Municipality Election 2022: রাজ্য পুলিশ দিয়েই ১০৮ পুরসভায় ভোট, রিপোর্ট পৌঁছেছে কমিশনেও
Municipality Election: সূত্রের খবর, কোথায় কীভাবে পুলিশ মোতায়েন করা হবে তা নিয়েই শীঘ্রই প্রশাসনিক স্তরে বৈঠক হবে।
কলকাতা: কেন্দ্রীয় বাহিনী (Central Force) নিয়ে নয়, রাজ্য পুলিশ (West Bengal Police) দিয়েই হতে চলেছে ১০৮টি পুরসভায় (Municipality Election) ভোট। সূত্রের খবর, কোথায় কীভাবে পুলিশ মোতায়েন করা হবে তা নিয়েই শীঘ্রই প্রশাসনিক স্তরে বৈঠক হবে। পুলিশ মোতায়েন নিয়ে রিপোর্টও গেছে কমিশনে, খবর সূত্রের।
১০৮টি পুরভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়ে আদালতে আবেদনকরে বিজেপির। নির্বাচনের কমপক্ষে ৭২ ঘণ্টা আগে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের দাবি
কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোটারদের পরিচয়পত্র পরীক্ষার আর্জি করে। ১ জন নিরপেক্ষ পর্যবেক্ষক ও নিরপেক্ষ মাইক্রো অবজার্ভার নিয়োগেরও আর্জি করে বিজেপি।
এর আগেও পুরভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবি জানিয়েছিল বিজেপি, সীমানা সিল করার আর্জি জানায় বামেরা। বিধাননগরের (Bidhannagar) কর্পোরেশন ভোটে (Corporation Election) কেন্দ্রীয় বাহিনী (Central Force) চেয়ে জনস্বার্থ মামলার (PLA) শুনানি শুরু হয় হাইকোর্টে (Calcutta High Court)। এ নিয়ে একাধিক শুনানি হয় আদালতে। এই অবস্থায় চার কর্পোরেশন ভোটের পাশাপাশি ১০৮টি পুরসভাতেও কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোটের দাবি তুলল বিজেপি (BJP)। নির্বাচন কমিশনের (State Election Commission) অফিসে গিয়ে কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবি করা ছাড়াও, তাদের প্রার্থীদের নানাভাবে হুমকি দেওয়ার অভিযোগও তোলে গেরুয়া শিবির। বিজেপি নেতা শিশির বাজোরিয়া দাবি করেন, ‘কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট হোক। প্রার্থীদের হুমকি দেওয়া হচ্ছে, মনোনয়নে বাধা দিচ্ছে। অফিসাররা বিভ্রান্তি তৈরি করছে।’
বিজেপি-র পাশাপাশি, রাজ্য নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয় সিপিএমও। তাদের দাবি, সুষ্ঠুভাবে ভোটের জন্য সিল করে দেওয়া হোক সীমানা এলাকা। সিপিএম রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য রবীন দেব বলেছেন, ‘বাইরে থেকে লোক আসছে। সীমানা সিল করতে হবে।’
বামেদের আরও অভিযোগ ছিল, রাজপুর-সোনারপুর এবং মহেশতলা পুরসভায় ভোটার তালিকায় গরমিল রয়েছে। সিপিএম রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য শমীক লাহিড়ির অভিযোগ, ‘সোনারপুর-রাজপুরে ভোটার তালিকা ভুলে ভরা। মহেশতলাতেও একই অবস্থা।’
এরপর বিধাননগর পুরভোটে (Bidhannagar Municipality) কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে কমিশন এমনটাই জানিয়ে দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। মামলার শুনানিতে হাইকোর্ট জানায়, "মুখ্য ও স্বরাষ্ট্র সচিব, ডিজি এবং আই জির সঙ্গে আলোচনা করবে কমিশন। ১২ ঘণ্টার মধ্যে সামগ্রিক পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে সিদ্ধান্ত নেবে কমিশন। বাহিনীর প্রয়োজন হলে অবিলম্বে উপযুক্ত কর্তৃপক্ষকে জানাতে হবে। বাহিনীর প্রয়োজন নেই বলে সেই জায়গায় গন্ডগোল হলে দায় কমিশনারের।''