Murshidabad: তৃণমূলের কোন্দলে রণক্ষেত্র মুর্শিদাবাদ, পার্টি অফিসের সামনে ভাঙচুর, রাস্তায় আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ
নওদার ব্লক তৃণমূল সভাপতি সফিউজ্জামান শেখকে পদ থেকে সরানোর দাবিতে বিক্ষোভ নওদায়। আমতলায় দলের পার্টি অফিসের সামনে চেয়ার, ভাঙচুর করে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখান দলেরই কয়েকশো নেতা কর্মী।
মুর্শিদাবাদ: বেলডাঙার পর এবার নওদা, মুর্শিদাবাদে (Murshidabad) ফের তৃণমূলের (TMC) কোন্দল। ব্লক সভাপতিকে অপসারণের দাবিতে বিক্ষোভ বিধায়কের অনুগামীদের। পার্টি অফিসের সামনে ভাঙচুর, রাস্তায় আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ। ‘বিধায়কের সঙ্গে কথা না বলে কেন নতুন ব্লক ও অঞ্চল সভাপতি ঘোষণা?’ মুর্শিদাবাদের নওদায় বিধায়ক অনুগামীদের বিক্ষোভ। কর্মীদের স্বতঃস্ফূর্ত বিক্ষোভ, প্রতিক্রিয়া তৃণমূল বিধায়ক সাহিনা মমতাজের। বিক্ষোভকারীরা বিধানসভা ভোটে কংগ্রেস প্রার্থীর হয়ে কাজ করেছিল’। অভিযোগ নওদার ব্লক সভাপতি সফিউজ্জামান শেখের।
নওদার ব্লক তৃণমূল (TMC) সভাপতি সফিউজ্জামান শেখকে পদ থেকে সরানোর দাবিতে বিক্ষোভ নওদায়। আমতলায় দলের পার্টি অফিসের সামনে চেয়ার, ভাঙচুর করে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখান দলেরই কয়েকশো নেতা কর্মী। ছিলেন নওদা পঞ্চায়েত সমিতি সহ একাধিক গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের প্রতীকে জেতা জনপ্রতিনিধিরা। তাদের অভিযোগ, ব্লক সভাপতি নওদা পঞ্চায়েত সমিতিসহ একাধিক গ্রাম পঞ্চায়েতে একের পর অনাস্থা এনে নির্দল এবং কংগ্রেস, সিপিএমের প্রতীকে জেতা সদস্যদের চেয়ারে বসিয়েছেন। সম্প্রতি জেলার নির্দেশকে উপেক্ষা করেই ব্লক কমিটি ঘোষণা করেছেন।
সেখানে রাখা হয়নি বিধায়ক সাহিনা মমতাজ খানের ঘনিষ্ঠ কাউকেই। এমনকি দলের একনিষ্ঠ নেতা কর্মীদেরও ওই কমিটিতে ঠাই দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। জেলা সভানেত্রী শাওনি সিংহ রায়ের নির্দেশ স্বত্ত্বেও ব্লক কমিটি বাতিল করা হয়নি বলে অভিযোগ। তাছাড়া মঙ্গলবার নওদা গোঘাটা চাঁদপুরের এক সমবায় ব্যাঙ্কের পরিচালন কমিটির নির্বাচনেও ব্লক সভাপতি নিজের লোকেদের মনোনয়ন জমা করিয়েছেন বলে অভিযোগ। তাতেই বীতশ্রদ্ধ হয়ে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন দলেরই একাংশের সক্রিয় নেতা, কর্মী, জনপ্রতিনিধিরা। নওদার বিধায়ক অনুগামীদের বিক্ষোভ ভাঙচুর নওদার তৃণমূল কার্যালয়ের আসবাবপত্র। বিধায়ক অনুগামীদের অভিযোগ ব্লক সভাপতি অঞ্চল সভাপতি করেছেন তাদের বাদ দিয়ে।
রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলের ভোটে অশান্তি: রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলের ভোট (State Medical Council Vote) প্রক্রিয়াতেও এড়ানো গেল না অশান্তি। তৈরি হল ধুন্ধুমার পরিস্থিতি। ভোটে কারচুপি থেকে প্রাইভেট ডিটেকটিভ নিয়োগ, একে অপরের বিরুদ্ধে এমনই নানা অভিযোগ তুলল শাসক-বিরোধী শিবির।
শাসক- বিরোধী শিবিরের অভিযোগ: পশ্চিমবঙ্গে নির্বাচন মানেই ধুন্ধুমার। সে লোকসভা-বিধানসভা-পঞ্চায়েত-পুরসভা ভোট হোক কিংবা স্কুল অথবা মাদ্রাসা পরিচালন সমিতির নির্বাচন! আর এবার রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলের নির্বাচন প্রক্রিয়াকে কেন্দ্র করেও রীতিমতো ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হল বুধবার! একদিকে শাসক শিবিরের বিরুদ্ধে ভোটে কারচুপি, নিয়মভঙ্গের অভিযোগ তুলল বিরোধী শিবির।
মোতায়েন করতে হল পুলিশ: সল্টলেকে রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলের দফতরে মোতায়েন করতে হল পুলিশ। অন্যদিকে নির্বাচনে নজরদারির রাখার জন্য বিরোধী শিবিরে বিরুদ্ধে প্রাইভেট ডিটেক্টিভ নিয়োগ করার অভিযোগ করল শাসক শিবির! ফলে প্রশ্ন উঠছে, বাংলায় কি চিকিত্সকদের সংগঠনের নির্বাচনের প্রক্রিয়াও সুষ্ঠুভাবে হবে না? হাইকোর্টের নির্দেশে এখন নির্বাচনের প্রক্রিয়া চলছে। চিকিত্সক-ভোটাররা এসে ব্যালট বক্সে ব্যালট জমা দিয়ে যাচ্ছেন।
বিরোধী শিবিরের প্রার্থীদের অভিযোগ, বুধবার বিকেলে কয়েকজন সঙ্গে ব্যাগ নিয়ে কাউন্সিলের অফিসে ঢোকেন। তাঁদের ব্যাগে প্রচুর ব্যালট দেখা যায়। সেই ব্যালট বের করে ড্রপ বক্সে ফেলতে গেলে বাধা দেওয়া হয়। বিরোধী শিবিরের দাবি, প্রচুর সংখ্যায় ব্যালট নিয়ে যাঁরা এসেছিলেন, তাঁদেরই একজন দীনেশ সিংহ। যিনি শাসক শিবিরের প্রার্থী সুদীপ্ত রায়ের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত।