Narendrapur School Chaos: শিক্ষকদের মারধরের ঘটনায় গ্রেফতার ২, কাঠগড়ায় তৃণমূল নেতা
South 24 Parganas:গতকাল ক্লাস চলাকালীন নরেন্দ্রপুরের বলরামপুর মন্মথনাথ বিদ্যামন্দিরে ঢুকে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ ওঠে। মারধরের ভিডিও ভাইরাল হয়।
পার্থপ্রতিম ঘোষ ও রঞ্জিত হালদার, নরেন্দ্রপুর: নরেন্দ্রপুরে স্কুলের (Narendrapur) মধ্যে তাণ্ডব ও শিক্ষক-শিক্ষিকাদের মারধরের ঘটনায় ২ জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। যাদের গ্রেফতার করা হয়েছে, স্কুলের কাছেই তাঁদের বাড়ি। ধৃতের নাম মহেশ্বর নাড়ু ও সোনু মণ্ডল। মহেশ্বরের মায়ের দাবি, তাঁর ছেলে কিছুর মধ্যে ছিল না, কোনও দলও করে না। রাতে ঘরে ঘুমোচ্ছিল, পুলিশ পরিচয় না দিয়ে এসে তুলে নিয়ে গিয়েছে বলে অভিযোগ। তাঁর দাবি, 'কেউ ওকে ফাঁসিয়েছে।' যদিও স্কুলে তাণ্ডবের ঘটনায় FIR-এ নাম থাকা দুই তৃণমূল নেতা (TMC) ও বনহুগলি ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য অলক নাড়ু ও আকবর আলি মণ্ডলকে এখনও গ্রেফতার করেনি পুলিশ।
গতকাল ক্লাস চলাকালীন নরেন্দ্রপুরের বলরামপুর মন্মথনাথ বিদ্যামন্দিরে ঢুকে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের (Teacher Thrashed) বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ ওঠে। মারধরের ভিডিও ভাইরাল হয়। ভিডিওতে দেখা যায়, শিক্ষক-শিক্ষিকাদের মারধর করা হচ্ছে। শুধু তাই নয়, গালিগালাজ, বই-খাতা, নথি তছনছ করে ভাঙচুর চালায় বহিরাগতরা। অভিযোগ ওঠে, প্রধান শিক্ষকের প্ররোচনায় বনহুগলি (Bonhooghly) ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের দুই তৃণমূল সদস্য অলক নাড়ু ও আকবর আলি মণ্ডলের নেতৃত্বেই এই হামলা হয়। আকবর যুব তৃণমূল নেতা। যদিও সব অভিযোগই অস্বীকার করেছেন প্রধান শিক্ষক ও দুই অভিযুক্ত শাসক-নেতা।
নরেন্দ্রপুরে স্কুলে শিক্ষকদের মারধরের ঘটনায় অভিযুক্ত আরও একজনের তৃণমূল-যোগ। শিক্ষকদের দেওয়া ভিডিয়োয় (Viral Video) যে ব্যক্তিকে গতকাল লাথি-ঘুসি মারতে দেখা গিয়েছিল, তাঁর নাম প্রবীর সর্দার ওরফে ছোটন। বাড়ি নরেন্দ্রপুরের ওই স্কুল থেকে প্রায় ৭ কিলোমিটার দূরে বিষ্ণুপুর থানা এলাকায়। শিক্ষকদের মারধরে অভিযুক্ত ছোটন এলাকায় তৃণমূল কর্মী বলে পরিচিত। তাঁর স্ত্রী পানাকুয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন তৃণমূল সদস্যা। স্ত্রীর দাবি, স্কুলে যৌন হেনস্থার ঘটনা ঘটে। সেই কারণেই সেখানে যান তৃণমূল কর্মী ছোটন। শিক্ষকদের মারধরের ঘটনায় স্বামীর হয়ে যুক্তিও খাড়া করেছেন তৃণমূলের প্রাক্তন পঞ্চায়েত সদস্যা। ঘটনার পর থেকে স্বামী বাড়ি ফেরেননি, পুলিশও তাঁকে খুঁজতে আসেনি বলে দাবি অভিযুক্তের স্ত্রীর। আগের বার টিকিট পেলেও, এবার ওঁকে পঞ্চায়েতের টিকিট দেওয়া হয়নি, ওঁরা দলের সঙ্গে থাকেনও না, অভিযুক্তের দলীয় যোগ অস্বীকার পানাকুয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল প্রধান ভোলানাথ সর্দারের।
আরও পড়ুন: রাম লালার অদেখা ছবি! সাজানোর আগে কেমন ছিল দেখতে? দেখালেন খোদ শিল্পী