Mamata on Land Grab: 'কানু সান্যালের বাড়ি যেন কেউ দখল না করতে পারে', পুলিশকে নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর
Mamata Banerjee: বৈঠকেই স্থানীয় পুলিশকে বিষয়টি দেখার জন্য নির্দেশ দেন তিনি। যদি দখল হয়ে থাকে, তাহলে প্রয়োজনী আইনি পদক্ষেপ করারও নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী।
কলকাতা: নকশাল আন্দোলনের নেতা প্রয়াত কানু সান্যালের (Kanu Sanyal) বাড়ি দখল ঘিরে আগেই অভিযোগ উঠেছি। এবার ভরা প্রশাসনিক বৈঠকে সেই কথা উঠে এল খোদ মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) মুখে।
কী বলেছেন মমতা?
বুধবার নবান্নের প্রশাসনিক বৈঠকে তিনি বলেন, 'কানু সান্যাল অত্যন্ত সিনিয়র লোক। নকশাল আন্দোলনের নেতা ছিলেন। ওঁর আদর্শ আমি সমর্থন না করতে পারি। কিন্তু ওঁর বাড়ি কেন দখল হবে?' বৈঠকেই স্থানীয় পুলিশকে বিষয়টি দেখার জন্য নির্দেশ দেন তিনি। যদি দখল হয়ে থাকে, তাহলে প্রয়োজনী আইনি পদক্ষেপ করারও নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী।
সত্তরের দশকের উত্তাল রাজনীতি। বাংলার নকশাল আন্দোলনের আঁতুড়ঘর হিসেবে পরিচিত ছিল উত্তরবঙ্গের নকশালবাড়ি (Naxalbari)। আর নকশাল আন্দোলন যাঁদের হাত ধরে গড়ে উঠেছিল। তাঁদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন কানু সান্যাল। জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর নকশালবাড়ির ওইখানেই তাঁর বাড়ি ছিল, সেখানেই ছিল দলীয় অফিসও। তাঁর মৃত্যুর পর থেকেই সেখানে জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে।
জমি দখল নিয়ে উষ্মা:
শিলিগুড়ি (siliguri) শহর ও গ্রাম এলাকা, লাগোয়া জলপাইগুড়ি এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে সরকারি জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে। দীর্ঘদিন ধরে জমি দখলের একটি চক্র কাজ করছে। তা নিয়ে এর আগেও বারবার উষ্মা প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। বুধবারও একই প্রসঙ্গ মুখ্যমন্ত্রীর মুখে। সম্প্রতি শিলিগুড়ি লাগোয়া এলাকায় জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে। নদীর চর দখল করে বেআইনি ব্রিজ বানিয়ে জমি বেচে দেওয়ার একটি চক্র ধরা পড়েছে। খবর পাওয়ার পর স্থানীয় প্রশাসন সেতু ভেঙে দেয়। এদিন সেই প্রসঙ্গ তুলে ধরেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, 'জমি দখল করে ব্রিজ বানিয়ে নিচ্ছে। বিডিও, আইসি, এসপি দাঁড়িয়ে দেখছে? কানে খবর যায় না?' শিলিগুড়ি নিয়ে তিনি বলেন, 'ওখানে নানারকম কনস্পির্যাসি হচ্ছে। জমি দখল ওখানে তো রুটিন হয়ে গেছে। যে করবে, টেক স্ট্রং অ্যাকশন।'
নকশালবাড়ি নিয়ে পরামর্শ:
নকশালবাড়ি আর ফাঁসিদেওয়া শিলিগুড়ি কমিশনারেটের অধীনে নিয়ে আসার পরামর্শ দেন মুখ্যমন্ত্রী। তার জন্য ডিজিকে প্রস্তাব তৈরি করারও নির্দেশ দেন। এখন ওই দুই এলাকা দার্জিলিং জেলা পুলিশের অধীনে রয়েছে।
আরও পড়ুন: "আইসির গাফিলতিতে এই ঘটনা", হাঁসখালিকাণ্ডে পুলিশের ভূমিকায় অসন্তোষ প্রকাশ মুখ্যমন্ত্রীর