Mamata Banerjee : ‘নেতা নয়, বিরোধী সমর্থকদের সঙ্গে কথা বলে, ভালবেসে কাছে টেনে নিতে হবে’ : মুখ্যমন্ত্রী
TMC : 'প্রয়োজনে গ্রামে যান, বিরোধী দলের সমর্থকদের সঙ্গে কথা বলুন’, দলীয় সমর্থকদের বার্তা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।
রানাঘাট : 'দুয়ারে' পঞ্চায়েত ভোট (Panchayat Election 2023)। আগামী বছরের শুরুতেই রাজ্যে হওয়ার সম্ভাবনা হাই-ভোল্টেজ নির্বাচন। তার প্রাক্কালে তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের বিশেষ 'বিরোধী' বার্তা তৃণমূল সুপ্রিমোর। নদিয়ায় ৩ দিনের সফরের মাঝে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘাসফুল শিবিরের কর্মী-সমর্থকদের বার্তা, 'কাছে টানুন বিরোধী সমর্থকদের'।
বিরোধীদের কাছে টানার বার্তা
পঞ্চায়েত ভোটের আগে দলীয় সমর্থকদের তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বার্তা, ‘নেতা নয়, বিরোধী সমর্থকদের সঙ্গে কথা বলে, ভালবেসে কাছে টেনে নিতে হবে। প্রয়োজনে গ্রামে যান, বিরোধী দলের সমর্থকদের সঙ্গে কথা বলুন’।
রানাঘাটে (Ranaghat) মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক সভায় ডাক না পাওয়ার অভিযোগে বিজেপি সাংসদ-বিধায়কদের (BJP MP and MLAs) বিক্ষোভ (Agitation)। মুখ্যমন্ত্রীর সভাস্থলের এক কিলোমিটার দূরে রামনগরে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের ওপরেই রানাঘাটের সাংসদ জগন্নাথ সরকার, রানাঘাট উত্তর-পশ্চিমের বিধায়ক পার্থসারথি চট্টোপাধ্যায়-সহ বিজেপির জেলা নেতৃত্বকে আটকে দেয় পুলিশ। সেখানে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন বিজেপির সাংসদ-বিধায়করা।বিজেপির দাবি, সরকারি টাকায় প্রশাসনিক সভা হচ্ছে, রানাঘাট দক্ষিণ সাংগঠনিক জেলার তাদের ৭ জন বিধায়ক ও সাংসদ থাকলেও, তাঁরা ডাক পাননি। এনিয়ে তৃণমূলের প্রতিক্রিয়া এখনও মেলেনি।
'উত্তরবঙ্গকে ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা'
রানাঘাটের প্রশাসনিক বৈঠক থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, 'উত্তরবঙ্গকে অশান্ত করতে সীমান্ত থেকে অস্ত্র আসছে। উত্তরবঙ্গকে ছত্রভঙ্গ করতে বিহার থেকে অস্ত্র আসছে। বিহার থেকে ১ হাজার টাকায় অস্ত্র ঢুকছে, ওপার থেকেও অস্ত্র ঢুকছে। উত্তরবঙ্গে অস্থিরতা তৈরির চেষ্টা চলছে’। যার পরই পুলিশ-প্রশাসনকে কড়া নজর রাখার নির্দেশ দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, 'নাকা তল্লাশি বাড়াতে হবে, কড়া নজর রাখতে হবে'।
নদিয়া (Nadia News) সফরে গিয়ে বৃহস্পতিবার রানাঘাটে (Ranaghat News) প্রশাসনিক সভা করেন মমতা। সেখানেই ডিসেম্বরের কথা বলতে শোনা যায় তাঁকে। এ দিন মমতা বলেন, "এখন থেকে সাম্প্রদায়িক এলাকাগুলিকে দেখে রাখুন। কেউ কেউ ষড়যন্ত্র করছে যে, ডিসেম্বর থেকে ধামাকা, মানে সাম্প্রদায়িক যুদ্ধ লাগাবে। কর্নাটকে ইতিমধ্যেই লাগিয়েছে। এটা বাঁচার পথ নয়। চৈতন্য়দেবের জায়গায় দাঁড়িয়ে বলছি, জীবনটা শান্তির পথ। এটা মাথায় রাখতে হবে।" এর আগেও নভেম্বর-ডিসেম্বর মাসে বিজেপি রাজ্যে অশান্তি পাকাতে পারে আশঙ্কা প্রকাশ করেন মমতাকে। নবান্নে মন্ত্রিসভার বৈঠকে আশঙ্কার কথা তুলে ধরেন তিনি। মন্ত্রীদের সতর্ক থাকার পরামর্শও দেন। এ দিন রানাঘাটের প্রশাসনিক সভাতেও একই সুর শোনা যায় তাঁর গলায়।