Math Competition: ছুটির দিনে অঙ্কের মেধা পরীক্ষার আসর নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে
Netaji Indoor Stadium:ছুটির দিনে নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে বসেছিল অঙ্কের মেধা পরীক্ষার আসর। উদ্যোক্তা সিপ অ্যাবাকাস। অংশ নিয়েছিল ৬ থেকে ১৫ বছর বয়সী স্কুলপড়ুয়ারা।
সত্যজিৎ বৈদ্য,কলকাতা: ছুটির দিনে নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে (Netaji Indoor Stadium) বসেছিল অঙ্কের (Mathematics Aptitude Test) মেধা পরীক্ষার আসর। উদ্যোক্তা সিপ অ্যাবাকাস। অংশ নিয়েছিল ৬ থেকে ১৫ বছর বয়সী স্কুলপড়ুয়ারা (School Students)। অঙ্কের প্রতি আগ্রহ বাড়াতেই এই উদ্যোগ বলে জানিয়েছেন আয়োজকরা।
কী হল পরীক্ষায়?
ভোলানাথ লিখেছিল, 'তিন-চারে নব্বই...গণিতের মার্কায় কাটা গেল সর্বই। তিন চারে বারো হয়, মাস্টার তারে কয়, লিখেছিনু ঢের বেশি। এই তার গর্বই।' খাপছাড়া-য় লিখেছিলেন রবি ঠাকুর। সেদিন গিয়েছে। এখন মুখে মুখে নির্ভুল অঙ্ক কষে ফেলার সময়। আর সেই কাজে স্কুল পড়ুয়াদের আরও দক্ষ ও আগ্রহী করে তুলতে উদ্যোগী সিপ অ্যাবাকাস। রবিবার ছুটির দিনে নেতাজি ইন্ডোরে অঙ্কের মেধা প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছিল তারা। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ৬-১৫ বছর বয়সী প্রায় সাড়ে ৩ হাজার পড়ুয়া এতে অংশ নেয়। যার নাম দেওয়া হয়, মেন্টাল অ্য়ারিথমেটিক কম্পিটিশন। পড়ুয়াদের পাশাপাশি অভিভাবকদের উৎসাহ ছিল দেখার মতো। ৩টি বিভাগে বিজয়ীদের জন্য ছিল পুরস্কারের ব্যবস্থা। সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, সারা দেশে তাদের আটশোর বেশি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র রয়েছে। পড়ুয়ার সংখ্যা একলক্ষেরও বেশি। বাংলায় ১২৫টির বেশি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে পড়ুয়ার সংখ্যা প্রায় ২৫ হাজার। সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, আগামী প্রজন্মের মধ্যে অঙ্কের প্রতি আগ্রহ বাড়িয়ে তোলাই তাদের লক্ষ্য। প্রসঙ্গত, করোনার ভ্রুকুটি কাটিয়ে গত বছর থেকেই ফের অফলাইনে আয়োজন শুরু হয় অল ইন্ডিয়া ইন্টার স্কুল অ্যারিথমেটিক জিনিয়াস কনটেস্ট। দেশের প্রায় ১২০০টি স্কুল অংশ নেয় অ্যাবাকাস আয়োজিত ওই প্রতিযোগিতায়।
আর যা...
অঙ্ক নিয়ে আতঙ্ক সেই অতীত থেকে চেনা বিষয়। কিন্তু শিক্ষকদের পরামর্শ মানলে, অঙ্ক মোটেও কঠিন থাকে না। তাঁদের মতে, অঙ্ক আসলে অভিমানী। তাই তাকে ভালবাসতে হবে। তাহলেই হবে। এই নিয়ে পাঠশালা লাইভে ২০২৩ সালের মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের সাহায্যার্থে পরামর্শও দিয়েছিলেন শিক্ষক সজলকুমার গুহ। শিক্ষকতা করেন যোধপুর পার্ক বয়েজ স্কুলে। পাঠশালা লাইভে মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের উদ্দেশে তাঁর বার্তা ছিল, প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে একটা উপপাদ্য না দেখে লিখে ফেললে পরীক্ষার হলে উপপাদ্য যাই পড়ুক না কেন, জলের মত সহজ হয়ে যাবে। তা ছাড়াও অঙ্কের অন্যান্য নানা অধ্যায় নিয়ে খুঁটিনাটি টিপস, সাজেশনও দেন তিনি। সার্বিক বার্তা একটাই। অঙ্ক কিন্তু মোটেও কঠিন নয়।
আরও পড়ুন:মাছ খান না? ডিমে অ্যালার্জি? প্রোটিন মিলবে কীভাবে?