Nadia News: সরকারি স্কুলের পড়ুয়াদের পোশাকের কাপড় তৈরির পাইলট প্রজেক্ট চালু নদিয়ায়
Nadia News Update: গত ৯ ডিসেম্বর কৃষ্ণনগরের প্রশাসনিক বৈঠক থেকে বিকল্প কর্মসংস্থানে জোর দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। যন্ত্রচালিত তাঁত কারখানাগুলিতে এখন চরম ব্যস্ততা।
সুজিত মণ্ডল, নদিয়া: সরকারি স্কুলের(Government School) পড়ুয়াদের পোশাকের কাপড় তৈরির পাইলট প্রজেক্ট চালু হল নদিয়ায় (Nadia)। ভিন রাজ্য থেকে কাপড় না এনে, রাজ্যের পাওয়ার লুমেই তৈরি হচ্ছে স্কুল পড়ুয়াদের (School) পোশাকের কাপড়। মুখ্যমন্ত্রীর (CM Mamata Banerjee) নির্দেশ মতো শান্তিপুরে (Shantipur) চালু হয়েছে ১২টি বৈদ্যুতিক তাঁত। প্রশাসনের আশ্বাস, এর মাধ্যমে স্থানীয় তাঁতশিল্পীরা আরও বেশি করে কাজের সুযোগ পাবেন।
সরকারি স্কুলের পড়ুয়াদের পোশাকের কাপড় রাজ্যেই তৈরি হোক। ভিন রাজ্য থেকে তা আনার দরকার নেই। বিকল্প কর্মসংস্থানে জোর দিয়ে, গত ৯ ডিসেম্বর কৃষ্ণনগরের প্রশাসনিক বৈঠক থেকে এই ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তার দু-সপ্তাহের মধ্যে দেখা গেল এই ছবি। নদিয়ার শান্তিপুরে পাওয়ার লুম বা যন্ত্রচালিত তাঁত কারখানাগুলিতে এখন চরম ব্যস্ততা। সরকারি স্কুলের পড়ুয়াদের স্কুলের পোশাকের কাপড় তৈরি হচ্ছে এখানেই।
শান্তিপুর পাওয়ারলুমের মালিক সৌম্য বিশ্বাস বলেন, “আগে স্কুল পোশাকের জন্য অন্য রাজ্য থেকে কাপড় আনা হোত। কিন্তু সেই কাপড় এবার রাজ্যে তৈরি হবে। পাইলট প্রজেক্ট হিসেবে নদিয়া জেলার শান্তিপুরকে বেছে নেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই দুটি জায়গায় তিনটি মেশিন বসানো হয়েছে। এতে কর্মসংস্থানও হতে চলেছে। পাওয়ারলুমে কাজ পেয়ে শ্রমিকরা খুশি।’’
শান্তিপুর বস্ত্রশিল্পী বিকাশ সরকার বলেন, “আমাদের কাজ হারিয়ে গিয়েছিল। নতুন কাজ পেয়ে আনন্দিত। হ্যান্ডলুমে কাজ বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর শান্তিপুরেই পাওয়ারলুমের কাজ পেয়েছি। সংসারে স্বাচ্ছন্দ্য ফিরবে। অনেকেই উপকৃত হবেন।’’ প্রশাসন সূত্রে খবর, স্কুলের পোশাক তৈরির জন্য শান্তিপুরে প্রাথমিক ভাবে ১২টি যন্ত্র চালিত তাঁত বসানো হয়েছে। শান্তিপুরের মাতালগড় ও কুতুবপুর এলাকায় ভিন রাজ্য থেকে উন্নত প্রযুক্তির তাঁত মেশিন আনা হয়েছে।
শান্তিপুরের বিডিও প্রণয় মুখোপাধ্যায় বলেন, “স্কুলড্রেস তৈরির ক্ষেত্রে সুতো সরবরাহ করবে রাজ্য সরকারের তন্তুজ। তার থেকে তৈরি হবে ফেব্রিক বা কাপড়। পরবর্তীতে তা আবার রাজ্য সরকার কিনে নেবে। এরপর ওই কাপড় গার্মেন্টস তৈরি সোসাইটির হাতে তুলে দেওয়া হবে। তারা ওই ফেব্রিক বা কাপড় দিয়ে স্কুলের পোশাক তৈরি করবে। এই প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে অর্থনৈতিক স্বচ্ছলতা ও কর্মসংস্থান তৈরি হবে।’’
আরও পড়ুন: Coal Scam: কয়লাকাণ্ডে ধৃত বিকাশ মিশ্রর স্বাস্থ্য নিয়ে সিবিআইকে রিপোর্ট পেশ এসএসকেএম সহ ৩ হাসপাতালের