Jalpaiguri: টানা বৃষ্টির জের, হাতিনালার জল উপছে জলমগ্ন বানারহাট ও বিন্নাগুড়ির একাধিক চা বাগান
তিস্তা ব্যারাজ থেকে জল ছাড়া শুরু হয়েছে
জলপাইগুড়ি, রাজা চট্টোপাধ্যায়: ভুটান পাহাড় ও ডুয়ার্সে টানা বৃষ্টির জের। হাতি নালার জল উপছে জলমগ্ন বানারহাট ও বিন্নাগুড়ির একাধিক চা বাগান। জলের তোড়ে ভেসে গিয়েছে বহু চা গাছ। বৃষ্টি আরও বাড়লে পরিস্থিতির আরও অবনতি হবে বলে চা বাগান এলাকার বাসিন্দাদের আশঙ্কা।
কিছুদিন আগে জলের তোড়ে ভেঙে যায় গয়েরকাটা থেকে বিন্নাগুড়ি সংযোগকারী লালপুল সেতু। ফলে যাতায়াতে সমস্যায় পড়েছেন আশেপাশের বেশ কয়েকটি চা বাগানের বাসিন্দারা। এর পাশাপাশি, প্লাবনের আশঙ্কা বাড়িয়ে তিস্তা ও জলঢাকা নদীর জলস্তর বাড়ছে। তিস্তা ব্যারাজ থেকে জল ছাড়া শুরু হয়েছে। প্রশাসনের প্রতিক্রিয়া এখনও মেলেনি।
গত বছরও ভুটান থেকে জল ছাড়ায় নদী গর্ভে চলে গিয়েছে গয়েরকাটা চা বাগানের বিস্তীর্ণ অংশ। জ্যোতির্ময় কলোনি এলাকাতেও জল ঢুকেছিল। হাতি নালার জল ঢুকে বিন্নাগুড়ি, তেলিপাড়া চা বাগান প্লাবিত হয়েছিল।
কিছুদিন আগেই প্রবল বৃষ্টিতে শিলিগুড়ি থেকে সিকিম যাওয়ার পথে ধস নামে। ২৯ মাইলের কাছে ১০ নম্বর জাতীয় সড়কে ধস। এর জেরে বিপর্যস্ত হয়েছে যান চলাচল। গাড়ির লম্বা লাইনে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে যাত্রীরা। ২৯ মাইলের কাছে বড়সড় ধস নামার জেরে প্রায় ২-৩ কিমি রাস্তা জুড়ে গাড়ি দাঁড়িয়ে ছিল। পাহাড়ি এলাকায় দফায় দফায় ধস নামার জেরে সমস্যায় পড়েছিল যাত্রীরা।
পাশাপাশি হাতিনালার জল বেড়ে বিন্নাগুরিতে কিছুদিন আগেই ভেঙেছে কালভার্ট। গয়েরকাটার সঙ্গে বানর হাটের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। পরিস্থিতির জেরে ঘুরপথেই চলছিল যানবাহন ও যাতায়াত।
এদিকে আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে মৌসুমী অক্ষরেখা রাজস্থান থেকে গোরখপুর ও পুর্ণিয়া হয়ে অসম পর্যন্ত বিস্তৃত। তার প্রভাবেই উত্তরবঙ্গে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা বলে আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর। ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি হয়েছে দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, মালদা, দুই দিনাজপুরে৷
আরও পড়ুন: ভোট পরবর্তী সন্ত্রাস তদন্তে গঠিত সিট-কে সহযোগিতায় আরও ১০ আইপিএস, বিজ্ঞপ্তি জারি করল নবান্ন