Malda News: রাতভর টানা বৃষ্টিতে ভাসছে মালদার রতুয়া, জলমগ্ন একের পর এক গ্রাম
Flood Situation: টানা বৃষ্টি ঘুম কেড়েছে মালদার রতুয়ার বাসিন্দাদেরও। রবিবারই বিপদসীমা পেরিয়েছে গঙ্গা। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ফুলহারের জলস্তরও।
করুণাময় সিংহ, মালদা: রাতভর টানা বৃষ্টিতে ভাসছে জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) বানারহাট ও মালদার (Malda) রতুয়া। নদীর জল ঢুকে একের পর এক গ্রাম জলমগ্ন। আটকে কয়েক হাজার বাসিন্দা। বৃষ্টি বাড়লে যোগাযোগও বিচ্ছিন্ন হবে। আশঙ্কায় স্থানীয়রা।
টানা বৃষ্টিতে জলমগ্ন: একদিকে জলপাইগুড়ির বানারহাট, অন্যদিকে মালদার রতুয়া, ভাসছে গ্রামের পর গ্রাম। রাতভর টানা বৃষ্টি হয়েছে ভুটান পাহাড় ও ডুয়ার্সে। ফুঁসছে ডুডুয়া, জলঢাকা, কালুয়া, আংরাভাসা নদী। জলবন্দি হয়ে পড়েছে দেড়শোরও বেশি পরিবার। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বানারহাট ব্লকের গয়েরকাটা এলাকা। কালুয়া, আংরাভাসা নদীর জল হু হু করে ঢুকছে গ্রামে। ঘরের ভিতর প্রায় হাঁটু জল। অনেকে বাড়ি ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন। গয়েরকাটার বাসিন্দা স্বপন সরকার বলেন, “পাহাড়ে বৃষ্টি হচ্ছে। আচমকা জল বেড়ে গেছে। আরও জল বাড়লে বন্যা হয়ে যাবে।’’ গয়েরকাটার আরেক বাসিন্দা বাপি দে বলেন, “বর্ষাতেও এত জল হয়নি, প্রায় ১০০ পরিবার আটকে।’’
প্রশাসনের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ বাসিন্দারা: টানা বৃষ্টি ঘুম কেড়েছে মালদার রতুয়ার বাসিন্দাদেরও। রবিবারই বিপদসীমা পেরিয়েছে গঙ্গা। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ফুলহারের জলস্তরও। রুহিমারি, গঙ্গারামটোলা, সম্বলপুর, কোতুয়ালি-সহ প্রায় ২০টি গ্রাম জলের তলায়। বছর বছর বর্ষায় এভাবে জলের সঙ্গে যুদ্ধ। প্রশাসনের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ রতুয়ার বাসিন্দারা।
সম্বলপুরের বাসিন্দা অর্জুন মণ্ডল বলেন, “চারদিন আগে ঘরে জল ঢুকেছে৷ একটা ছেঁড়া ত্রিপল ছিল৷ সেটাই মাথার উপর টাঙিয়েছি ৷ এখনও প্রশাসনের কেউ এলাকায় আসেনি৷ ত্রাণও জোটেনি৷’’ মহানন্দটোলার পঞ্চায়েত প্রধান কৃষ্ণা সাহা বলেন, “সবচেয়ে বড় সমস্যা পানীয় জলের৷ গোখাদ্যেরও সমস্যা প্রচণ্ড৷ বানভাসি মানুষের জন্য দুটো ফ্লাড সেন্টার খোলা হয়েছে৷ কিন্তু মানুষ বাড়িতে জিনিসপত্র, গরু-বাছুর ছেড়ে যেতে চাইছে না৷’’জেলাশাসক নীতিন সিংহানিয়া জানিয়েছেন, পর্যাপ্ত পরিমাণে ত্রাণ মজুত আছে। বিডিওকে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছি।
এদিকে ফের গঙ্গা ভাঙ্গন মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জে । বোগদাদনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত প্রতাপগঞ্জ গ্রামে গঙ্গা ভাঙ্গন শুরু হয় আজ সকাল থেকে। ইতিমধ্যেই তলিয়ে গিয়েছে দুটি বাড়ি। আরও বেশ কিছু বাড়ি যে কোনও সময়ে তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কায়। বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে আতঙ্কিত মানুষজন তাদের বাড়িঘর ভেঙে নিয়ে নিরাপদ দূরত্বে সরে যাওয়ার চেষ্টা করছেন।
আরও পড়ুন: Dengue: ডেঙ্গি সংক্রান্ত তথ্য গোপনের অভিযোগ উঠল রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে!