Malda News: স্কলারশিপের শংসাপত্র আনতে গিয়ে পড়ুয়াকে মারধরের অভিযোগ বিজেপি বিধায়কের বিরুদ্ধে
এমনকি সেই সময়ে শংসাপত্র চাওয়ায় বিধায়ক ওই ছাত্রকে মারধর করেন বলেও অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনার লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে গাজোল থানায়।
করুণাময় সিংহ, মালদা: কলেজ পড়ুয়াকে মারধরের অভিযোগ গাজলের বিজেপি (BJP) বিধায়ক চিন্ময় দেব বর্মনের বিরুদ্ধে। গাজোল থানার বিধায়কের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। যদিও মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বিজেপি (BJP) বিধায়ক।
গাজন কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র রথীন টিকাদারের অভিযোগ গতকাল স্কলারশিপের জন্য বিধায়কের সই এবং সার্টিফিকেট আনতে গিয়েছিলেন বিধায়কের বাড়িতে। দীর্ঘক্ষণ বসিয়ে রাখা হয় তাঁকে। আবেদনপত্রে বিধায়ক সই করলেও বিধায়কের শংসাপত্র দিতে চাননি তিনি। বারবার শংসাপত্র চাওয়ার পরও মেলেনি বলে অভিযোগ।
এমনকি সেই সময়ে শংসাপত্র চাওয়ায় বিধায়ক ওই ছাত্রকে মারধর করেন বলেও অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনার লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে গাজোল থানায় (Gajol Police Station)। যদিও নিজের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বিজেপি বিধায়ক (BJP) চিন্ময় দেব বর্মন। তিনি বলেন, মানুষকে পরিষেবা দেওয়ার জন্য দিনরাত কাজ করছি। আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করা হচ্ছে তা ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
এর আগে বড়দিনের রাতে থিয়েটার রোডের নাইট ক্লাবে মত্ত যুবক-যুবতীদের তাণ্ডব। বাধা দিলে পুলিশকে মারধরের অভিযোগ। পুলিশ সূত্রে খবর, গতকাল থিয়েটার রোডের নাইট ক্লাবে কয়েকজন মত্ত যুবক-যুবতী তাণ্ডব চালায়। নাইট ক্লাব কর্তৃপক্ষ তাঁদের বের করে দেওয়ায়, রাস্তায় নেমে চলে অভব্যতা। বাধা দিলে কর্তব্যরত পুলিশ কর্মীকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে শেক্সপিয়র সরণি থানার পুলিশ।
পাশাপাশি বারাবনিতে (Baraboni) বিজেপি (BJP) যুব মোর্চার দুই কর্মীকে মারধরের অভিযোগ ওঠে। হামলার শিকার হন এক যুব কর্মীর মাও। মারধরের অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের (TMC) বিরুদ্ধে। যদিও এই ঘটনায় রাজনৈতিক যোগ নেই বলে দাবি করেছে শাসক দল।
ঘর থেকে টেনে হিঁচড়ে বের করে মারধর করা হচ্ছে বিজেপি (BJP) যুব মোর্চার এক কর্মীকে। বাদ গেলেন না তাঁর মাও। মারধরের অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। ভাইরাল হয়েছে হামলার ছবি। যদিও এর সত্যতা যাচাই করেনি এবিপি আনন্দ।
মঙ্গলবার সকালের এই ঘটনায় শোরগোল পড়েছে পশ্চিম বর্ধমানের (West Burdwan) বারাবনির গৌরান্ডি ছাতাডাঙায়। বাপি প্রধান, বারাবনির আক্রান্ত বিজেপি যুব মোর্চার কর্মী বলছেন, 'আমি বিজেপি করি, তাই আমাকে বারবার মারধর করা হচ্ছে। শুধু এই যুব কর্মীই নন, মারধর করা হয়েছে আরও এক যুব কর্মীকে।'
গেরুয়া শিবিরের দাবি, যে দুই যুব কর্মীর উপর হামলা হয়েছে, বিধানসভা ভোটের পর তাঁরা দীর্ঘদিন ঘরছাড়া ছিলেন। পরে হাইকোর্টের নির্দেশে ঘরে ফিরলেও, ফের তাঁদের উপর হামলা চালিয়েছে তৃণমূল।