Malda: স্কুলে বন্দুক নিয়ে তাণ্ডব, এখনও আতঙ্কে পড়ুয়া এবং শিক্ষক-শিক্ষিকারা
বন্দুক, পেট্রোল বোমা নিয়ে স্কুলে ঢুকে ক্লাসরুমে চড়াও এই ব্যক্তি। বন্দুকের নলের ডগায়, পড়ুয়াদের পণবন্দি করার চেষ্টা করেন।
করুণাময় সিংহ ও অভিজিৎ চৌধুরী, মালদা: মালদার (Malda) স্কুলে বন্দুক নিয়ে তাণ্ডব। এখনও আতঙ্কে রয়েছে পড়ুয়া এবং শিক্ষক-শিক্ষিকারা। আজ স্কুলে এসেছে হাতেগোনা পড়ুয়া। মোতায়েন রয়েছে পুলিশ। অভিযুক্ত দেব বল্লভকে তোলা হয় আদালতে। তার ৭ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে মালদা জেলা আদালত।
বন্দুক, পেট্রোল বোমা নিয়ে স্কুলে ঢুকে ক্লাসরুমে চড়াও এই ব্যক্তি। বন্দুকের নলের ডগায়, পড়ুয়াদের পণবন্দি করার চেষ্টা করেন। সাংবাদিকের প্রশ্নে অভিযুক্ত দেব বল্লভ বলেন, 'আমার কাছে আছে একটা নাইন এমএম পিস্তল এবং দুটো ক্যাসেট আছে, ১৬টা গুলি লোড করা আছে, ২ টো ইলেক্ট্রনিক বোম আছে'।
বুধবারের এই ঘটনার পর, এদিনও আতঙ্কে রয়েছে পুরাতন মালদার মুচিয়া চন্দ্রমোহন হাইস্কুলের পড়ুয়ারা। সেই ছাপ তাদের চোখে মুখে স্পষ্ট! স্কুলে পড়ুয়ার সংখ্যা প্রায় ১ হাজার ৮০০। বৃহস্পতিবার স্কুলে এসেছিল মাত্র ২০৪ জন।
আতঙ্কে রয়েছেন শিক্ষক-শিক্ষিকারাও। মুচিয়া চন্দ্রমোহন হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক স্বাগতম সাহার কথায়, স্কুলে আতঙ্কের পরিবেশ, স্টুডেন্টদের পাশাপাশি শিক্ষকরা আতঙ্কে। স্কুলে সরকারি কোনও নিরাপত্তারক্ষী নেই। নিরাপত্তারক্ষী দিতে হবে। এসডিওর সঙ্গে কথা হয়েছে, ছাত্র-ছাত্রীদের পাশাপাশি শিক্ষক-শিক্ষিকাদেরও কাউন্সেলিং করা হবে।
বুধবারের এই ভয়ঙ্কর ঘটনার পর, এদিন স্কুলে মোতায়েন করা হয়েছে পুলিশ। স্কুলের ঢোকার আগে সকলের ব্যাগ পরীক্ষা করে তবেই ভিতরে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে। ধৃত দেব বল্লভকে এদিন আদালতে তোলা হয়।
অভিযুক্ত দেব বল্লভ কোথা থেকে নাইন এম এম পিস্তল ও গুলি পেলেন? কার মাধ্যমে সেগুলি আমদানি করলেন? কোথা থেকে পেট্রোল বোমা বানাতে শিখলেন? এই বিষয়গুলো খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
মালদার পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, শীঘ্রই জেলা শাসক, শিক্ষা দফতর এবং প্রশাসনের শীর্ষকর্তাদের নিয়ে বৈঠক করা হবে। স্কুলে নিরাপত্তা কীভাবে আরও জোরদার করা যায়? স্কুলে সিসি ক্যামেরা বসানোর বিষয়ে বৈঠকে আলোচনা হবে।
কখনও অদক্ষতা, কখনও অতিসক্রিয়তা। পুলিশ যখন বারবার নানা অভিযোগে বিদ্ধ হচ্ছে, তখন আশার আলো দেখাচ্ছেন আজহারউদ্দিন। মালদা পুলিশের DSP-র সাহসিকতায় প্রাণ বেঁচেছে স্কুলের পড়ুয়াদের।
মালদায় বন্দুকবাজের হাত থেকে ৭০ পড়ুয়াকে বাঁচিয়ে এখন হিরো ওয়েস্ট বেঙ্গল পুলিশ সার্ভিসের অফিসার আজহারউদ্দিন। প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে বন্দুকবাজের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে বাঁচালেন খুদেদের। কলকাতার বাড়িতে বসে ছেলের জন্য গর্ববোধ করছেন বাবা-মা। একই পুলিশের দুই রূপ। এক জায়গায় তাদের দেখা গেল প্রাণ ভিক্ষা চাইতে। আরেক জায়গায় দেখা গেল প্রাণ রক্ষা করতে। বুধবার মালদার স্কুলে উদ্য়ত আগ্নেয়াস্ত্রর সামনেও, ঝাঁপিয়ে পড়ে বন্দুকবাজকে কব্জা করতে দেখা গেছে এক ডিএসপি-কে। অথচ, মঙ্গলবার কালিয়াগঞ্জে বিক্ষোভকারীদের থেকে বাঁচতে সেই পুলিশই লুকিয়েছে খাটের তলায়।