RG Kar Protest Update: 'সবকটি পাঁড় মাতাল একসঙ্গে আমরণ অনশন করছে', অনশনরত ডাক্তারদের আক্রমণ তৃণমূলের আইটি সেলের কর্মীর
RG Kar News: ধর্মতলায় জুনিয়র ডাক্তারদের লাগাতার অনশন চলছে। কেউ অসুস্থ হচ্ছেন, আবার সঙ্গে আরেকজন যোগ দিচ্ছেন। এইভাবেই চলছে আন্দোলন।
বিজেন্দ্র সিংহ, ঐশী মুখোপাধ্যায় ও অর্ণব মুখোপাধ্য়ায়, কলকাতা: '৬-৭ দিন অনশন করেই রক্ত বমি? বোঝাই যাচ্ছে সবকটি পাঁড় মাতাল একসাথে আমরণ অনশন করছে!' এক্স হ্যান্ডলে এই পোস্ট করে বিতর্ক বাধালেন তৃণমূল নেতা। 'যিনি পাঁড় মাতাল বলেছেন, তাঁকে যদি কেউ পাঁড় মূর্খ বলেন, তাহলে তিনি যেনা গায়ে না লাগান'- পাল্টা জবাব দিলেন আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তাররা।
ধর্মতলায় জুনিয়র ডাক্তারদের লাগাতার অনশন চলছে। কেউ অসুস্থ হচ্ছেন, আবার সঙ্গে আরেকজন যোগ দিচ্ছেন। এইভাবেই চলছে আন্দোলন। দিনে দিনে বাড়ছে ঝাঁঝ। এরইমধ্য়ে অনশনকারীদের অসুস্থতাকে ব্য়ঙ্গ করে তীব্র বিতর্কে জড়ালেন তৃণমূলের আইটি সেলের সাধারণ সম্পাদক নীলাঞ্জন দাস। সোশাল মিডিয়ায় তিনি লিখেছেন, এতদিন এত লোকে অনশন করেছে, কারও রক্ত বমি, কালো পায়খানা হয়নি অনশন করতে গিয়ে। কিন্তু ৬-৭ দিন অনশন করেই জুনিয়র ডাক্তারদের এই লক্ষণগুলো দেখা দিচ্ছে কেন? তাও আবার শুধু ছেলেদেরই হচ্ছে, মেয়েদের হচ্ছে না কেন? আর একসঙ্গে কেন হচ্ছে? এর একটাই কারণ হতে পারে, যদি কারও কোনও গ্য়াসট্রাইটিস বা লিভারের সমস্যা থাকে। আগে থেকেই গ্যাস্ট্রিক বা লিভারের সমস্যা কী থেকে হতে পারে? যদি ভীষণ ভাবে অ্যালকোহলিক হয় বা অত্যধিক মদ্যপান করে। বোঝাই যাচ্ছে সবকটি পাঁড় মাতাল একসাথে বসে আমরণ অনশন করছে!'
এই পোস্টের প্রতিবাদ করে আন্দোলনকারী জুনিয়র চিকিৎসক রুমেলিকা কুমার বলছেন, 'ওদের তো মনুষ্যত্ব নিয়ে এবার প্রশ্ন উঠবে। এইরকম মন্তব্য যারা করতে পারে , তাদের মনুষ্যত্ব নেই।' আরেক আন্দোলনকারী জুনিয়র চিকিৎসক বিপ্রেশ চক্রবর্তী বলছেন, 'যিনি পাঁড় মাতাল বলেছেন, তাঁকে যদি কেউ পাঁড় মূর্খ বলেন, তাহলে তিনি যেন গায়ে না লাগান'। প্রসঙ্গত, আজ তনয়া পাঁজা অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছেন।
জুনিয়র ডাক্তারদের অনশনকে তীব্র কটাক্ষ করেছেন তৃণমূল সাংসদ কল্য়াণ বন্দ্য়োপাধ্য়ায়ও। তৃণমূল সাংসদ বলছেন, 'কী অনশন? কিসের অনশন? কিসের অনশন? এখন তো হাঙ্গার স্ট্রাইক আপ টু হসপিটলাইজেশন হয়েছে, নট হাঙ্গার স্ট্রাইক আনটিল ডেথ। হাঙ্গার স্ট্রাইক যতক্ষণ অবধি হসপিটলে যাব, ততক্ষণ পর্যন্ত। তারপর ব্য়স সব শেষ। কালকে রাতে না আজ সকালে দেখলাম উত্তরবঙ্গ মেডিক্য়াল কলেজে কে একজন ফাস্টিং শুরু করেছে, বিকেলের মধ্য়েই হসপিটলাইজড, দমই নেই।' এই বিষয়ে আন্দোলনকারী জুনিয়র চিকিৎসক দেবাশিস হালদার বলছেন, 'তার মানে ওঁরা কী চাইছেন? অনশন করতে করতে সবাই মরে যাক? এখানে কেউ চকোলেট, স্যান্ডুইচ খেয়ে অনশন করছে না।' সব মিলিয়ে ফের বিতর্কে তৃণমূলের নেতা-সাংসদরা।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।