Civic Volunteer: কখনও লাঠি নিয়ে তাড়া, কখনও এরিয়া ডমিনেশন! নির্দেশ উপেক্ষা করেই পুলিশের সঙ্গে রাস্তায় সিভিক ভলান্টিয়াররাও
মাথায় হেলমেট। হাতে ফাইবারের লাঠি। পুলিশ-র্যাফের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে, শনিবার মুর্শিদাবাদের ডোমকলে মনোনয়নের অশান্তি সামাল দিলেন সিভিক ভলান্টিয়ার। প্রত্যেকের হাতেই রয়েছে লাঠি।
রাজীব চৌধুরী, রাণা দাস, অনির্বাণ বিশ্বাস, মুর্শিদাবাদ, পূর্ব বর্ধমান: আদালত এবং রাজ্য পুলিশের নির্দেশকে কার্যত উপেক্ষা করেই মুর্শিদাবাদের ডোমকল, রানিনগর থেকে পূর্ব বর্ধমানের কেতুগ্রাম। মনোনয়নের অশান্তি থামাতে পুলিশের সঙ্গেই দেখা গেল সিভিক ভলান্টিয়ারদের। শুধু তাই নয়, লাঠি হাতে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করতেও দেখা যায় তাদের। পুলিশ-র্যাফের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে, শনিবার মুর্শিদাবাদের ডোমকলে মনোনয়নের অশান্তি সামাল দিলেন সিভিক ভলান্টিয়ার। প্রত্যেকের হাতেই ছিল লাঠি। কখনও, জমায়েত হঠাতে লাঠি উাচিয়ে তাড়া করছেন তাঁরা।
মাথায় হেলমেট। হাতে ফাইবারের লাঠি। পুলিশ-র্যাফের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে, শনিবার মুর্শিদাবাদের ডোমকলে মনোনয়নের অশান্তি সামাল দিলেন সিভিক ভলান্টিয়ার। প্রত্যেকের হাতেই রয়েছে লাঠি। কখনও, জমায়েত হঠাতে লাঠি উাঁচিয়ে তাড়া করছেন তাঁরা। কখনও আবার এরিয়া ডমিনেশন। শনিবার ডোমকলের বিভিন্ন জায়গায়, এই ভূমিকায় দেখা গেল সিভিক ভলান্টিয়ারদের। শুধু ডোমকল নয়, শনিবার পুলিশের সিভিক নির্ভরতার ছবি দেখা গেল পূর্ব বর্ধমানের কেতুগ্রামেও। মনোনয়নের অশান্তি থামাতে, পুলিশের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় দেখা গেল সিভিক ভলান্টিয়ারদেরও।
পুলিশের সঙ্গে ধড়পাকড় করতে দেখা যায় তাঁদেরও। শুক্রবারও দেখা গেছিল একই ছবি। মুর্শিদাবাদের রানিনগরে, মনোনয়নের অশান্তি থামাতে, পুলিশের সঙ্গে লাঠি হাতে এরিয়া ডমিনেশন করতে দেখা যায় সিভিক ভলান্টিরারদের।
এ প্রসঙ্গে সুজন চক্রবর্তী বলছেন, আজকেও দেখা যাচ্ছে বিভিন্ন ব্লকে নমিনেশনের জায়গাতে, পুলিশ নেই, আছে সিভিক পুলিশ। কেন, কী করে আছে? নির্বাচন কমিশন দায়িত্ব নেবে না কেন? কোর্টের আদেশ-নির্দেশ তারা অমান্য় করছে কেন? সিভিক পুলিশের নাম করে তৃণমূলের বাহিনী, তাকে নির্বাচনের কাজে ব্য়বহার করা হচ্ছে!
কুণাল ঘোষের দাবি, সিভিকরা জল দিচ্ছিল...সিপিএম অশান্তি করায় ওরা নিজেদের বাঁচাতে লাঠি ও ঢাল হাতে নেয়।
এ দিকে, ট্যুইটে বিস্ফোরক অভিযোগ করে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, বিশ্বস্ত সূত্রে খবর পেয়েছি, এই সিভিক ভলান্টিয়ারদের বিভিন্ন জেলায় পাঠানো হবে।
বিশেষ করে সংবেদনশীল জেলাগুলিতে যেমন, জলপাইগুড়ি, পূর্ব মেদিনীপুর, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং বীরভূম, যাতে তাদের চিহ্নিত করা না যায়। এটা দ্বিমুখী কৌশল। প্রথমত, বুথ পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় পুলিশ মোতায়েনের ঘাটতি কোনওভাবে মেটানো। দ্বিতীয়ত, সংবেদনশীল জেলাগুলি হল এমন এলাকা যেখানে তৃণমূল তাদের জমি হারিয়েছে, তাই বিরোধীদের সামনে সমস্যা তৈরি করা। আমরা এবার খুব ভাল হোমওয়ার্ক করেছি। আমাদের ডেটাবেসে সিভিক ভলান্টিয়ারদের নাম, পরিচয় ও কোথায় পোস্টিং করা হয়েছে সেই সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য রয়েছে।
সম্প্রতি, একটি মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা বলেন, আইন শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য সিভিক ভলান্টিয়ার নয়, পুলিশ নিয়োগ করতে হবে রাজ্য সরকারকে। সার্কুলার জারি করে রাজ্য পুলিশ। তাতে স্পষ্ট করে বলা হয়,আইন শৃঙ্খলাজনিত কোনও দায়িত্বপূর্ণ কাজ সিভিক ভলান্টিয়ারকে দেওয়া যাবে না।
এরপরই, শুক্রবার, পঞ্চায়েত নির্বাচন সংক্রান্ত মামলায়, সেই কথা মনে করিয়ে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ পর্যবেক্ষণে বলে, নির্বাচন পরিচালনা করার সব ক্ষমতা কমিশনের হাতে রয়েছে। নির্বাচনে সিভিক ভলান্টিয়ারদের কাজে লাগানোর বিষয়ে সম্ভবত নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। তাও কমিশনকে মাথায় রাখতে হবে। কিন্তু, জেলায় জেলায় এখনও দেখা যাচ্ছে পুলিশের সিভিক ভলান্টিয়ার নির্ভরতার ছবি।