(Source: ECI/ABP News/ABP Majha)
Mamata Banerjee : কেতুগ্রামের রেণুকে চাকরি-কৃত্রিম হাতের আশ্বাস, স্বাস্থ্যসাথী ইস্যুতে নির্দেশ মুখ্যসচিবকে
Renu Khatun : ভালোবেসে বিয়ে করেছিলেন রেণু। স্বামী ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার।
কলকাতা : একলহমায় চলে গেছে ডানহাত। চোখের সামনে মুহূর্তের মধ্যে অন্ধকার নেমে এসেছিল। কিন্তু, কঠিন মানসিকতায় ভর করে তিনি দাঁতে দাঁত চেপে লড়াই চালিয়ে যাওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন। স্বামী ডানহাত কেটে দেওয়ার পরেও বাঁ হাতে তুলে নেন কলম। এহেন লড়াকু নার্স রেণু খাতুনের (Renu Khatun) এবার পাশে দাঁড়ানোর আশ্বাস দিল রাজ্য সরকার।
আজ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) বলেন, ন্যাশনাল উইমেন্স' কমিশনের চেয়ারম্যান লীনা গঙ্গোপাধ্যায় সেখানে গিয়েছিলেন। আমরা তাঁর (রেণু খাতুন) জন্য তিনটি কাজ করছি। উনি যেহেতু নার্সিং পরীক্ষায় প্যানেলে ২২ নম্বরে ছিলেন, এখন যেহেতু ডানহাতটা নেই, তাই যে কাজটা উনি করতে পারবেন বসে সেই কাজটাই আমরা ওঁকে করতে দেব। ওঁর কৃত্রিম হাতের ব্যবস্থা করে দেওয়া হবে। এছাড়া উনি যেখানে চিকিৎসা করাতে গিয়েছিলেন, সেখানে ৫৭ হাজার টাকা নিয়েছে। স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে কাজটি হয়নি। কেন হয়নি দেখছি। এনিয়ে মুখ্যসচিবকে নির্দেশ দিয়েছি, তাঁর চিকিৎসার যত্ন নিতে বলেছি।
আরও পড়ুন ; ডান হাতের কব্জি হারিয়েও হাল ছাড়তে নারাজ রেণু! বাঁ হাতেই লিখলেন-'I proud myself'
সরকারি চাকরি পাওয়ায়, রেণুর ডানহাত কেটে দেয় স্বামী ! কব্জি হারিয়েও হাল ছাড়তে নারাজ রেণু। বাঁ হাতে কলম তুলে নিয়েছেন এই নার্স।
ভালোবেসে বিয়ে করেছিলেন রেণু। স্বামী ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার। কিন্তু চাকরি ছেড়ে তিনি বাবার মুদি দোকানের দেখাশোনা করতেন। যাঁর সঙ্গে আড়াই বছরের প্রেম, ৫ বছরের দাম্পত্য, যাঁর হাত ধরে, বাকি জীবন কাটানোর স্বপ্ন দেখেছিলেন, সে-ই তিনিই ছিনিয়ে নিয়েছেন হাত। আক্রান্ত তরুণী রেণু খাতুন বলেন, "আমার স্বামী ও দুই বন্ধু। ওদের তাড়াতাড়ি ধরা হোক। শাস্তি দেওয়া হোক। ওরাই আমার স্বামীর ব্রেনওয়াশ করেছে।"
যে অদম্য চাকরির জন্য রেণুকে তাঁর হাত খোয়াতে হয়েছে, সেই চাকরি যেন তিনি পান, আবেদন তাঁর সহকর্মীদের। আক্রান্তের সহকর্মী জ্যোৎস্না বল বলেন, "আমরা চাই ও এই চাকরিটা যেন পায়। নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করে।" সূত্রের খবর, রেণুর বাড়িতে স্বাস্থ্য দফতর থেকে ফোন গিয়েছিল। কথা হয়েছে পরিজনদের সঙ্গে। ঘটনায় ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে আক্রান্তের শ্বশুর ও শাশুড়িকে। কিন্তু, অভিযুক্ত স্বামী এখনও পলাতক।