Mamata On Bangladesh : বাংলাদেশে রাষ্ট্রপুঞ্জের শান্তিসেনা চান মমতা, মোদির হস্তক্ষেপ চেয়ে প্রস্তাব বিধানসভায়
নীরব কেন্দ্র। সংসদে কেউ জানান। লিখিত আকারে মুখ্যমন্ত্রীর প্রস্তাব পাঠানো হবে কেন্দ্রের কাছে।
কলকাতা : পদ্মার ওপারের আঁচ পড়েছে পশ্চিমবঙ্গেও। কলকাতামুখী বাসের উপর বাংলাদেশীদের হামলার অভিযোগ উঠেছে। কলকাতায় বাংলাদেশ থেকে মেডিক্যাল ভিসা নিয়ে আসা বহু মানুষ দেশে ফিরতে ভয় পাচ্ছেন। এরই মধ্যে কে বৃহস্পতিবারই বাংলাদেশ ইস্যুতে কেন্দ্রীয় সরকারের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছে তৃণমূল। দিল্লিতে তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও স্পষ্ট করে দিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের অবস্থান। তিনি বলেন, বাংলাদেশে যা হচ্ছে তা কোনওভাবেই সমর্থনযোগ্য় নয়। এটা আন্তর্জাতিক ইস্যু। তাই কেন্দ্রীয় সরকার যে অবস্থান নেবে তৃণমূল তাকেই সমর্থন করবে দেশের স্বার্থে। এবার বিধানসভায় বাংলাদেশ প্রসঙ্গে মুখ খুললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও।
বাংলাদেশ পরিস্থিতি নিয়ে বিধানসভায় কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, 'ভারত সরকার রাষ্ট্রপুঞ্জের কাছে বাংলাদেশে শান্তিসেনা পাঠানোর আর্জি জানাক। বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে ভারত সরকার পুরোপুরি নীরব'। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী দাবি করেন, 'প্রধানমন্ত্রী না পারলে বিদেশমন্ত্রী এ বিষয়ে সংসদকে জানান।' বিধানসভায় প্রস্তাব আনেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, 'এমন ঘটনা ঘটে চললে, আমাদের লোককে ফিরিয়ে আনতে চাই। একবেলা খাব, দরকারে একটা রুটি ভাগ করে খাব। আমাদের লোক অত্যাচারিত হোক চাই না' । সূত্রের খবর, মুখ্যমন্ত্রীর প্রস্তাব লিখিত ভাবে পাঠানো হচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকারকে।
এর আগে, বাংলাদেশ নিয়ে মুখ খুলেছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেছিলেন, ' প্রথমত এটা রাজ্য়ের বিষয় নয়। দেশের বিষয়। আন্তর্জাতিক বিষয়। এবং আন্তর্জাতিক বিষয় কেন্দ্রীয় সরকারের বিষয়। যেহেতু, মানুষ কেন্দ্রীয় সরকারকে ম্যানডেট দিয়েছে আমরা আমাদের দলের অবস্থান একাধিকবার স্পষ্ট করেছি। যে যে অবস্থানই কেন্দ্রীয় সরকার নেবে যেকোনও আন্তর্জাতিক বিষয়ে সেটাকে দলগতভাবে তৃণমূল কংগ্রেস সমর্থন করবে। দেশের স্বার্থে। '
বাংলাদেশের পরিস্থিতির সরাসরি এসে পড়েছে বাংলায়। জেলবন্দি সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের দ্রুত মুক্তি ও হিন্দুদের ওপর অত্যাচার বন্ধের দাবি জানিয়ে সোমবার পেট্রাপোল সীমান্তের কাছে প্রতিবাদ কর্মসূচি নিয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। পেট্রাপোল সীমান্তের নিকটবর্তী একটি মাঠে অরাজনৈতিক ব্যানারে প্রতিবাদ কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। সেখানে উপস্থিত থাকবেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী সহ উত্তর ২৪ পরগনার অন্যান্য বিজেপি বিধায়করা। এছাড়াও এদিন পেট্রাপোল সীমান্তে সন্ন্যাসীদের জমায়েতের ডাক দিয়েছে সনাতনী সমাজের সংগঠন অখিল ভারতীয় সন্ত সমিতিও। সব মিলিয়ে ওপার বাংলায় সংখ্যালঘু হিন্দু নির্যাতন নিয়ে উত্তাল এপার বাংলাও।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।
আরও পড়ুন : সোমবার সীমান্তের কাছে প্রতিবাদ কর্মসূচি শুভেন্দুদের