North 24 Pargana News: তৃণমূল নেতার স্ত্রীর অ্যাকাউন্টে ১৩৪ জন মহিলার লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা! প্রযুক্তিগত ভুল, সাফাই প্রশাসনের
সরগরম উত্তর ২৪ পরগনার বাদুড়িয়ার তিলডাঙা গ্রাম। গ্রামবাসীদের একাংশের দাবি, দীর্ঘদিন আগে আবেদন করা সত্ত্বেও তাঁদের পরিবারের মহিলাদের অ্যাকাউন্টে টাকা ঢোকেনি।
সমীরণ পাল, উত্তর ২৪ পরগনা: তৃণমূলের (TMC) উপপ্রধানের স্ত্রীর অ্যাকাউন্টে ঢুকেছে ১৩৪ জন মহিলার লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের (Laxmi Bhandar) টাকা! এমনই অভিযোগ উত্তর ২৪ পরগনার (North 24 Pargana) বাদুড়িয়ায় (Baduria)। অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তৃণমূলের (TMC) উপপ্রধান। যদিও প্রশাসনের সাফাই, প্রযুক্তিগত ভুলেই একজনের অ্যাকাউন্টে ঢুকেছে একাধিক মহিলার টাকা। ঘটনা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।
ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট (Bank Account) তৃণমূলের উপপ্রধানের স্ত্রীর নামে। অভিযোগ, সেই অ্যাকউন্টে ঢুকেছে ১৩৪ জন মহিলার লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের (Laxmi Bhandar) টাকা! সরগরম উত্তর ২৪ পরগনার বাদুড়িয়ার তিলডাঙা গ্রাম। গ্রামবাসীদের একাংশের দাবি, দীর্ঘদিন আগে আবেদন করা সত্ত্বেও তাঁদের পরিবারের মহিলাদের অ্যাকাউন্টে টাকা ঢোকেনি। অভিযোগ, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের সেই টাকা ঢুকেছে।
খোদ জগন্নাথপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের উপপ্রধান হাসানুর জামানের স্ত্রী ইরানি ইয়াসমিনের অ্যাকাউন্টে! বাদুড়িয়ার অভিযোগকারী প্রশান্ত সেন জানিয়েছেন, বেনিফিসিয়ারির মধ্যে একটি অন্য মোবাইল নম্বর এবং একটি অন্য ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নম্বর দেওয়া আছে। যা সম্পূর্ণ আমার মায়ের যে অ্যাপ্লিকেশন করা হয়েছিল তার থেকে আলাদা। সেটি স্টেট ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্ট। মায়ের কোনও অ্যাকাউন্ট নেই এলাহাবাদ ব্যাঙ্ক ছাড়া। ভেরিফাই করাই। বাবাকে জানাই। খোঁজ নিয়ে জানা যায় যার অ্যাকাউন্ট তিনি উপপ্রধানের স্ত্রী ইরানি ইয়াসমিন। অভিযোগ অস্বীকার করে বিডিও-র কাছে পাল্টা অভিযোগ করেছেন উপপ্রধান।
জগন্নাথপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল নেতা ও উপপ্রধান হাসানুর জামানের কথায়, 'আমার ওয়াইফের অ্যাকাউন্টে নাকি ১৩৪ জনের টাকা ঢুকেছে। এটা সম্পূর্ণ মিথ্যে কথা। আর ৫ জনের মতো আমার স্ত্রী লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের আবেদন করেছিল। এই হল আধার, স্বাস্থ্যসাথীর কার্ড ।সবার যেমন ৫০০ করে তিন মাসে দেড় হাজার টাকা ঢুকেছে আমার স্ত্রীয়ের অ্যাকাউন্টেও তাই ঢুকেছে। মিথ্যা কথা বলছে। বিডিওর কাছে স্ত্রীর অ্যাকাউন্ট নম্বর দিয়েছি তদন্তের জন্য। লিখিত অভিযোগ জানিয়েছি। বদনাম করা দোষীদের শাস্তি হোক।
উপপ্রধান অভিযোগ অস্বীকার করলেও উত্তর ২৪ জেলা প্রশাসনের সাফাই, যুক্তিগত ত্রুটির কারণে এক ব্যক্তির ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে একাধিক ব্যক্তির লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা ঢুকেছে।
ঘটনায় তৃণমূলকে নিশানা করেছে বিজেপি। পাল্টা জবাব দিয়েছে শাসক শিবির। বসিরহাট বিজেপি যুব মোর্চার সাংগঠনিক জেলা সভাপতি পলাশ সরকার বলেছেন, রাজ্যে বেকার বাড়ছে। মুখ্যমন্ত্রী মানুষের মন পেতে লক্ষ্মীর ভান্ডার চালু করেছেন। তাঁর দলের পঞ্চায়েতের উপপ্রধানের স্ত্রীর অ্যাকাউন্টে ১৩৪ জন মহিলার লক্ষ্মীর ভান্ডারের টাকা ঢুকেছে। এর উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত হওয়া দরকার। ধিক্কার জানাই।
লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পে তপসিলি জাতি ও উপজাতির মহিলাদের প্রতি মাসে ১ হাজার টাকা এবং সাধারণ শ্রেণির মহিলাদের প্রতি মাসে ৫০০ টাকা করে দেওয়া হয়। গত বছর আমফান ঝড়ের পর ক্ষতিপূরণ বিলিতে দুর্নীতির একই রকম অভিযোগ উঠেছিল শাসকদলের বিরুদ্ধে।