Murshidabad News: ফের আবাস যোজনার তদন্তে মুর্শিদাবাদে কেন্দ্রীয় দল
Central Delegation in Murshidabad: মুর্শিদাবাদের রাণীনগর ১ নম্বর ব্লকের হেরামপুরে আবাস যোজনার তদন্তে এসেছে কেন্দ্রীয় দল। তদন্ত শুরু করেছেন কেন্দ্রীয় সরকারের ২ সদস্যের প্রতিনিধি দলের আধিকারিকেরা।
রাজীব চৌধুরী,মুর্শিদাবাদ: ফের আবাস যোজনার (PMAY Scam) তদন্তে রাজ্যে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল (Central Delegation)। মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) রাণীনগর ১ নম্বর ব্লকের হেরামপুরে আবাস যোজনার তদন্তে এসেছে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল। এদিন সকাল থেকেই হেরামপুরের বিভিন্ন এলাকায় তদন্ত শুরু করেছেন কেন্দ্রীয় সরকারের দুই সদস্যের প্রতিনিধি দলের আধিকারিকেরা। সঙ্গে রয়েছেন জেলা প্রশাসনের আধিকারিকরাও।
বাংলায় আবাস দুর্নীতির অভিযোগ খতিয়ে দেখতে রাজ্য়ে এর আগেও এসেছে কেন্দ্রীয় দল (Central Team)। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় দুর্নীতির অভিযোগ খতিয়ে দেখতে, বাংলায় এসেছিল কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের প্রতিনিধি দল। পূর্ব মেদিনীপুরে ভগবানপুর, খেজুরির বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেছিলেন কেন্দ্রীয় দলের প্রতিনিধিরা। ভগবানপুর ১ নম্বর ব্লকে, বিডিও অফিসের সামনে, বিক্ষোভের মুখেও পড়েছিলেন তাঁরা।
গাড়ি ঘিরে দেখানো হয়েছিল বিক্ষোভ। কোনওক্রমে ঘেরাওমুক্ত হওয়ার পরে, কাজলাগড়, খেজুরির বেগুনাবাড়ি, ঠাকুরনগর-সহ বিভিন্ন গ্রাম পরিদর্শন করেছিল কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল। কেন্দ্রের আরও একটি প্রতিনিধি দল ছিল মালদায়। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় যাঁরা ঘর পেয়েছেন তাঁদের সঙ্গে কথা বলছিল প্রতিনিধি দল। যাঁরা ঘর পাননি তার পিছনে কী কারণ তাও খতিয়ে দেখে কেন্দ্রের প্রতিনিধি দল।
প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় দুর্নীতির গুচ্ছ গুচ্ছ অভিযোগ উঠেছে। তৃণমূলের জনপ্রতিনিধিদের নাম তাতে যেমন জড়িয়েছে, তেমনই কোথাও কোথাও আঙুল উঠেছে বিজেপি নেতাদের বিরুদ্ধেও! এই প্রেক্ষাপটেই বিজেপিকে নিশানা করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাল্টা সুর চড়িয়েছে পদ্ম শিবিরও। গ্রামবাংলার ভোটের আগে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় দুর্নীতির ভুরি ভুরি অভিযোগ। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় দুর্নীতির অভিযোগে নাম জড়িয়েছে তৃণমূলের নেতা কিংবা আত্মীয়দের।
আবাস-দুর্নীতিতে সমান দায়ী বিডিওরাও, দাবি তুলেছিলেন চলতি বছরে শ্যামপুরের তৃণমূল বিধায়ক কালীপদ মণ্ডল। তিনি বলেছিলেন, 'তিনতলা বাড়ির মালিককেও ঘর পাইয়ে দেওয়া হয়েছে। সরকারি আধিকারিকরা সরকারকে বিড়ম্বনায় ফেলার জন্যই এসব করেছেন। কৈফিয়ত যদি দিতে হয় তাহলে বিডিও দিক। লিস্ট তো বিডিও তৈরি করেছে।' অভিযোগ করেছেন শ্যামপুরের তৃণমূল বিধায়ক। তবে দলের মধ্যেও যে দুর্নীতি পরায়ণ লোকজন রয়েছে, ঘুরিয়ে তা স্বীকার করে নিয়েছিলেন তৃণমূল বিধায়ক। 'আমাদের মধ্যেও সকলে সৎ নয়, কিছু সুযোগসন্ধানী আছে,' মেনে নিয়েছিলেন বিধায়ক কালীপদ মণ্ডল।
আরও পড়ুন, 'সবাইকে নববর্ষের শুভেচ্ছা', CBI আদালতে পেশের আগে বললেন পার্থ
মালদায় ডিএম অফিসে জেলাশাসক, অতিরিক্ত জেলাশাসক, বিডিওদের সঙ্গে বৈঠক করেও আবাস যোজনার নথিপত্র খতিয়ে দেখেছিল কেন্দ্রীয় দল। আর বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) জেলা পূর্ব মেদিনীপুরে গিয়েই, ভগবানপুর ১ নম্বর ব্লকে, বিডিও অফিসের সামনে, বিক্ষোভের মুখে পড়েছিলেন সেই কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের সদস্যরা।