Minakshi Mukherjee: 'রাজ্যে বিরাট চক্র কাজ করছে', চাকরিপ্রার্থীর মৃত্যুতে বামেদের অভিযানের পর বিস্ফোরক মীনাক্ষী
Minakshi on Lalgola Agitation: চাকরিপ্রার্থীর মৃত্যুর বিচার চেয়ে বাম অভিযানে লালগোলায় ধুন্ধুমার। কী বললেন ডিওয়াইএফআই-র রাজ্য সম্পাদক মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায় ?
মুর্শিদাবাদ: চাকরিপ্রার্থীর (Job Seeker) মৃত্যুর বিচার চেয়ে বাম অভিযানে লালগোলায় (Lalgola) ধুন্ধুমার। বাম ছাত্র-যুব সংগঠনের থানা অভিযান ঘিরে রণক্ষেত্র লালগোলা। পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে থানায় ঢোকার চেষ্টা, ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনায় প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন ডিওয়াইএফআই-র রাজ্য সম্পাদক মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায় (Minakshi Mukherjee)।
মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায় বলেন, আশা ছিল প্রকৃত দোষীদের ধরবে পুলিশ। মূলত যাদের নাম সুইসাইড নোটে রয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। কিন্তু পুলিশ প্রশাসনের যদি এত সময় লেগে যাচ্ছে... রাজ্য জুড়ে যে বিরাট র্যাকেট কাজ করছে, এই ঘুষ, স্বজনপোষণ..যার জন্য রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী থেকে শুরু করে পর্ষদের অপসারিত প্রাক্তন সভাপতি, যারা আজকে জেলে আছেন।এবং যারা যোগ্য, যারা মেধাবী তাঁরা রাস্তায় আছেন। এই ধরণের কত অসংখ্য ছেলে মেয়ে আছে বলুন তো, যারা ঘুষ নিয়েছে ! আর টাকা ফেরত দেয়নি। এটা তো একটা বড় চক্র।
প্রাথমিকে চাকরির টোপ দিয়ে ৬ লক্ষ টাকা হাতানোর অভিযোগ। টাকা দিয়েও প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি না পাওয়ায় আত্মহত্যার অভিযোগ পরিবারের। আব্দুর রহমানের মৃত্যুতে বিচার চেয়ে এদিন রাজপথে নামে ডিওয়াইএফআই-এসএফআই। কোর্টের নির্দেশে কবর থেকে তুলে দেহের ময়নাতদন্ত। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।প্রসঙ্গত, সম্প্রতি মেয়ো রোডে গান্ধী মূর্তির সামনে ৫৯০ দিন পার করল এসএলএসটি চাকরিপ্রার্থীদের ধর্না-অবস্থান। উৎসবের দিনগুলো পরিবার-পরিজনেদের থেকে দূরে কাটলেও, এখনও হকের চাকরির দাবিতে আন্দোলনে অনড় চাকরিপ্রার্থীরা। এদিন ভাইফোঁটা নিতে গিয়ে কান্না ভেঙে পড়েন এক চাকরিপ্রার্থী।
দুর্গাপুজোর পর কালীপুজোও কেটেছে SSC চাকরিপ্রার্থীদের রাস্তায় বসে। মেয়ো রোডে গান্ধী মূর্তির সামনে ধর্নায় রয়েছেন SSC চাকরিপ্রার্থীরা । উৎসবের মরশুমেও ওঁদের জীবনে শুধুই অন্ধকার। পরিবার-পরিজন ছেড়ে পথের ধারেই কাটছে দিন। তবুও হকের চাকরির দাবিতে আন্দোলনে অনড় SSC চাকরিপ্রার্থীরা। এবার পুজোয় রাজ্যবাসীর মনে কাঁটার মতো বিঁধেছে চাকরিপ্রার্থীদের রাস্তায় বসে আন্দোলন। এই সমস্যার সমাধান না হলে মানুষের মনে শান্তি আসবে না। সম্প্রতি এই মন্তব্য করেন দিলীপ ঘোষ।
ভরা পুজোর মাঝে যখন প্যান্ডেলে প্যান্ডেলে ভিড়, রাস্তাঘাটে আলোর রোশনাই, তখন ভিন্ন দৃশ্য শহরের একপ্রান্তে। উৎসবের চিহ্নটুকুও নেই, আন্দোলনরত চাকরিপ্রার্থীদের মনে। কারোর চোখে জল, কারোর আবার কথা বলতে গিয়ে গলা বুজে আসছে। ঝাপসা হচ্ছে চোখ, পরিবারের কথা বলতে গিয়ে ধরে রাখতে পারছেন না চোখের জল। বঞ্চনার অভিযোগে উৎসবের দিনেও রাস্তায় অবস্থান করছেন তাঁরা। ঘর-বাড়ি ভুলে নিয়োগের দাবিতে সরব তাঁরা।দুর্গাপুজো কেটেছে রাস্তায় বসে। পুজোয় গোটা শহর আলোর উত্সবে মাতলেও, অন্ধকারেই রইলেন চাকরিপ্রার্থীরা।
আরও পড়ুন, ফের মানিক ঘনিষ্ঠ তাপসকে ইডির জিজ্ঞাসাবাদ
ভাইফোঁটা নিতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন এদিন SLST-র একজন চাকরিপ্রার্থী। মেয়ো রোডে গান্ধী মূর্তির সামনে চাকরিপ্রার্থীদের অবস্থান ৫৯০ দিন পেরিয়েছে। ভাইফোঁটার পরেও সেই অন্ধকারেই চাকরিপ্রার্থীরা। নবম থেকে দ্বাদশের চাকরিপ্রার্থীদের এই অবস্থান আন্দোলনের জল গড়িয়েছে রাজনীতির আঙিনাতেও। SSC-কর্তৃপক্ষ থেকে শুরু করে শিক্ষামন্ত্রী। চাকরিপ্রার্থীরা একের পর এক বৈঠক করেছেন। কিন্তু তা সত্ত্বেও তাঁদের নিয়োগের দাবির সুরাহা হয়নি। আলোর উত্সবের শহরে পরিবার ছেড়ে ম্লান মুখে রাজপথের এককোণে বসে রয়েছেন তাঁরা।