Mamata Banerjee: মমতার ডাকে সংহতি মিছিল! কোন রাস্তা নিয়ে কখন যাবে? যানজট এড়াবেন কীভাবে?
TMC Rally in Kolkata: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে এই সংহতি মিছিলে উপস্থিত থাকবেন একাধিক সাংসদ, বিধায়ক ও কলকাতা পুরসভার তৃণমূল কাউন্সিলররা।
সন্দীপ সরকার, বিশ্বজিৎ দাস ও সৌমিত্র রায়, কলকাতা: আজ অযোধ্যায় রাম মন্দির (Ram Mandir) উদ্বোধন ঘিরে সাজ সাজ রব। উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। সারা দেশে তো বটেই, বিশ্বের নানা কোণা থেকে এসে উপস্থিত হয়েছেন অনেকে। তখন কলকাতায় রাস্তায় নামছে তৃণমূল, নেতৃত্বে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
অযোধ্যায় রাম মন্দির উদ্বোধনের দিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) কলকাতায় সংহতি মিছিল (Sanhati Michil) ডাকা নিয়ে গোড়া থেকেই রাজনৈতিক চাপানউতোর শুরু হয়েছে। এদিন মিছিলের আগে কালীঘাট মন্দিরে পুজো দেবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপরে কোন পথে কীভাবে এগোবে মিছিল?
তৃণমূল সূত্রে দাবি, সোমবার দুপুর ৩টেয় কালীঘাট মন্দিরে পুজো দেবেন মুখ্যমন্ত্রী। পুজো দিয়ে চলে আসবেন হাজরা মোড়ে। সেখান থেকেই মিছিল শুরু করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। হাজরা মোড় থেকে প্রথমে বালিগঞ্জ ফাঁড়ি পর্যন্ত মিছিল যাবে। এরপর গড়চায় একটি গুরুদ্বারে যাবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। সেখান থেকে ফের এগিয়ে যাবে মিছিল। এরপর বেকবাগান হয়ে পার্ক সার্কাস ময়দানে মিছিল শেষ হবে। এরইমাঝে একটি গির্জা ও একটি মসজিদেও যাবেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে এই সংহতি মিছিলে উপস্থিত থাকবেন একাধিক সাংসদ, বিধায়ক ও কলকাতা পুরসভার তৃণমূল কাউন্সিলররা। তৃণমূল বিধায়ক তাপস রায় বলছেন, 'মহামিলনের মিছিলের ডাক দিয়েছেন আমাদের নেত্রী। আমরা সারা বাংলায় এই মিছিল করব।'
সোমবার অযোধ্যায় রাম মন্দির উদ্বোধনের দিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সংহতি মিছিল আদতে উস্কানিমূলক বলে অভিযোগ করেছে বিজেপি (BJP)। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, 'রাম নিজেই সম্প্রীতির প্রকৃষ্ট উদাহরণ। রাম সবার। সেজন্যই তৃণমূল কংগ্রেস সহ যারা এই ধরণের সম্প্রীতি যাত্রা, সম্প্রীতি সভা যা করার চেষ্টা করছেন, এগুলো আসলে উস্কানিমূলক কাজকর্ম তার বেশি কিছু না।'
কলকাতার পাশাপাশি একইসময়ে রাজ্যের বিভিন্ন ব্লক ও মহকুমায় মিছিল করবে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। মিছিলের মূল স্লোগান থাকবে, 'ধর্ম যার যার উৎসব সবার'। বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষের তোপ, 'এই সংহতির নামে পশ্চিমবাংলায় সব জায়গায় গান গাওয়া হয়েছে। সেই দেশভাগের পর থেকে সংহতির আয়োজন আগেও ছিল। কেন সংহতি হয়নি? যাঁরা সংহতি মিছিলের নামে সংহতি নষ্ট করেন, তাঁরা আবার রাস্তায় নেমেছেন। কেবল যাঁরা টিএমসির উচ্ছিষ্টভোগী, তাঁদের আমলে করে খাচ্ছে সেরকম কিছু দোকলা লোক যাবে।' পাল্টা বিজেপির বিরুদ্ধে আক্রমণ শানিয়েছেন তৃণমূল সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্য়ায়। তিনি বলেন, 'কোনওরকম অস্থিরতা বা চাঞ্চল্য সৃষ্টি করবে এমন কিছু কর্মসূচি দেশে নেওয়া উচিত না যা আমাদের এই সংহতি সম্প্রীতিকে বিবর্ণ করে। পশ্চিমবাংলায় বিজেপি নেতারা এই মুখ্যমন্ত্রী সমন্ধে যত বেশি সমালোচনা করবে তত বেশি ওদের ভোট কমবে।'তৃণমূলের সংহতি মিছিলে সমাজের সব ধর্ম ও সর্বস্তরের মানুষকে আহ্বান জানানো হয়েছে।
রামমন্দির উদ্বোধনের দিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন কলকাতার বুকে আলাদা করে কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন, সেখানে সোমবার রাহুল গাঁধী যাবেন অসমের বরদোয়ায় শ্রীমন্ত শঙ্করদেবের জন্মস্থানে। বটদ্রবা সত্রে পুজো দেবেন কংগ্রেস সাংসদ। অসমে বৈষ্ণব ধর্মের প্রবর্তক ছিলেন শ্রীমন্ত শঙ্করদেব। যাকে চৈতন্যদেবের সমসাময়িক বলেও মনে করা হয়।