Bhatpara: পাওনা টাকা নিয়ে গন্ডগোল! ভাটপাড়ায় প্রকাশ্যে খুন যুবক
শনিবার রাতে গুলি করে এক যুবককে খুনের অভিযোগ উঠল
উত্তর ২৪ পরগানা: ফের অশান্ত ভাটপাড়া। ফের শ্যুটআউটের ঘটনা ঘটল এলাকায়। শনিবার রাতে গুলি করে এক যুবককে খুনের অভিযোগ উঠল। ভাটপাড়ার বড় শ্রীরামপুরের ঘটনা। জানা গিয়েছে, স্কুটারে এসে ২ দুষ্কৃতীর হামলা ওই যুবকের ওপর হামলা চালায়। এরপর গুলি করে খুন করে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান পাওনা টাকা নিয়ে গন্ডগোলের জেরেই খুন।
গতকাল কুলটির বরাকরে ভরসন্ধেয় শ্যুটআউটের ঘটনা ঘটে। এক যুবককে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে দুস্কৃতীরা। এরপর হাসপাতালে মৃত্যু হয় গুলিবিদ্ধ যুবকের। বরাকর বাজার সংলগ্ন এলাকায় নির্মীয়মান বাড়িতে এই ঘটনাটি ঘটে। গতকালই বন্ধুদের বিরুদ্ধে গুলি চালানোর অভিযোগ তুলেছিল পরিবার।
এরপর আজ বরাকরে যুবককে গুলি করে খুনে নতুন তথ্য সামনে আসে। মাদক ব্যবসায় আসতে না চাওয়ায় ছেলেকে খুন। অভিযোগ করেন মৃত যুবকের বাবা। শ্যুটআউটের পর আজও সারাদিন থমথমেই ছিল বরাকর। এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে পুলিশ। ঘটনায় ২ জনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। পাশাপাশি বরাকরে শ্যুটআউট নিয়ে ইতিমধ্যেই রাজনৈতিক চাপানউতোর শুরু হয়েছে। তৃণমূলের মদতেই মাদক কারবার, অভিযোগ তুলেছে বিজেপি। অন্যদিকে পুলিশ তদন্তে সত্যি সামনে আসবে বলে অভিযোগ অস্বীকার করে দাবি করেছে তৃণমূল।
অন্যদিকে অগাস্টের মাঝামাঝি সময়ে গভীর রাতে খড়দায় তৃণমূল নেতাকে গুলি করে খুন করা হয়। মৃত রণজয় শ্রীবাস্তব ব্যারাকপুর লোকসভায় তৃণমূলের হিন্দি সংগঠনের সম্পাদক ছিলেন। এই ঘটনায় ৫ জনকে গ্রেফতার করে খড়দা থানার পুলিশ। টিটাগড় পুরসভার প্রশাসক ও তৃণমূল নেতা প্রশান্ত চৌধুরীর অভিযোগ, খুনের পিছনে বিজেপির হাত রয়েছে। গেরুয়া শিবিরের পক্ষ থেকে অভিযোগ অস্বীকার করা হয়।
কীভাবে খুন হন তৃণমূল নেতা? তাঁর সঙ্গী অভিযোগ করেন, রাতে তৃণমূল নেতার কাছে হুমকি-ফোন আসে। তাঁকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়।গালিগালাজ করা হয়। এর কিছুক্ষণ পর খড়দার বড়পট্টি এলাকায় তাঁদের গাড়ি পৌঁছতেই বাইক রেখে রাস্তা আটকায় দুষ্কৃতীরা। এ নিয়ে তর্কাতর্কি চলাকালীন গাড়ি লক্ষ্য করে বোমা ছোড়া হয়। এরপর গাড়ি থেকে নেমে পালানোর সময় তৃণমূল নেতাকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা। তৃণমূল নেতার গলার নিচে গুলি লাগে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে প্রথমে ব্যারাকপুরের বি এন বসু মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় এরপর কলকাতার বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে তৃণমূল নেতাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিত্সকরা। পুলিশের দাবি, ধৃতরা ঘটনার সঙ্গে যুক্ত। পুলিশ এলাকায় সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখছে।