National Medical College: ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে করোনার থাবা, চিকিত্সক ও স্বাস্থ্য কর্মী মিলিয়ে আক্রান্ত ১৮৪
National Medical College : চিকিত্সক (Doctors) ও স্বাস্থ্য কর্মী (Health Workers) মিলিয়ে ১৮৪ জন করোনা (Corona) আক্রান্ত। গতকাল নতুন করে ১০৪ জনের রিপোর্ট পজিটিভ (Positive) আসে।
কলকাতা: ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে (National Medical College Hospital) বাড়ছে সংক্রমণ। চিকিত্সক (Doctors) ও স্বাস্থ্য কর্মী (Health Workers) মিলিয়ে ১৮৪ জন করোনা (Corona) আক্রান্ত। গতকাল নতুন করে ১০৪ জনের রিপোর্ট পজিটিভ আসে।
করোনার বিরুদ্ধে লড়াইতে, তাঁরাই আমাদের বর্ম। চিকিৎসক, নার্স থেকে স্বাস্থ্য কর্মী। কিন্তু, জেট গতিতে, করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধির আবহে করোনা আক্রান্ত হচ্ছে তাঁরাই। গতকালের হিসেব অনুযায়ী, চিকিৎসক ও চিকিৎসা কর্মী মিলিয়ে ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১২৫। এবার সেই সংখ্যাটা হল ১৮৪। এর পাশাপাশি কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের ১৬৯ জন চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মী করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। কলকাতার পাশাপাশি, জেলাতেও দলে দলে ফ্রন্টলাইন ওয়ার্কাররা করোনা আক্রান্ত হচ্ছেন। করোনা আক্রান্ত হয়েছেন উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ-হাসপাতালের ১৪ জন চিকিৎসক পড়ুয়া ও ৩ জন নার্স। সংক্রমিত হয়েছেন, জলপাইগুড়ি জেলার ৫ জন নার্স। আক্রান্ত কোচবিহারের MJN মেডিক্যাল কলেজের একজন সহকারী সুপার, ৩ চিকিৎসক ও দু’জন নার্স। আসানসোলে জেলা হাসপাতালের ২ চিকিৎসক-সহ ১০ জন স্বাস্থ্যকর্মী করোনা আক্রান্ত। এছাড়াও, পশ্চিম বর্ধমান জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের দফতরের ৩ কর্মীরও করোনা রিপোর্ট পজিটিভ এসেছেন। করোনা আক্রান্ত হয়েছেন, পূর্ব বর্ধমান জেলার ৩ জন ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক-সহ ১২ জন স্বাস্থ্যকর্মী। এঁদের মধ্যে রয়েছেন, কৃষি ভবন কোভিড হাসপাতালের সুপার ও বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের ৬ চিকিৎসক। পোলবা গ্রামীণ হাসপাতালের ২ চিকিৎসক-সহ বেশ কয়েকজন নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মী করোনা আক্রান্ত হয়েছেন।
জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালে করোনার থাবা। আক্রান্ত ডেপুটি সুপার অনির্বাণ ঘোষাল-সহ পাঁচজন নার্স। হাসপাতালের সুপার গয়ারাম নস্কর জানিয়েছেন, আরও অনেকের উপসর্গ থাকায় কোভিড পরীক্ষার জন্য নমুনা পাঠানো হয়েছে। পাশাপাশি, কোভিড হাসপাতালে চিকিত্সা পরিষেবা সামাল দিতে আজ থেকে ৩২ জন অস্থায়ী নার্স নিয়োগ করা হচ্ছে। করোনার বাড়বাড়ন্তে নতুন করে অস্থায়ী সাফাই কর্মী নিয়োগেরও সিদ্ধান্ত নিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।