![ABP Premium](https://cdn.abplive.com/imagebank/Premium-ad-Icon.png)
Jibonkrishna Saha: বিধায়কের মোবাইলেই কি নিয়োগ দুর্নীতির আসল রহস্য?
সূত্রের খবর, বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুযায়ী সিবিআই আধিকারিকরা ড্রায়ার দিয়ে ফোন শুকোনোর চেষ্টা করলেও, সেটিকে এখনও পর্যন্ত খোলা সম্ভব হয়নি।
![Jibonkrishna Saha: বিধায়কের মোবাইলেই কি নিয়োগ দুর্নীতির আসল রহস্য? Murshidabad mla phone recovered from the pond is being sent for forensic examination today Jibonkrishna Saha: বিধায়কের মোবাইলেই কি নিয়োগ দুর্নীতির আসল রহস্য?](https://feeds.abplive.com/onecms/images/uploaded-images/2023/04/17/bc9e55f1549fabd87dd304554c1edcd01681697977529176_original.jpg?impolicy=abp_cdn&imwidth=1200&height=675)
পার্থপ্রতিম ঘোষ, অনির্বাণ বিশ্বাস, কলকাতা: বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহার মোবাইল ফোনেই কি লুকিয়ে আছে নিয়োগ দুর্নীতির গোপন তথ্য? তার হদিশ পেতে পুকুর থেকে উদ্ধার হওয়া একটি ফোন আজই পাঠানো হচ্ছে ফরেন্সিক পরীক্ষার জন্য। ২ দিন ধরে জলের মধ্যে পড়েছিল ফোন। সূত্রের খবর, বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুযায়ী সিবিআই আধিকারিকরা ড্রায়ার দিয়ে ফোন শুকোনোর চেষ্টা করলেও, সেটিকে এখনও পর্যন্ত খোলা সম্ভব হয়নি। সিবিআই সূত্রে খবর, বিধায়কের বাড়ির কাছে উদ্ধার হওয়া ৫টি ব্য়াগে মিলেছে প্রায় সাড়ে ৩ হাজার পাতার নথি। সিবিআইয়ের দাবি, এই নথিগুলির মধ্যে শুধু মুর্শিদাবাদ জেলার নয়, অন্য জেলার চাকরিপ্রার্থীদের তালিকাও মিলেছে। এই সমস্ত অভিযোগ সামনে রেখেই বড়ঞার তৃণমূল বিধায়কের বিরুদ্ধে পালানোর চেষ্টা তথ্যপ্রমাণ লোপাটের চেষ্টা-সহ ভারতীয় দণ্ডবিধির ২০১ ধারা যুক্ত করার চেষ্টা করছে সিবিআই।
শেষরক্ষা হল না, ৬৫ ঘণ্টা ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদের পর, নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে গ্রেফতার বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা। ঠিক কী কী হল এই দীর্ঘসময়ে? শনিবার বিকেল সাড়ে ৫টা নাগাদ কলকাতার নিজাম প্যালেসে সিবিআই দফতরে শুরু হয় তোড়জোড়। ২টি গাড়ি করে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের নিয়ে মুর্শিদাবাদের উদ্দেশে রওনা দেন সিবিআইয়ের এসপি ও ডিএসপি পদমর্যাদার ২ অফিসার। রাত ২টো ৩৫ মিনিটে বড়ঞার তৃণমূল বিধায়কের বাড়িতে পৌঁছন সিবিআই আধিকারিকরা। এরপরই গ্রেফতার হন জীবনকৃষ্ণ সাহা। সোমবার ভোর সোয়া ৫টা নাগাদ বিধায়ককে নিয়ে কলকাতার উদ্দেশে রওনা দেন সিবিআই আধিকারিকরা। তৃণমূল বিধায়কের আন্দির বাড়িতে সিবিআই অভিযান ঘিরে শুক্রবার থেকে একের পর এক নাটকীয় পরিস্থিতি তৈরি হয়।
অভিযান শুরু হয়েছিল শুক্রবার বেলা সাড়ে ১২টায়। কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে বিধায়কের বাড়িতে পৌঁছয় সিবিআইয়ের একটি দল। শুরু হয় বিধায়ককে জিজ্ঞাসাবাদ। একইসঙ্গে রঘুনাথগঞ্জে বিধায়কের শ্বশুরবাড়িতেও অভিযান চালান কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। সিবিআই জিজ্ঞাসাবাদ চলাকালীনই শুক্রবার বিকেল সোয়া ৫টা নাগাদ তদন্তকারীদের হাত থেকে নিজের দুটি মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়ে বাড়ির পুকুরে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে জীবনকৃষ্ণের বিরুদ্ধে। ওই দিন রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ জোড়া মোবাইলের সন্ধান পেতে পুকুর থেকে জল তোলার কাজ শুরু হয়। শনিবার বিকেলে বিধায়কের বাড়ির কাছে ঝোপ থেকে উদ্ধার হয় ৫টি ব্যাগভর্তি নথি। যেগুলি নিয়োগ সংক্রান্ত নথি বলে সিবিআই দাবি করেছে। এরপর রবিবার সকালে সাড়ে ৩৮ ঘণ্টা পর, উদ্ধার হয় বিধায়কের একটি মোবাইল।
নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে টানা ৬৫ ঘণ্টা নাটকীয় টানাপোড়েনের পর, অবশেষে সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হলেন মুর্শিদাবাদের বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা। পার্থ চট্টোপাধ্যায়, মানিক ভট্টাচার্যর পর নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত শাসকদলের তৃতীয় বিধায়ক। জীবনকৃষ্ণের বিরুদ্ধে তদন্তে অসহযোগিতার অভিযোগ উঠেছে। পুকুরে দুটি মোবাইল ফোন ফেলে দিয়েও শেষরক্ষা হল না। বড়ঞার তৃণমূল বিধায়কের একটি ফোন উদ্ধার হয়েছে। ৬০ ঘণ্টা পার। দ্বিতীয় ফোনটির এখনও খোঁজ চলছে। সিবিআইয়ের তল্লাশি অভিযানে বিধায়কের বাড়ির অদূরে ঝোপ থেকে উদ্ধার হয়েছে ৫টি ব্যাগ। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের দাবি, এই ব্যাগগুলিতে নিয়োগ সংক্রান্ত প্রচুর নথি মিলেছে। ভোরবেলা জীবনকৃষ্ণকে গ্রেফতারের পর, কলকাতার উদ্দেশে রওনা দিয়েছে সিবিআই। আজই বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ককে তোলা হবে আলিপুর আদালতে।
ট্রেন্ডিং
সেরা শিরোনাম
![ABP Premium](https://cdn.abplive.com/imagebank/metaverse-mid.png)