Kolkata Building Collapse : বাঘাযতীনের পর ট্যাংরা, এবার বহুতলের ঘাড়ে হেলে পড়ল বহুতল
দুটি বহুতল বিপজ্জনকভাবে হেলে পড়েছে একে অপরের গায়ে। বেশি হেলে গেছে পাঁচতলার পুরনো আবাসনটি।

হিন্দোল দে, কলকাতা : বাঘাযতীন-বেলঘরিয়ার বিভীষিকা ফিরল ট্যাংরায়! খাস কলকাতায় হেলে পড়ল পাশাপাশি দুটি বহুতল। আতঙ্কের প্রহর গুনছে ক্রিস্টোফার রোড। গার্ডেনরিচ থেকে বাঘাযতীন, ট্যাংরা থেকে কামারহাটি, দিকে দিকে যেন তাসের ঘর ! একের পর এক বাড়ি হেলে পড়ছে। বুধবার সকালে ধরা পড়ল এমনই এক ছবি। আবার শহর কলকাতায় ।
হেলে পড়া জোড়া বহুতলকে ঘিরে এখন আতঙ্কের প্রহর গুনছে ট্যাংরার ক্রিস্টোফার রোড। একটি পাঁচতলা আবাসন। আরেকটি নির্মীয়মাণ ছ'তলা আবাসন। এই দুটি বহুতল বিপজ্জনকভাবে হেলে পড়েছে একে অপরের গায়ে। বেশি হেলে গেছে পাঁচতলার পুরনো আবাসনটি। যে কোনও সময় বড়সড় বিপর্যয়ের আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।
ঘটনাস্থলে হেলে পড়া বহুতলের ছবি তুলতে দেখা যায় পুলিশকে। আর এখানেই বিরোধীদের বক্তব্য, আগে থাকতে নজরদারি থাকলে এমন বিপর্যয় ঘটত না। শহর কলকাতায় আবার এ ধরনের ঘটনায় পুরসভাকে সমালোচনায় বিদ্ধ করছেন বিজেপি কাউন্সিলর সজল ঘোষ। তাঁর বক্তব্য, ' আগে কাউন্সিলররা কাটমানি খেত। এখন সাব কন্ট্রাক্টর হয়ে গেছে। আগে এই সব এলাকা জলাশয় ছিল। একটার পর একটা তলা তুলেছে। তৃণমূল মানেই স্কোয়ার ফুট। কাউন্সিলর মানেই স্কোয়ার ফুট '।
বাঘাযতীনের ঘটনায় ঘুম উড়েছিল কলকাতাবাসীর। ছাদহারা হয়েছে একাধিক পরিবার। বিপদের আঁচ করে আকাশের নীচে রাত কাটিয়েছেন আশেপাশের বাড়ির বাসিন্দারা। প্রশাসন কি ঘুমিয়েছিল? প্রশ্ন তুলেছেন বহু মানুষ। বহুতলের বাসিন্দাদের দাবি, একদিক কিছুটা বসে যাওয়ায়, বিল্ডিংটি হেলে পড়েছিল। তারপর হরিয়ানার একটি সংস্থাকে দিয়ে সেই ত্রুটি মেরামত করতে শুরু করেন প্রোমোটার। তার মধ্যেই ঘটে যায় এই বিপর্যয়। এই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই কলকাতা পুরসভার ৫৮ নম্বর ওয়ার্ডের ১১ বাই ২ ক্রিস্টোফার রোডে একটি বহুতলের গায়ে বিপজ্জনক ভাবে হেলে পড়ে আরেকটি বহুতল। যে কোনও সময় বড়সড় বিপর্যয়ের আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী। ৫৮ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর সন্দীপন সাহার দাবি, তিনি জানেনই না , এ নির্মাণ বেআইনি। এখন প্রশ্ন, বিপর্যয়ের দায় কার?
আরও পড়ুন :
সাংগঠনিক বৈঠকে নেই শুভেন্দু ! সুকান্তর মুখে বক্র-সুর? পাল্টা বিরোধী দলনেতার, কী হচ্ছে BJPর অন্দরে?






















