Suvendu Adhikari: নন্দীগ্রামে শুভেন্দুর অফিসে পুলিশ! ভিডিও পোস্ট করে ট্যুইট রাজ্যপালের
Nandigram Suvendu Adhikari House: নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক ও বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর দফতরে পুলিশি অভিযানের অভিযোগ ঘিরে চরমে পৌঁছল রাজনীতি।
বিটন চক্রবর্তী এবং অনির্বাণ বিশ্বাস: নন্দীগ্রামে (Nandigram) শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) অফিসে পুলিশ (Police)। ভিডিও পোস্ট করে ট্যুইট করলেন রাজ্যপাল (Governor) জগদীপ ধনকড় (Jagdeep Dhankhar)। মুখ্যসচিবের কাছে চাইলেন রিপোর্ট। রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলেছেন বিরোধী দলনেতা। এক বিজেপি নেতার স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ পেয়েই পুলিশ গেছিল। জানালেন SDPO।
বাড়ির চারপাশে পুলিশে ছয়লাপ। ভিতরে ঢুকেও চলল জিজ্ঞাসাবাদ। রবিবার নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক ও বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর দফতরে পুলিশি অভিযানের অভিযোগ ঘিরে চরমে পৌঁছল রাজনীতি।
মুখ্যসচিবের কাছে রিপোর্টও তলব করলেন রাজ্যপাল। ঘটনার সূত্রপাত একটি দুর্নীতির অভিযোগকে কেন্দ্র করে। পূর্ব মেদিনীপুরে বিজেপির জেলা সাধারণ সম্পাদক মেঘনাদ পাল। তাঁর স্ত্রী মহুয়া পালের বিরুদ্ধে অভিযোগ, ভুয়ো শংসাপত্র দাখিল করে, তমলুক কৃষি সমবায় ব্যাঙ্কের নন্দীগ্রাম শাখায় গ্রুপ D কর্মী থেকে ম্যানেজার হয়েছেন তিনি। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই, রবিবার নন্দীগ্রামের হরিপুরে মেঘনাদ পালের বাড়িতে যায় পুলিশ। কিন্তু সেখানে তাঁর স্ত্রীকে না পেয়ে, শুভেন্দু অধিকারীর দফতরে যায় পুলিশ।
আরও পড়ুন, মেডিকেল কলেজের ছাদে নামবে হেলিকপ্টার! নয়া সেন্টার তৈরি হচ্ছে শতাব্দীপ্রাচীন বিল্ডিং ভেঙে
প্রথমে এই ভিডিওটি ট্যুইটারে পোস্ট করেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। তারপর সেটি পোস্ট করেন শুভেন্দু অধিকারীও। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা ও নন্দীগ্রামের বিধায়ক লেখেন, কোনও পূর্ব সূচনা না দিয়ে, কোনও সার্চ ওয়ারেন্ট ছাড়াই এবং ম্যাজিস্ট্রেটের অনুপস্থিতিতে, আচমকা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিশ আমার নন্দীগ্রামের বিধায়ক কার্যালয়ে অনধিকার প্রবেশ করে। মমতা সরকারের পুলিশের এই জঘন্য অপব্যবহার বিরোধী দলনেতার প্রতি এক ঘৃণ্য ষড়যন্ত্রের প্রমাণ।
বিজেপির তমলুক সাংগঠনিক জেলা সভাপতি তপন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, পুলিশ তদন্তের স্বার্থে যেতেই পারেন, তবে সেই তদন্ত রাজনৈতিক অভিষন্ধীতে হয়, সেখানেই আমাদের আপত্তি। হেনস্থা করা হয়েছে, ভাঙচুরের চেষ্টা করা হয়েছে শাসকদলের মদতে।
অন্যদিকে, পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদের তৃণমূল নেতা ও সহ সভাধিপতি শেখ সুফিয়ান বলেন, "এটা পুলিশের কাজ। মেঘনাদ পালের স্ত্রী ভুয়ো সার্টিফিকেট দিয়ে কাজ করেছেন, পুলিশ যেতেই পারে, বিধায়কের অফিস বলে কথা নয়। সেখানে তিনি আছেন কি না, তা দেখতে গেছিলেন।"
শুভেন্দু অধিকারীর আগেই রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় ট্যুইট করে লেখেন, বিধানসভার বিরোধী দলনেতার কাছ থেকে পাওয়া উদ্বেগজনক তথ্য থেকে জানতে পারলাম, যে নন্দীগ্রামে বিধায়কের দফতরে হানা দিয়েছে পুলিশ। মুখ্যসচিবের কাছে দ্রুত রিপোর্ট তলব করেছি। কিছুক্ষণের মধ্যেই রাজ্যপাল ট্যুইটারে জানান, এই ঘটনা সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য নিয়ে রাত ১০টার মধ্যে মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীকে দেখা করতে বলেছেন তিনি।
হলদিয়ার এসডিপিও জানিয়েছেন, বিজেপি নেতার স্ত্রীর বিরুদ্ধে একটি FIR দায়ের হয়েছে। তদন্তের জন্যই বিধায়কের অফিসে পুলিশ গেছিল। তবে হেনস্থার যে অভিযোগ তোলা হয়েছে, তা ভিত্তিহীন। কোনও ভাঙচুরের চেষ্টাও করা হয়নি।