Malda News: 'মণিপুর ঢাকতেই বাংলার তুলনা টানছে BJP ', মন্তব্য রাজ্যের মন্ত্রী শোভনদেবের
Sovandeb Attacks BJP on Malda Women Assault Case: মালদাকাণ্ডে মমতাকে তোপ বিজেপির, পাল্টা শোভনদেব, কী বললেন রাজ্যের মন্ত্রী ?
মালদা: হিংসা আগুনে উত্তাল মণিপুর। আর এই ইস্যুতেই সদ্য ২১ জুলাই এর জনসভা থেকে মমতা ও অভিষেককে তোপ দাগতে দেখা গিয়েছিল। এদিকে মালদার ঘটনাটি ঠিক তার পরপরই প্রকাশ্য়ে আসে। মালদায় (Malda Violence) দুই মহিলাকে 'বিবস্ত্র করে মারধর'-র ঘটনায় এই মুহূর্তে উত্তাল রাজ্য-রাজনীতি। ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে সাংসদ খগেন মুর্মুর নেতৃত্বে রাতভর এসপি অফিস ঘেরাও বিজেপির। ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন অমিত মালব্য, অনুরাগ ঠাকুর, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি, রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আর এবার এই ইস্যুতেই এবার গেরুয়া শিবিরকে জোর নিশানা রাজ্যের মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের। তিনি বলেন, 'মণিপুর ঢাকতেই বাংলার তুলনা টানছে বিজেপি।'
প্রসঙ্গত, বিজেপি শাসিত মণিপুরে ঘটে যাওয়া নারী নির্যাতনকে সামনে রেখে, একুশের মঞ্চ থেকে নিশানা করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। আর পশ্চিমবঙ্গে নারী নির্যাতনের অভিযোগকে সামনে রেখে পাল্টা নিশানা করেন মালব্য-অনুরাগরা। যদিও NCRB-র তথ্য তুলে ধরে জবাব দিয়েছে তৃণমূল। ইতিমধ্যেই রাজ্যের মন্ত্রী শোভনদেবের পাশাপাশি প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন সায়নী ঘোষও। তাঁর দাবি, 'মণিপুর থেকে নজর ঘোরাতে বাংলা নিয়ে ভুয়ো খবর ছড়ানো হচ্ছে।'
যদিও এমন আবহ এই প্রথমবার নয়। হাঁসখালি ধর্ষণকাণ্ড, বগটুই হিংসাকাণ্ড -সহ একাধিক হিংসা ইস্য়ুতে রাজ্যে বিজেপির কেন্দ্রীয় নের্তৃত্বের হস্তক্ষেপ দেখা গিয়েছে। সেখানে পৌঁছে গিয়েছিল বিজেপির ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম। যদিও সেসময় চুপ বসেনি তৃণমূলও। বাইশ সালে যোগী রাজ্য উত্তরপ্রদেশ-এর প্রয়াগরাজে ভয়াবহ হত্যাকাণ্ড ঘটেছিল। একই পরিবারের দুই বছরের শিশু সহ ৫ জনের গলা কেটে খুন করা হয়েছিল।ধর্ষণে বাধা দেওয়া হয়েছিল বলেই খুন করা হয়েছিল বলে অভিযোগ উঠেছিল। ওই ঘটনার পর সেবার যোগী রাজ্যে গিয়েছিল তৃণমূলের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম।
আরও পড়ুন, মালদাকাণ্ডে SP অপসরণের দাবি, বিক্ষোভ তুলতে গেলে পুলিশের সঙ্গে বচসা BJP-র
গোটা ঘটনায় শাসকদলের তরফে প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজাও। গতকাল তিনি বলেছেন,' যেই দুই জন মহিলা চোর ছিলেন, তাঁদেরকে পাঁকড়াও করেন যারা, তারাও মহিলা পুলিশ কর্মী। তাঁদের গ্রেফতার করার সময়, ধস্তাধস্তি হয়। বেচারারা সবাই গরীব।ধস্তাধস্তিতে কাপড় সরে যায়। কিন্তু এই ঘটনাকে রাজনীতির চশমায় কেন দেখা হচ্ছে ? পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনার জন্য, ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকা সিভিক পুলিশও এগিয়ে যায় , কিন্তু মহিলারা নিজের হাতে আইন-শৃঙ্খলা তুলে নিয়েছে। এটা তো ঠিক নয়। যাই হোক এটির অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তদন্তে নেমেছে পুলিশ।'