Firhad on Mamata: 'বাংলায় সত্যিকারের সান্তা ক্লজের নাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়', কেন বললেন ফিরহাদ ?
Christmas Carnival Inauguration : উল্টোডাঙার মুচিবাজারে ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও ৩ নম্বর বরোর চেয়ারম্যান অনিন্দ্যকিশোর রাউতের উদ্যোগে গতকাল ক্রিস্টমাস কার্নিভাল শুরু হয়
কলকাতা : বড়দিনের আমেজে মাতোয়ারা রাজ্য। চলছে প্রস্তুতি। সঙ্গে সান্তা ক্লজের অপেক্ষাও। আসবে কি সান্তা উপহার নিয়ে ? এই আবহেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে 'বাংলায় সত্যিকারের সান্তা ক্লজ' বললেন ফিরহাদ হাকিম। ক্রিস্টমাস কার্নিভালের উদ্বোধনে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে সান্তা ক্লজ বলেন তিনি। উল্টোডাঙার মুচিবাজারে ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও ৩ নম্বর বরোর চেয়ারম্যান অনিন্দ্যকিশোর রাউতের উদ্যোগে গতকাল ক্রিস্টমাস কার্নিভাল শুরু হয়। এ বছর অষ্টম বর্ষ। ২ জানুয়ারি পর্যন্ত চলবে বড়দিনের এই উৎসব। কচিকাঁচাদের রকমারি বিনোদনের আয়োজন করা হয়েছে।
সেখানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে ফিরহাদ বলেন, "আমরা যখন খুব ছোট ছিলাম তখন শুয়ে থাকতাম, ঘুম আসছে না, ঘুম আসছে না। সান্তা ক্লজ আসবে। সকালে দেখতাম, হয় খেলনা দিয়ে গেছে, কিংবা চকোলেট দিয়ে গেছে। বাবা-মা-ই দিয়ে দিত। বলত, সান্তা ক্লজ দিয়েছে। তখন ভাবতাম, সান্তা ক্লজটা কী ? সান্তা ক্লজ কি সত্যিই আসে ? এখন আমি উপলব্ধি করছি, সান্তা ক্লজ সত্যিই আসে। শুধু ক্রিস্টমাসের সময় আসে না, সারা বছর আসে। যে ছোট মেয়েগুলোকে বলা হয় যে, আর পড়াশোনা করার টাকা নেই, বিয়ে দিয়ে দেব। তখন সেই সান্তা ক্লজ এসে তাকে কন্যাশ্রীর টাকা দিয়ে বলে তোমাকে এখনও পড়তে হবে, জীবনে এগিয়ে যেতে হবে। আমাদের মতো গরিব বাবা যখন মেয়ের বিয়ে দেয়, যে বাবা আর তো পয়সা নেই কী করে দেব ? সান্তা ক্লজ এসে বলে রূপশ্রীর কার্ডটা নাও। মেয়ের বিয়ে সসম্মানে দাও। জীবনে যা যা দরকার একজন বাংলার সেই সান্তা ক্লজ আছেন, যিনি সবকিছু আমাদের দিয়েছেন । সেই সান্তা ক্লজের নাম কী ? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাংলায় সত্যিকারের সান্তাক্লজের নাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যিনি সারা বছর ধরে আমাদের জন্য সান্তা ক্লজ হচ্ছেন।"
বড়দিনের আগেই ক্রিস্টমাস সেলিব্রেশন। বড়দিনে সেজে উঠেছে শহর। পার্কস্ট্রিট থেকে বো-ব্যারাক... আলো ঝলমল করে সর্বত্র। ছুটির আমেজ মেখে এই সময়টায় অনেকেই বেড়াতে বেরিয়ে পড়েন। এদিকে বড়দিনে নিরাপত্তার চাদরে মুড়ছে কলকাতা। শহরে নজরদারিতে থাকবেন ৩ হাজারের বেশি পুলিশ কর্মী। বিভিন্ন পয়েন্টের দায়িত্বে থাকবেন ৯ জন ডিসি, ২৫ জন এসি। পার্ক স্ট্রিট সহ গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় থাকবে কুইক রেসপন্স টিম, অ্যাম্বুল্যান্স। বেলুড়, দক্ষিণেশ্বর ঘাটে থাকবে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। ২৪ ডিসেম্বরও শহরের নিরাপত্তায় মোতায়েন থাকবেন ২ হাজারের বেশি পুলিশকর্মী। শহরে ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে বর্ষবরণের প্রস্তুতি।