ্চায়েতে সভা চলাকালীন প্রধানকে প্রাণে মারার হুমকির অভিযোগ, কাঠগড়ায় বিরোধী দলনেত্রীর স্বামী
Manikchak: পুলিশকে ঘটনার খবর দেওয়া হলে সেখান থেকে দুষ্কৃতীদের নিয়ে চম্পট দেয় বিরোধী দলনেত্রীর স্বামী।
করুণাময় সিংহ, মানিকচক : পঞ্চায়েতে সাধারণ সভা চলাকালীন প্রধান ও সরকারি কর্মীদের প্রাণে মারার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠল বিরোধী দলনেত্রীর স্বামীর বিরুদ্ধে। মানিকচকের গোপালপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ঘটনা। পুলিশকে ঘটনার খবর দেওয়া হলে সেখান থেকে দুষ্কৃতীদের নিয়ে চম্পট দেয় বিরোধী দলনেত্রীর স্বামী। তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে আসে মানিকচক থানার পুলিশ বাহিনী।
ঘটনাটা কী ?
মালদার মানিকচক ব্লকের গোপালপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের প্রধান আঞ্জুনারা খাতুন গ্রাম পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যদের নিয়ে একটি সাধারণ সভা ডাকেন। অভিযোগ, সভা চলাকালীন পঞ্চায়েতের বিরোধী দলনেত্রী তথা কংগ্রেসের পঞ্চায়েত সদস্য শামিমা পারভিনের স্বামী সুফি কামাল ওরফে পিন্টু ও কয়েকজন দুষ্কৃতী সভাকক্ষে প্রবেশ করেন। তাঁর মতো কাজ বণ্টনের দাবি তুলে প্রথমে গোপালপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের নির্মাণ সহায়ককে হুমকি দেন বলে অভিযোগ। সেই সময়ই পঞ্চায়েত প্রধানকে সঠিক কাজ বণ্টনের দাবিতে প্রাণে মারার হুমকিও দেওয়া হয়।
এই বিষয়ে গোপালপুর অঞ্চল প্রধান বলেন, "আমাদের সাধারণ সভা চলাকালীন হঠাৎ করে বিরোধী দলনেত্রীর স্বামী সুফি কামাল দুষ্কৃতীদের নিয়ে আমাকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেন। দুষ্কৃতীদের কোমরে গামছা বেঁধে তার মধ্যে অস্ত্র নিয়ে এসেছিলেন। আমি প্রাণের আতঙ্কে আছি। কীভাবে পঞ্চায়েত অফিসে আসব ? আমার সকল পঞ্চায়েত সদস্যও আতঙ্কে রয়েছেন। পুলিশ প্রশাসনকে সঠিক তদন্ত করে দুষ্কৃতীদের শাস্তির ব্যবস্থার আবেদন করছি।"
এনিয়ে তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি মোহাম্মদ নাসির বলেন, "সভা ১৫-২০ মিনিট চলার পর, তিন-চার জন দুষ্কৃতী কালো রঙের ভয়ঙ্কর পোশাক পরে আগ্নেয়াস্ত্র-সহ প্রবেশ করে সভাকক্ষে। নির্মাণ সহায়ক, প্রধান সহ সকল মেম্বারকে দেখে নেওয়ার হুঁশিয়ারি দেয়।"
যদিও বিরোধী দলনেত্রীর স্বামী সুফি কামালের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হল তাঁকে পাওয়া যায়নি। তবে এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন মানিকচক পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য ও কংগ্রেস নেতা মোঃ আসিরুদ্দিন। তিনি বলেন, এই ধরনের ঘটনা কাঙ্খিত নয়। বিষয়টি থানা থেকে ডিএম সবাইকে জানানো হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, দিনকয়েক আগে বিজেপির সাংসদ-বিধায়কদের জিব টেনে ছিঁড়ে নেওয়ার 'বিধান' দেওয়ার অভিযোগ ওঠে জেলা তৃণমূল সভাপতি তথা মালতিপুরের বিধায়ক আব্দুর রহিম বক্সির (Malatipur TMC MLA Abdur Rahim Boxi) বিরুদ্ধে। মালদার বামনগোলায় পথসভা থেকে এমন আক্রমণ শানান তিনি, অভিযোগ সে রকমই। এলাকায় সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরি করতে চাইছে তৃণমূল, পাল্টা আক্রমণে বিজেপি বিধায়ক জুয়েল মুর্মু।