West Midnapur: লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের ফর্ম পূরণে পাশে ‘কন্যাশ্রী’
শিবিরে দেখা গিয়েছে, স্কুল ইউনিফর্ম এবং মাস্ক পরে আগত মহিলাদের 'লক্ষ্ণীর ভান্ডারে'র ফর্মপূরণ করছেন মধুমিতা, সুপ্রিয়ারা। অনেকেই তাদের কাছে ফর্মপূরণ করানোর জন্য লাইন দিয়েছেন।
অমিত জানা, পশ্চিম মেদিনীপুর: 'ঘরের লক্ষ্মী'দের পাশে 'কন্যাশ্রী'! দুয়ারে সরকার শিবিরে আগত মহিলাদের 'লক্ষ্মীর ভান্ডার'-সহ বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের ফর্মপূরণ করে দিচ্ছেন রাজ্য সরকারের 'কন্যাশ্রী' প্রকল্পের সুবিধাপ্রাপ্ত স্কুলছাত্রীরা।
সরকারি এই কর্মসূচিতে 'লক্ষ্মী ভান্ডারে'র ফর্ম বিলি ঘিরে বিভিন্ন এলাকায় শাসকদলের বহু নেতৃত্ব যখন বিতর্কের মুখে, তখন পশ্চিম মেদিনীপুরের নারায়ণগড় ব্লক প্রশাসনের উদ্যোগে 'কন্যাশ্রী'দের ফর্মপূরণ প্রশংসা কুড়োচ্ছে।
শুক্রবার নারায়ণগড় ব্লক বেলদা ২ পঞ্চায়েত এলাকায় 'দুয়ারে সরকারে'র শিবির বসেছে বেলদা গঙ্গাধর একাডেমিতে। শিবিরে দেখা গিয়েছে, স্কুল ইউনিফর্ম এবং মাস্ক পরে আগত মহিলাদের 'লক্ষ্ণীর ভান্ডারে'র ফর্মপূরণ করছেন মধুমিতা, সুপ্রিয়ারা। অনেকেই তাদের কাছে ফর্মপূরণ করানোর জন্য লাইন দিয়েছেন।
ব্লক প্রশাসন সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার ওই স্কুলের 'কন্যাশ্রী'দের শিবিরে এসে ফর্মপূরণ করার ব্যাপারে পরামর্শ দেওয়া হয়। প্রথমে খানিকটা দ্বিধাগ্রস্ত হলেও এলাকার মা-কাকিমা-জেঠিমাদের ফর্মপূরণে সাহায্য করতে হবে শুনে এ দিন শিবিরে এসেছেন ১০ জন 'কন্যাশ্রী'। ব্যাগ, জলের বোতল, খাবার নিয়েই বসে পড়ছেন ফর্মপূরণ করতে। তবে দিনের শুরুতে সরকারি কর্মীরা 'কন্যাশ্রী'দের ফর্ম পূরণের বিষয়টি শিখিয়ে দেন। পরে বিডিও নিজে হাজির থেকে পুরো বিষয়টি তদারকি করেন।
দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী শিউলি সাউ বলেছেন, রাজ্য সরকারের দুয়ারে সরকারের যে সমস্ত প্রকল্প চলছে সেগুলির জন্য অনেক রকম ফর্ম দেওয়া হচ্ছে পূরণ করার জন্য। অনেকেই অসুবিধার মুখে পড়েছেন। অনেকেরই ফর্ম পূরণ করতে গিয়ে নানান ভুল-ত্রুটি হচ্ছে।ফর্ম পূরণে তাঁদের এই ভুল ত্রুটিগুলো যাতে না হয়, তাই আমরা আমাদের স্কুলের পক্ষ থেকে পাঠানো হয়েছে তাঁদের সাহায্য করতে। বলা হয়েছে, আমরা যেন ফর্মগুলো ঠিকমতো পূরণ করতে তাঁদের সাহায্য করি। এছাড়াও আরও যে সমস্ত ক্যাম্পগুলি রয়েছে সেগুলিতেও যেখানে যাঁদের সাহায্যের প্রয়োজন হচ্ছে, তাঁদেরকে আমরা সহযোগিতা করছি। বিডিও কৃশানু রায়ের কথায়, ''বিতর্ক তৈরি না হওয়ার পাশাপাশি, কন্যাশ্রীদের সরকারের কাছে সামিল করে তাদের সমাজসেবার পাঠ শেখানো হচ্ছে। এই অভিজ্ঞতা আগামী দিনে তাদের চাকরির পরীক্ষা জন্য কাজে লাগবে। কন্যাশ্রীরা যে উত্সাহে কাজ করেছেন, তা প্রশংসার।''